Just In
- 34 min ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
- 16 hrs ago অসহ্য গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘরেই বানান ডিটক্স ওয়াটার
- 17 hrs ago গরমে ট্যানিংয়ের সমস্যা? আর নয়, ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া প্যাকগুলি
- 20 hrs ago ভ্যাপসা গরমে আপনাকে তৃপ্তি দেবে এক গ্লাস গোলাপ শরবত!
খুব মোটা হয়ে যাচ্ছেন নাকি? তাহলে কিন্তু...!
লেবুর রস ওজন কমানোর জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান।
দিন দিন ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা আজ প্রায় ঘরে ঘরে। কাজের চাপে ব্যায়াম দূর অস্ত, খাবারও নিয়ম মেনে খাওয়া হয় না। আর তার প্রভাব এসে পড়ে শরীরের ওপর। মূলত একজন ব্যক্তির বডি মাস ইনডেক্স বা বি এম আই হওয়া উচিত ১৮.৫ থেকে ২৫। এই পরিমাপ ৩০ পেরোলেই সমস্যার।
কিভাবে
মাপবেন
বি
এম
আই?
বি
এম
আই=
দেহের
ওজন
(কেজি)/
উচ্চতা
(মিটার)
X
উচ্চতা
(মিটার)।
ইচ্ছা
হলে
আমেরিকার
ন্যাশানাল
ইন্সটিটিউট
অফ
হেলথের
অনলাইন
ক্যালকুলেটারে
মেপে
নিতে
পারেন
আপনার
বি
এম
আই।
প্রসঙ্গত,
মোটা
হয়ে
যাওয়ার
সমস্যা
মূলত
নিয়মিত
শরীর
চর্চা
না
করা
এবং
ভাজাভুজি
বা
ফাস্ট
ফুড
জাতীয়
খাবার
বেশি
মাত্রায়
খাওয়ার
কারণে
হয়ে
থাকে।
এছাড়াও,
নিদ্রাহীনতা
এবং
জেনেটিক
কিছু
সমস্যার
কারণেও
অনেক
সময়
ওজন
বৃদ্ধি
হতে
দেখা
যায়।
এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন যে অতিরিক্ত ওজন কিন্তু নানাবিধ জটিল রোগকে ডেকে আনে। যেমন- ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ প্রভৃতি। তবে চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। কারণ বোল্ডস্কাই আপনাদের কাছে হাজির করছে, খুব সহজে কিভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তার গোপন ফর্মুলা। কী সেই ফর্মুলা?
১. লেবুর রস:
লেবুর রস ওজন কমানোর জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। লেবুর রস আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। এর ফলে খাবার হজমে সাহায্যকারী উৎসেচকগুলি সঠিকভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়। সেই সঙ্গে শরীরে অতিরিক্ত মেড জমার সুযোগ পায় না।
লেবুর রস ব্যবহারের উপায়:
১। তিন চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধু এবং দেড় চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো মেশান। যদি গোটা গোলমরিচ ব্যবহারের আগে গুঁড়ো করে নিতে চান, সেক্ষেত্রে চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ মাপে গোলমরিচ গুঁড়ো নিন।
২। সকাল বেলা খালি পেটে এটি পান করুন।
৩। তিন মাস টানা এই মিশ্রণটি পান করতে হবে উপকার পেতে।
২. আপেল সিডার ভিনিগার:
এই উপাদানটি দেহের ওজন কমাতে দারুণ কাজে লাগে। যদিও ঠিক কিভাবে এটি ওজন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কাজ করে, তা এখনও প্রমাণসাপেক্ষ।
আপেল সিডার ভিনিগার ব্যবহারের উপায়:
১। এক গ্লাস জলে দুই চা চামচ আপেল সিডার ভিনিগার মেশাতে হবে। প্রতিদিন সকালে খাওয়ার আগে এটি পান করতে হবে।
২। এক গ্লাস জলে এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনিগার এবং এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়েও পান করতে পারেন। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, দিনে দু চা চামচের বেশি আপেল সিডার ভিনিগার পান করা একদমই উচিত নয়। এতে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে এবং হাড়ে মিনারেলের অভাব দেখা দিতে পারে।
৩. অ্যালোভেরা:
এই প্রকৃতিক উপাদানটি ওজন কমাতে খুবই সাহায্য করে। কারণ অ্যালোভেরার রস, পাচক রসের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে খাবার খুব সহজে হজম হয় এবং শরীরের থেকে অতিরিক্ত ফ্যাট বা মেদ বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়।
অ্যালোভেরা ব্যবহারের উপায়:
১। দুটি তাজা অ্যালোভেরার পাতা নিন। খোসা ছাড়িয়ে জেলটা বের করে নিন।
২। এবার একটি ব্লেন্ডারে এক কাপ আঙুর বা কমলালেবুর রস মেশান। ইচ্ছা শুধু জলও ব্যবহার করতে পারেন। এবার ২-৩ মিনিট ব্লেন্ডারে ভাল করে বেঁটে নিন উপকরণগুলি।
৩। প্রতিদিন সকালবেলা, টানা তিনমাস এটি পান করতে হবে।
৪. গ্রিন টি:
চটজলদি রোগা হতে চান, তাহলে আজ থেকেই গ্রিন টি রান করা শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। আসলে এর মধ্যে থাকা এপিগ্যালোক্যাটেচিন-থ্রি-গ্যালেট, শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাটকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে গ্রিন টিতে উপস্থিত ভিটামিন সি, ক্যারটেনয়েড, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম এবং অন্যান্য মিনারেল এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫.লাল লঙ্কার গুঁড়ো:
লাল লঙ্কার গুঁড়ো শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে বাধা দেয়। কারণ এতে রয়েছে ক্যাপসেসিন নামক একটি উপাদান, যা একদিকে যেমন এনার্জি বৃদ্ধি করে, তেমনি শরীরের উতিউতি জমে তাকা অতিরিক্ত মেদকে ঝরিয়ে ফলতেও সাহায্য করে। ফলে নতুন করে ওজ বৃদ্ধির আশঙ্কা হ্রাস পায়।
লঙ্কা ব্যবহারের উপায়:
এক গ্লাস গরম জলে কিছুটা লাল লঙ্কার গুঁড়ো মেশাতে হবে। সেই সঙ্গে অর্ধেক লেবু থেকে সংগ্রহ করা রসও মেশাতে হবে। এক মাস টানা এই মিশ্রনটি পান করলে দারুন উপকার মিলবে।
৬. কারিপাতা:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ১০ টি করে কারিপাতা খেলে ওজন বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। তবে কমপক্ষে টানা তিন থেকে চার মাস কারিপাতা খেয়ে গেলে তবেই কিন্তু উপকার মেলে!