Just In
দীপাবলির সময় খুব বেশি খেয়ে ফেলেছেন? বদহজমের চিকিৎসায় এই ঘরোয়া প্রতিকার গুলি ট্রাই করুন।
বহু প্রতীক্ষিত উৎসব দীপাবলি তো এসেই গেল, আর নিশ্চিত ভাবে আমাদের মধ্যে অনেকেই খুবই উৎসাহিত এই উৎসবটিকে নিয়ে। দীপাবলি মানে, পরিবার, মজা ও খাওয়া-দাওয়া! ভারতে উৎসবের একটা বড় অংশ জুরে রয়েছে, বিভিন্নি রকম সুস্বাদু খাওয়া-দাওয়া, যার মধ্যে মিষ্টি ও আরো অনেকরকম পারম্পারিক তৃপ্তিকর খাবার রয়েছে। দুই-দিনব্যাপী এই দীপাবলি উৎসবে আমাদের বাড়িতে নানারকম মুখে জল আনা খাবার-দাবার তৈরি হয়ে থাকে।
আবার দীপাবলি এমন একটা সময় যখন আমাদের আত্মীয় ও বন্ধুদের সাথ দেখা করতে যাই, আর সেখানে আমদেরকে হরেক রকম খাবার সাজিয়ে দেওয়া হয়। তাই দীপাবলিতে, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া বা নিজের ডায়েট মেইনটেন করা খুবই কঠিন হতে পারে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা দীপাবলিতে অনেক বেশি করে খেয়ে ফেলেন, আর যখন অতিরিক্ত পরিমানে ভাজাভুজি বা মিষ্টি খাওয়া হয় তখনই বদহজম হয়ে যেতে পারে। বদহজম কমাতে, অ্যান্টাসিডের ওপর নির্ভর না করে, আপনি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার ট্রাই করে দেখতে পারেন। তাই এই দীপাবলিতে বদহজম দূর করতে, এখানে একটি ঘরোয়া প্রতিকারের রেসিপি দেওয়া হল। এখানে দেখে নিন এটি কিভাবে তৈরি করবেন।
রেমিডিটি তৈরি করার রেসিপি
উপকরণঃ
রসুন - ২ কোয়া
লবণ - ১ চা চামচ
জল - ২ কাপ
দীপাবলি বা অন্য উৎসবের দিনগুলিতে বেশি খাওয়া-দাওয়ার ফলে বদহজম হলে, এই ঘরোয়া প্রতিকারের রেসিপিটি খুবই কার্যকর প্রমাণ হতে পারে, যদি এটিকে সঠিক ভাবে সেবন করা যায়। এই প্রাকৃতিক ঘরোয়া প্রতিকারটি, পাকস্থলির অ্যাসিডের ভারসাম্যে সমতা আনার ক্ষমতা রয়েছে, আর এইভাবেই এইটি বদহজম ও অম্বল কমায়।
একই সাথে, রসুন, নুন ও জলের এই মিশ্রণ পাকস্থলীকে আরাম দেয় ও সু-পাচনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিপাক রস উৎপাদনে সাহায্য করে।
এই প্রতিকার তৈরি ও সেবনের প্রণালিঃ
উল্লেখিত পরিমান রসুনকে কুঁচিয়ে নিতে হবে।
এবার রসুনের টুকরোগুলিকে নুন দিয়ে মেখে খেয়ে নিতে হবে।
জল গরম করে রাখুন, আর এই মিশ্রণটি খাওয়ার সাথেসাথেই গরম জলটা খেয়ে নিন।
আপনি খাবার খাওয়ার পর দিনে একবার এই প্রতিকারটি সেবন করতে পারেন।
খেয়াল রাখবেন এই প্রতিকারটি সেবন করার ২ ঘন্টার মধ্যে আপনি আর অন্য কিছুই খাবেন না।
তাই, বদহজম থেকে নিস্তার পেতে এই ঘরোয়া প্রতিকারটি ট্রাই করে দেখুন এবং অবশ্যই আমাদেরকে আপনার মতামত জানান।