Just In
- 3 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 4 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 8 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 9 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
পেট খারাপে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা!
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, নিয়মিত ব্রেকফাস্ট না করা, জাঙ্ক ফুড খাওয়া প্রবণতা, রাস্তার খাবার বেশি করে খাওয়া প্রভৃতি নানা কারণে যুবসমাজের মধ্যপ্রদেশ আজ বেজায় বিপদে। কেই গ্যাস-অম্বল, তো কেউ বদ-হজমের সমস্যায় জর্জরিত। সেই সঙ্গে কথায় কথায় পেট খারাপ হওয়া তো এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়েছে নব্য যুবদের মাঝে। এমন পরিস্থিতিতে আপনারা দুটো কাজই করতে পারেন। হয় সুলভ কমপ্লক্সের ম্যাপ পকেটে রাখুন, নয়তো এই প্রবন্ধে আলোচিত হোমিওপ্যাথি মেডিসিনগুলির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান। হঠাৎ বেগ পেলে কোনও একটা তো সাহায্য় করবেই করবে, তাই না!
চটজলদি পেট খারাপের উপশমে যে মেডিসিনগুলি দারুনভাবে সাহায্য করতে পারে, সেগুলি হল...
১. আর্সেনিক অ্যালবুম:
পেট খারাপের সঙ্গে জল তেষ্টা, বমি হওয়া এবং মাথা ঘোরার মতোও লক্ষণ দেখা দিলে এই ওষুধটির বিকল্প কিছু হতে পারে না। তবে কী মাপে, দিনের কখন কখন খেতে হবে, তা কিন্তু একজন দক্ষ চিকিৎসকের থেকে জেনে নেবেন। কারণ রোগের প্রকোপ অনুসারে একমাত্র চিকিৎসকের পক্ষেই বলা সম্ভব হবে দিনে কবার এই ওষুধটি খেলে আপনার উপকারে লাগতে পারে।
২. ক্যামোমিলা:
সকাল থেকে ৫ বার ওয়াশ রুম ঘুরে এসেছেন। এদিকে পটি যেন থামার নামই নিচ্ছে না। সঙ্গে মন মেজাজও কেমন যেন খিটকিটে হয়ে গেছে। তাহলে যত শীঘ্র সম্ভব এই ওষুধটি কিনে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।
৩. বোভিস্টা:
মাসিকের আগে এবং পরে প্রায়ই পেট খারাপ হচ্ছে। আর যখন হচ্ছে তখন এতটাই কষ্ট হচ্ছে যে বলে বোজানোর নয়। বিশেষত সকালে এবং রাতে যেন কষ্ট বাড়ছে, তাহলে বোভাস্টার বিকল্প আর কিছু হতে পারে না।
৪. অ্যাকোনাইট:
পটির সময় ঘাম হচ্ছে। খিটখিটে ভাবটাও কেমন যেন বেড়ে গেছে। তবে পটিটা একেবারে জলের মতে হচ্ছে না, বরং কাদা কাদা মতো হচ্ছে, তাহলে অ্যাকোনাইট খাওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। এইসব লক্ষণের পাশাপাশি হটাৎ হঠাৎ পটি পাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা গেলেও এই ওষুধটি খাওয়া যেতে পারে।
৫. থুসা সিনোপিয়াম:
খাওয়ার পরে রাতে পটির বেগ বেশি লাগছে, আর পটিটা হচ্ছে সবজে রঙের। সেই সঙ্গে পায়খানা করার সময় তলপেটে হলকা যেন যন্ত্রণাও হচ্ছে, তাহলে এই ওষুধটি আপনা খেতে হবে। তবেই আরাম মিলবে।
৬. অ্যাগারিকাস:
বৃষ্টির সময় লুস মোশানের মতো রোগের প্রকোপ বাড়লে এই ওষুধটি দারুন কাজে আসে।
৭. কোলোসিনথিস:
খাবার বা জল খেলেই খয়েরি রঙের পটি হচ্ছে? সেই সঙ্গে পেটে যন্ত্রণাও আছে? তাহলে এই ওষুধটির কোনও বিকল্প হতে পারে না। তবে কতটা পরিমাণে খেতে হবে তা নির্ভর করবে রোগের প্রকোপের উপর।
৮. সালফার:
মাঝ রাতে এবং সকালের দিকে পায়খানার প্রকোপ বাড়লে খেতে হবে এই ওষুধটি।
৯. কাপরাম মেট:
বারে বারে পায়খানা, সঙ্গে তলপেটে এবং বুকে ব্যথা হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিলে এই ওষুধটি খেতে হবে। প্রসঙ্গত, এই সমস্যাগুলির সঙ্গে যদি ঘাম হওয়া এবং হার্টরেট কমে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখতে পান, তাহলে কাপরাম মেট ওষুধটি বারে বারে খাওয়াতে থাকবেন। দেখবেন উপকার পাবেন।