Just In
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি কাদের? সংক্রমণ হলে কী করতে হবে? নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করল AIIMS
করোনা হানায় এমনিতেই শোচনীয় অবস্থা দেশের, এরই মধ্যে থাবা বসিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস। এটি একটি ফাঙ্গাল ইনফেকশন, যা অবহেলা করলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে এই সংক্রমণ। বিশেষ করে কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন 'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস' নিয়ে কিছু মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছিলেন। এবার এই অসুখটি নিয়ে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করল AIIMS।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি? এর লক্ষণ বা উপসর্গ কী কী? এই রোগে আক্রান্ত হলে কী কী করতে হবে? এই সব প্রশ্নের প্রাথমিক উত্তর আছে AIIMS-এর নির্দেশিকাটিতে।
কাদের ঝুঁকি বেশি
১) যাদের ডায়াবেটিস আছে।
২) স্টেরয়েড নিতে হয় যাদের।
৩) ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছে যাদের বা কোনও দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে।
৪) করোনায় আক্রান্ত গুরুতর রোগীরা, যারা অক্সিজেন সাপোর্ট বা ভেন্টিলেটরে রয়েছেন, এই রোগীদেরও সতর্ক থাকা দরকার।
কীভাবে বুঝবেন আপনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত কিনা?
১) নাক থেকে কালচে রক্তপাত বা তরল বেরোনো।
২) নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাথা ও চোখে ব্যথা, চোখে ফোলাভাব, ঝাপসা দৃষ্টি, লাল চোখ, চোখ খোলা ও বন্ধ করতে অসুবিধা হওয়া।
৩) মুখ অসাড় হয়ে যাওয়া।
৪) মুখ খোলা বা চোয়াল নাড়াতে কষ্ট হওয়া।
এই জাতীয় লক্ষণগুলি সনাক্ত করতে, নিয়মিত দিনের আলোয় মুখের ভিতর আর নাক দেখতে হবে। কোথাও কোনও কালচে ছোপ পড়েছে কিনা, কোথাও কালো তরলের ক্ষরণ হচ্ছে কিনা, তা নজর রাখতে হবে। এছাড়াও, দাঁত নড়বড় করছে কিনা, মুখের ভিতরে বা চারদিকে ফোলাভাব আছে কিনা, এগুলিও দেখতে হবে।
কোভিড আতঙ্কের মাঝেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের হানা, কী করা উচিত আর কী নয়, জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ দেখলে কী করবেন?
১) ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করান। একজন ইএনটি ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। চক্ষু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
২) যদি রোগীর ডায়াবেটিস থাকে, তবে সময়মতো ব্লাড সুগার লেভেল মাপা উচিত।
৩) এইমস-র নির্দেশিকা অনুযায়ী, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রকোপ দেখলে নিজে থেকে কোনও ওষুধ খাওয়া ঠিক হবে না। ডাক্তারের পরামর্শ মেনেই ওষুধ সেবন করা উচিত।
৪) তবে কোনও গুরুতর রোগের ওষুধ যদি চলতে থাকে, তাহলে তা কনটিনিউ করা ভাল।
৫) চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এমআরআই এবং সিটি স্ক্যান করানো যেতে পারে।
এইমস-এর তরফে, বিশেষ করে চক্ষু চিকিৎসকদের এই বিষয়ে রোগীদের সতর্ক করতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও রোগীরা যেন নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, সেটাও বলে দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকায়।