Just In
ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া দাওয়াই!
একাধিক প্রকৃতিক উপাদানকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই ডেঙ্গু জ্বরকে কাবু করা সম্ভব।
মশার আক্রমণ থেকে বাঁচতে পারলো না গান্ধী পরিবারও। তিন দিন আগে হঠাৎই মারাত্মক জ্বর নিয়ে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয় কংগ্রেস চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধীর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদরাকে। হাসাপাতাল সূত্র অনুসারে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
যেখানে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তাও মশাদের আক্রমণ আটকাতে পারলো না, সেখানে আমার-আপনার মতো সাধারণ মানুষের কী হাল হতে পারে তা একবার ভাবুন দেখি! তাই তো সময় থাকতে থাকতে হাতের কাছে সব রকমের অস্ত্র মজুত রাখাটা মাস্ট! কারণ কে বলতে পারে কখন একটা মশা এসে কামড় বসায় শরীরে। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশের প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। সম্প্রতি জাপানি গবেষকদের প্রকাশ করা এক রিপোর্ট অনুসারে গত কয়েক দশকে নানা কারণ সমগ্র বিশ জুড়েই ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পয়েছে, যে কারণে বছরপিছু ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ মিলিয়ানে এসে ঠেকেছে। শুধু তাই নয়, বিশ শতকের পর থেকে প্রায় ১০০ টা দেশে এই ভাইরাল ইনফেকশন প্রায় মহামারীর আকার ধারণ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে কিভাবে ঘরে বসেই ডেঙ্গু ফিবারের চিকিৎসা করা যেতে পারে, সে বিষয়ে জেনে নেওয়াটা কি জরুরি মনে হয় না?
একাধিক প্রকৃতিক উপাদানকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই ডেঙ্গু জ্বরকে কাবু করা সম্ভব। এক্ষেত্রে সাধারণত যে যে উপাদানগুলির প্রয়োজন পরবে, সেগুলি হল...
১. জল:
ডেঙ্গু ফিবারে আক্রান্ত হলে শরীরে জলের মাত্রা কমতে শুরু করে। তাই এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া একান্ত প্রয়োজন। এমনটা করলে ডেঙ্গুর বেশ কিছু লক্ষণ নিমেষে কেমে যায়, যেমন- মাথা যন্ত্রণা, পেশির ব্যথা বা ক্র্যাম্প, ডিহাইড্রেশন প্রভৃতি। প্রসঙ্গত, শরীরে জলের মাত্রা বাড়লে দেহে উপস্থিত টক্সিক উপাদানের মাত্রাও কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভাইরাল ইনফেকশনের প্রকোপ কমতে শুরু করে।
২. নিম পাতা:
ডেঙ্গুর মতো ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ কমাতে নিম পাতার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরী উপাদান শরীরে প্লেটলেট কাউন্ট বাড়ানোর পাশাপাশি শ্বেত রক্ত কণিকার মাত্রা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এখানেই শেষ নয়, দেহের রোগ প্রতিরোধি ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলে ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রভাবকে দ্রুত কমিয়ে ফেলতেও নিম পাতা সাহায্য করে থাকে।
৩. পেঁপে পাতা:
প্লেটলেট কাউন্ট বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বৃদ্ধিতে পেঁপে পাতা দারুনভাবে কাজে আসে। সেই সঙ্গে দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়িয়ে তুলে ডেঙ্গু জ্বরের নানাবিধ লক্ষণ কমাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি সাহায্য করে থাকে। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন পেঁপে পাতার রস খাওয়াতে হবে রোগীকে। তবেই উপকার মিলবে।
৪. কমলা লেবুর রস:
এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কমানোর পাশাপাশি ভাইরাসের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, কমলা লেবুর রস একদিকে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, তেমনি শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিনকেও বার করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রোগের প্রকোপ কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, কমলা লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি কোষেদের ক্ষত সারাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ফলে সার্বিকভাবে শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠতে একেবারে সময়ই লাগে না।
৫. তুলসি পাতা:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ কমাতে তলসি পাতা দারুনভাবে কাজে আসে। সেই কারণেই তো আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা এমন রোগীদের নিয়মিত তুলসি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।