For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

আঙুলটা একবার ঠিক মতো চেপে ধরলেই দেখবেন কেল্লাফতে!

আঙুলটা একবার ঠিক মতো চেপে ধরলেই দেখবেন কেল্লাফতে!

|

আধুনিক চিকৎসার জন্ম হতে যখন ঢের দেরি, তখনও মানুষ রোগে ভুগত, সুস্থও হয়ে উঠত। তবে সে সময়কার চিকিৎসা পদ্ধতি ছিল একেবারেই আলাদা। সনাতনী এই সব চিকিৎসা পদ্ধতিগুলির খোঁজ আজকাল কেউ রাখে না। তাই বলে যে এগুলি তেমন কার্যকরি ছিল না, তা নয় কিন্তু!

আজ এই প্রবন্ধে এমনই একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে যেখানে রোগ সারাতে আঙুলের উপর ভরসা করা হত। একদম ঠিক শুনেছেন। এক একটি আঙুলের সঙ্গে আমাদের শরীরের এক একটা অঙ্গের যোগ রয়েছে। তাই তো শরীরের যেখানে সমস্যা, সেই অংশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত আঙুলটিকে চেপে ধরলেই রোগের প্রকোপ কমতে শুরু করবে। শুনতে একটু আজব গোছের লাগছে, তাই তো? কিন্তু বিশ্বাস করুন এই চিকিৎসা পদ্ধতি এক সময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

এই চিকিৎসা পদ্ধতিটিকে জিন শিন জায়ুটসু নামে ডাকা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতিটিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের শরীরের অন্দরে উপস্থিত এনার্জির ভারসাম্য় ঠিক রাখার মাধ্যমে রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। একাধিক প্রাচীন নথি ঘেঁটে জানা গেছে মানসিক অবসাদ, অ্যাংজাইটি, পিঠের যন্ত্রণা, ঘারের যন্ত্রণা সহ একাধিক রোগের চিকিৎসায় এই পদ্ধতিটি দারুন কাজে আসত। তাই তো এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আজ বোল্ড স্কাই বাংলার পাঠকদেরও শেখানো হবে এই সুপ্রাচিন পদ্ধতিটিকে কীভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে, সে সম্পর্কে।

তথ্য ১:

তথ্য ১:

যেমনটা আগেও বলেছি আমাদের হাতের এক একটা আঙুলরে সঙ্গে শরীরের এক একটা অংশের যোগ রয়েছে। যেমন...

বুড়ো আঙুল- স্টমাক, প্লীহা

তর্জনী- কিডনি, ব্লাডার

মধ্যমা- গল ব্লাডার, লিভার

অনামিকা- কোলোন, লাং

কনিষ্ট আঙ্গুল- ক্ষুদ্রান্ত, হার্ট

তালুর মাঝের অংশ- তলপেট

তথ্য ২:

তথ্য ২:

জিন শিন জায়ুটসু পদ্ধতিতে এও বলা হয়েছে যে আমাদের মানসিক অবস্থার সঙ্গেও আঙুলের সরাসরি যোগ রয়েছে। যেমন...

বুড়ো আঙুল- চিন্তা

তর্জনী- ভয়, মানসিক অবসাদ

মধ্যমা- রাগ

অনামিকা- দুঃখ

কনিষ্ট আঙ্গুল- নার্ভাসনেস, মনের জোর কোমে যাওয়া

তালুর মাঝের অংশ- আনন্দ

পদ্ধতি:

পদ্ধতি:

এখন অপনার মনের অবস্থা কেমন আছে? কী করে বুঝব মন কী চাইছে? খুব সহজ! ২ মিনিট চুপ করে বসুন। সেই সঙ্গে জরে জরে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে থাকুন। এমনটা করলে আপনার মন শান্ত হবে। মানসিক চাপও কমবে। সেই সঙ্গে আপনি আপনার মনের অবস্তা সম্পর্কেও জানতে পারবেন।

ধাপ ২:

ধাপ ২:

এবার বুঝতে পারছেন তো আপনার মনে কী চলছে। এখন সমস্যা বুঝে সেই মতো আঙুলটা ভাল করে ধরে হালকাভাবে টিপতে থাকুন। ধরুন অপনি খুব ভয়ে আছেন, তাহলে তর্জনীটা ভাল করে টিপতে থাকুন। দেখবেন অল্প সময়ের মধ্যেই মন ভাল হয়ে যাবে। আচ্ছা ধরুন, আপনি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন। তাই বেশ চিন্তায় আছেন। এক্ষেত্রে মনের চাপ কমাতে কোন আঙুলটা টিপতে হবে বলুন তো? একদম ঠিক বলেছেন, কনিষ্ট আঙ্গুলটা চিপলেই দেখবেন মনের জোর ফিরে এসেছে।

ধাপ ৩:

ধাপ ৩:

কম করে ৩-৪ মিনিট আঙুলটা চিপে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে হবে। তবেই কাজে দেবে। এইভাবে একে একে দুই হাতের আঙুলকেই কাজে লাগাতে হবে।

তথ্য ৩:

তথ্য ৩:

শরীর সুস্থ রাখতে যে কোনও সময়, যে কোনও জায়গায় এই পদ্ধতিটিকে কাজে লাগাতে পারেন।

তথ্য ৪:

তথ্য ৪:

সারা শরীরে যেমন রক্ত প্রবাহ হয়। তেমনি এনার্জিও দেহের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাতায়াত করে। এমনকী ভারতীয় যোগাসন বিদ্যাকেও এমন কথা বলা আছে যে "প্রাণ" বা লাইফ ফোর্সও সারা শরীরের ঘোরাফেরা করে। আর এই এনার্জিই আমাদের বাঁচায়ে রাখে, আনন্দে রাখে। আর এই প্রবন্ধে আলোচিত পদ্ধতিটির মাধ্যমে এই এনার্জিকে বাড়িয়ে তোলা হয়। ফলে শরীরের নানা বাঁধা, নানা কষ্ট ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।

English summary

আঙুলটা একবার ঠিক মতো চেপে ধরলেই দেখবেন কেল্লাফতে!

This method is said to treat depression, anxiety, back pain, neck pain and even PTSD too. And, all it takes is just pressing or holding your fingers gently. Surprised? Read on to know more...
Story first published: Tuesday, April 4, 2017, 12:29 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion