Just In
ঠাণ্ডা লেগেছে? গোলা ব্যাথা? সেরে উঠুন ঘরোয়া পথ্যে
অবশেষে প্যাচপ্যাচে ঘামে ভেজা গরমের হাত থেকে মুক্তি। যে বৃষ্টির জন্য হা-পিত্যেশ করে থাকা, ভগবানের কাছে প্রার্থনা কিছুই বাদ যায়নি, সেই বর্ষাকাল এখন আমাদের প্রতিদিনের সঙ্গী। স্কুল, বাজার বা অফিস সব কিছুকেই বজায় রাখতে হচ্ছে বৃষ্টিকে সঙ্গে নিয়ে। তবুও আনন্দ, বাড়ি ফিরে গরম এক কাপ চা আর সঙ্গে ভাজাভুজি। বর্ষাকাল পর্ব পুরো হিট।
তবে, ওই যে কথায় বলে, কারোরই বেশী ভালো সয় না। তাই তো বৃষ্টিতে ভেজার আনন্দের মাঝে ভিলেন হয়ে দাঁড়ায় নাক বন্ধ, সর্দি, গলা ব্যাথার মতো সমস্যাগুলো। এছাড়াও পেটের রোগ আর আরও কত কি আছে! আসলে বর্ষাকালে জল এবং জলীয় বাতাসের জন্য আমাদের শরীর সব সময় অসুস্থ হতেই থাকে, তা সে বয়স্ক হোক বা শিশু।
বর্ষাকাল মানেই সব সময় বেশ আনন্দের আবহ, তা কিন্তু নয়। ভারতবর্ষের মত দেশ, যেখানে রাস্তায় জল জমা, নোংরা জমে থাকা খুবই সাধারণ ব্যাপার, সেখানে রোগভোগের থাবা যে যে কোনও সময়ই বসতে পারে, তা খুব সহজেই অনুমানযোগ্য। বর্ষাকালে আমাদের দেশে প্রকট ভাবে দেখা যায় বিভিন্ন জলবাহিত রোগ। এছাড়াও, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো অসুখ তো দিনেদিনে আরো মারাত্ম হয়ে উঠছে। তবে, এমন ভয়াবহ রোগগুলি সবার না হলেও, সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যাথা এই সময়ে প্রায় প্রত্যেকেরই হয়ে থাকে।
যদিও, এই ধরনের সমস্যা বছরের যে কোনও সময়েই হতে পারে। আর এই কারণে আমাদের দৈনন্দিন জীবনও ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত হয়। আমাদের মনে রাখা উচিৎ যে, সামান্য গলা ব্যাথা, মাথা ধরা বা সর্দি কাশির মতো সমস্যা খুব বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যেতে পারে, যদি আমাদের সঠিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকে। কারণ, গলা ব্যাথা, মাথা ধরা বা সর্দি কাশির মতো সমস্যাগুলি হয় মূলত নানারকম ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুর কারণে।
তাই তো আমাদের উচিত শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ানো। যাতে এই ধরনের অসুখ গুলোকে আমরা খুব সহজেই কাবু করতে পারি।
সময়ের অভাব হোক বা ইচ্ছার অভাব, আমরা সাধারণ সর্দি কাশিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে নি। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে, বেশ কিছু সহজ ঘরোয়া পদ্ধতিতেও কিন্তু এমন সব রোগের চিকিৎসা সম্ভব হয়, যার খোঁজ দেওয়া হল আজ বোল্ডস্কাই-এর এই নিবন্ধে।
উপাদান:
১.
ব্রাউন
সুগার-
১
টেবিল
চামচ
২.
লবঙ্গ-
৪-৫
টি
৩.
তুলসি
পাতা-
৫-৬
টি
৪.
হলুদ-
১
টেবিল
চামচ।
উপরোক্ত
উপাদান
গুলি
খুব
সহজেই
সর্দি
কাশি,
জ্বর,
গলা
ব্যাথা
ইত্যাদি
থেকে
রক্ষা
করে।
এছাড়াও
প্রতিদিন
এই
উপাদানগুলি
ব্যবহার
করলে
শরীরের
সাধারণ
জীবাণুঘটিত
অসুখগুলি
প্রতিরোধ
করার
ক্ষমতা
গড়ে
ওঠে।
এছাড়াও
বর্ষাকালে
বিশেষ
কিছু
দিকে
খেয়াল
রাখতে
হয়।
যেমন-
শরীর
যতটা
সম্ভব
গরম
রাখা।
অর্থাৎ
জল
কম
ঘাটাঘাটি
করা,
বাড়ির
চারপাশ
এবং
ঘর
পরিষ্কার
রাখা।
সবথেকে
বড়
কথা,
হঠাৎ
করে
সর্দি
কাশি
বা
জ্বর
হলে
নিজেকে
যতটা
সম্ভব
সাবধানে
রাখা,
যাতে
পরিস্থিতি
আরও
জটিল
আকার
ধারণ
না
করে।
বর্ষাকালে যে ধরনের সর্দি কাশি বা জ্বর হয়, তাতে গায়ে ব্যাথা খুব স্বাভাবিক লক্ষণ। এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ ভাইরাল জ্বর শরীরকে খুব দুর্বল করে দেয়। তবে, ঘরোয়া টোটকার দ্বারা এই সমস্যাগুলি থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।
তাহলে দেখে নেওয়া যাক, কিভাবে বানাতে হবে প্রাকৃতিক উপাদানে সমৃদ্ধ এই বিশেষ পথ্যটি...
পদ্ধতি:
১.
উপরোক্ত
উপাদানগুলিকে
একসঙ্গে
একটি
পাত্রে
জল
দিয়ে
ফোটাতে
হবে।
২.
এরপর
জলটিকে
ছাঁকনি
দিয়ে
ছেঁকে
একটি
গ্লাসে
রাখতে
হবে।
৩.
গরম
থাকাকালীন
সেই
গরম
পানীয়টি
পান
করতে
হবে।
৪.
এই
পানীয়টি
খুব
কম
সময়ে
সর্দি-কাশি,
গলা
ব্যাথা
এবং
জ্বরের
হাত
থেকে
মুক্তি
দেয়।
৫.
প্রতিদিন
একবার
করে
খেলে
খুব
তাড়াতাড়ি
কাজ
দেয়।