Just In
- 6 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 7 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 11 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 12 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে ফ্রিজে খাবার না রাখলে এবং ফ্রিজ পরিষ্কার না করলে কিন্তু বিপদ!
একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ মানুষই কী কী নিয়ম মেনে ফ্রিজ ব্যবহার করা উচিত, তা জানেন না।
আজকের জেট যুগে সবাই এত ব্যস্ত যে প্রতিদিন বাজার আর রান্না করার সময় কারও হাতেই নেই। তাই তো সপ্তাহের একবার স্বামী ছোটেন মার্কেটে ১৫ দিনের দিনের বাজার করতে, আর স্ত্রী লেগে পরেন হাঁড়ি হাঁড়ি খাবার রান্না করতে। এত পরিমাণ খাবার আর কাঁচা সবজি, ফল, মাংস-মাছ কোথায় যায়? কোথায় আবার ইউলিয়াম রুলিনের আবিষ্কার করা যন্ত্র, রেফ্রিজেরেটর বা ফ্রিজে। রান্না বা কাঁচা খাবার ফ্রিজে রাখাই তো নিয়ম, তাতে ক্ষতি কী! কোনও ক্ষতি নেই। কিন্তু ঠিক ঠিক নিয়ম না মেনে যদি এই সব খাবার স্টোর করা হয়, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ মানুষই কী কী নিয়ম মেনে ফ্রিজ ব্যবহার করা উচিত, তা জানেন না। সেই কারণেই তো আজকাল পেটের রোগের পাশপাশি নানাধিক রোগের প্রকোপ এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আচ্ছা আপনিও কি জানেন না ফ্রিজে কোন খাবার কতদিন রাখতে হয়? অথবা ফ্রিজ পরিষ্কারের নিয়ম সম্পর্কে? তাহলে তো এই প্রবন্ধেটি পড়ে ফেলা মাস্ট! কারণ শরীরকে নিয়ে কোনও চান্স নেওয়াটা মনে হয় বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
ফ্রিজে খাবার রাখার নিয়ম:
কাঁচা মাছ, মাংস এবং পোলট্রি প্রডাক্ট বাকি খাবারের সঙ্গে রাখা চলবে না। প্রত্যেকটা ফ্রিজেই এমন খাবার রাখার জন্য আলাদা জায়গা থাকে। সেখানে এমন ধরনের খাবার স্টোর করতে হবে। কারণ অনেক সময়ই কাঁচা মাছ-মাংস থেকে রস বেরয়। সেই রস বাকি খাবারে মিশে গেলে বিষক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই তো এই বিষয়ে খেয়াল রাখাটা জরুরি। এখানেই শেষ নয়। ফ্রিজে কাঁচা খাবার রাখার পর এবং বার করে নেওয়ার পর অবশ্যই হাত ধুয়ে নেবেন। কারণ কাঁচা খাবারে উপস্থিত বেশকিছু রাসায়নিক যদি ভুল করে আপনার মুখে চলে যায়, তাহলে শরীর মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পরতে পারে।
ডিপ ফ্রিজ এবং ফ্রিজের তাপমাত্রা কত হওয়া উচিত:
রেফ্রিজেরেটরের তাপমাত্রা সব সময় ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকা উচিত। আর ডিপ ফ্রিজের তাপমাত্র হওয়া উচিত ০ ডিগ্রি ফারেনহাইট অথবা -১৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেটের আশেপাশে।
বাসি খাবার কতদিন রাখতে পারবেন:
আমাদের মধ্যে অনেকেই না খাবার ফ্রিজে রেখে কয়েক দিন ধরে খেয়ে থাকেন। জানার চেষ্টাও করেন না যে এই ভাবে কোনও খাবার আদৌ রাখা যায় কিনা। প্রসঙ্গত, এমন খাবার কখনই ৪ দিনের বেশি ফ্রিজে রাখা চলবে না। এর বেশি সময় হয়ে গেলে যতই পছন্দের খাবার হোক না কেন, তা ফেলে দিতে হবে। আর রান্না করা পাঁঠা বা মুরগির মাংস এবং ডিম ফ্রিজে রাখতে পারবেন ৩-৪ দিন। তার বেশি কখনই নয়। একইভাবে রান্না করা মাছও ৩-৪ দিনের বেশি ফ্রিজে রেখে খাওয়া চলবে না এর বেশি সময় এমন ধরনের খাবার ফ্রিজে রাখলে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই শরীর ঠিক রাখতে এই গাইড লাইনটা মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন।
ফ্রিজে খাবার রাখতে কেমন ধরনের কন্টেনার ব্যবহার করতে হবে:
আপনি কী ফ্রিজে প্লাস্টিকের কন্টেনারে খাবার রাখেন? তাহলে একবার দেখুন তো সেই সব কন্টেনারের গায়ে "বি পি এ-ফ্রি" লেবেল লাগানো আছে কিনা। যদি না থাকে, তাহলে আজকের পর থেকে আর ওইসব কন্টেনার ব্যবহার করা যাবে না। প্রসঙ্গত, ফ্রিজে সব সময় মাইক্রোওয়েভে ব্যবহার করা যায় এবং কাঁচের এয়ার টাইট কন্টেনারে খাবার রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আরেকটি সহজ নিয়ম খুব কাজে আসে। ১-২ দিনের খাবারের ঠিক পেছনে যদি সবেমাত্র রান্না করা খাবার রাখা যায়, তাহলে দেখা গেছে বাসি খাবার বেশিক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকে।
ফল এবং সবজি রাখার নিয়ম:
এক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাবধান হওয়াটা জরুরি। কারণ ফ্রিজে রাখা মাত্র বিশেষ কিছু ফলের শরীর থেকে ইথাইলিন গ্যাস বেরয়, যা টাটকা সবজিকে নিমেষে নষ্ট করে দেয়। তাই তো অ্যাভোকাডো, কলা, জাম, নাশপাতি এবং টমাটো ফ্রিজে রাখা চলবে না। একইভাবে যেসব সবজির শরীর থেকে ইথাইলিন গ্যাস বেরয়, সেগুলিকে ফলের থেকে দূরে রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, ব্রকলি, গাজর, শসা, বেগুন, মটরশুটি, লেটুস প্রভৃতি সবজির সঙ্গে ভুলেও ফল রাখবেন না। এক্ষেত্রে ইথাইলিন সেন্সিটিভ ফল এবং সবজিগুলিকে ফ্রিজে যে ফল রাখার আলাদা জায়গা রয়েছে সেখানে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখবেন। আনেকে সবজি বা ফল এয়ার টাইট কন্টেনারে রাখেন। এমনটা করা একেবারেই উচিত নয় কিন্তু। এমনটা করলেও ফল এবং সবজি তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যায়।
ডিম রাখবেন কোথায়:
বেশিরভাগ ফ্রিজেই ডিম রাখার আলদা জয়াগা থাকে। সেখানে সব সময় ডিম রাখবেন। ভুলেও কিন্তু ডিমের সঙ্গে অন্য কোনও খাবার রাখবেন না। সেক্ষেত্রে সেই খাবারটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, কাঁচা ডিম ৩-৫ সপ্তাহ ফ্রিজে রাখা গেলেও রান্না করা ডিম অথবা ডিমের কুসুম ৩-৪ দিনের বেশি ফ্রিজে রাখে খাওয়া চলবে না।
কোন খাবার কতদিন ফ্রিজে রাখা যেতে পারে:
১. স্য়ালাড ৩-৫ দিন।
২. হট ডগ বা বার্গার জাতীয় খাবার খোলা অবস্থায় ১ সপ্তাহ, না খোলা অবস্থায় ২ সপ্তাহ।
৩. কাঁচা মাংস ফ্রিজে রাখলে ৩-৫ দিন ভাল থাকে।
৪. কাঁচা মুরগির মাংস গোটা অবস্থায় ডিপ ফ্রিজে প্রায় ১ বছর ভাল থাকে। আর কাটা অবস্থায় যদি রাখা হয় তাহলে সেগুলিকে ৫-৬ মাসের মধ্যে রান্না করে ফেলাই ভাল।
৫. স্যুপ সাধারণত ৩-৪ দিন ভাল থাকে।
৬. না খাওয়া মুরগির মাংস, মাছ বা ডিমের কোনও পদ ৩-৪ দিন ফ্রিজে রাখার পর না খাওয়াই ভাল। একই নিয়ম পিৎজা এবং চিকেন প্যাটিস বা বার্গারের ক্ষেত্রেও মেনে চলতে হবে।
ফ্রিজ পরিষ্কার করার নিয়ম:
প্রথমে ফ্রিজে রাখা সব খাবার বার করে নেবেন। তারপর ফ্রিজের প্রত্যেকটা অংশ গরম সাবান জল দিয়ে ভাল ভাবে ঘষে ঘষে ধুতে হবে। এমনটা করলে আপনার ফ্রিজের প্রতিটি কোনায় বাসা করে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলি মারা যাবে। ফলে অসুস্থ হয়ে পরার আশঙ্কা কমবে। ফ্রিজ ধোয়া হয়ে যাওয়ার পর যতক্ষণ না পর্যন্ত ভাল করে জল শুকিয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ পুনরায় খাবার রাখা চলবে না। প্রসঙ্গত, প্রতি ২-৩ মাস অন্তর ফ্রিজ ধোওয়াটা মাস্ট। কিন্তু যদি দেখেন ফ্রিজ থেকে বাজে গন্ধ বেরচ্ছে, তাহলে সময় নষ্ট না করে যত শীঘ্র সম্ভব ফ্রিজটা পরিষ্কার করে নেবেন।