Just In
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর এই ৫ পানীয়, আজই ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন!
আমরা সকলেই জানি যে, ডায়াবেটিস হল একপ্রকার দীর্ঘমেয়াদী রোগ। একবার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে সারাজীবন তাকে বয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাই চিকিৎসকরা ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়মমাফিক জীবনযাপন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর এই নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল খাদ্যাভ্যাস।
ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন ধরনের খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারের পাশাপাশি পানীয়ের দিকেও বিশেষ নজর দিতে বলা হয়। আজ আমরা এমন কিছু পানীয় সম্পর্কে আলোচনা করব, যা ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি হতে পারে।
১) ছাতুর শরবত
প্রাকৃতিক শক্তিবর্ধক পানীয়গুলির মধ্যে ছাতুর শরবত অন্যতম। এটি মূলত ছোলা থেকে তৈরি হয়। ছোলার ছাতুতে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট থাকে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রায় কোনও ব্যাঘাত ঘটায় না এবং তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি যোগায়। এছাড়াও, দীর্ঘসময় সময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখতেও সাহায্য করে ছাতু।
ছাতুর শরবত তৈরি করতে, প্রথমে এক গ্লাস নর্মাল জলে ছাতু ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর তাতে পরিমাণমতো বিটনুন, পেঁয়াজ কুচি এবং লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
২) সাবজা দানার শরবত
ফালুদার অন্যতম উপকরণ হল সাবজা দানা। উচ্চ পিএইচ যুক্ত এই সাবজা দানা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, সহজলভ্য এবং বেশ জনপ্রিয়। তাছাড়া ফাইবার সমৃদ্ধ সাবজা ওজন কমানো এবং রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়তা করে।
সাবজা দানার শরবত তৈরি করতে, প্রথমে এক চা চামচ সাবজার দানা নিয়ে ভালো করে ধুয়ে জলে দিয়ে দিন। হালকা ঝাঁকিয়ে নিন। রিফ্রেশিং এফেক্ট দিতে চাইলে আপনি বরফের কিউব যোগ করতে পারেন। এই পানীয়টিতে মিষ্টি স্বাদ চাইলে, আপনি খাঁটি মধু বা গুড় ব্যবহার করতে পারেন।
৩) ভেজিটেবল জুস
এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর পানীয়। বেশিরভাগ ফলের রসেই অত্যধিক চিনি মেশানো হয়, তাই আপনি মিক্সড ভেজিটেবিল জুস ট্রাই করে দেখতে পারেন। কিছু সবুজ শাক সবজি ও এক মুঠো বেরি নিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এই মিশ্রণটি আপনাকে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করবে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারি।
এক কাপ হার্বাল চায়েই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস! দেখুন কোন চা পান করবেন
৪) চিনি ছাড়া কফি
গবেষণায় দেখা গেছে যে, কফি পান করলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমে। যারা প্রতিদিন দুই-তিন কাপ কফি খান, তাদের ঝুঁকি অনেকটাই কমে। তবে অবশ্যই চিনি ছাড়া কফি খাওয়া উচিত। চিনি এবং ক্রিম যোগ করলে ক্যালোরির মাত্রা বাড়তে পারে, যা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই ব্ল্যাক কফিই সবচেয়ে সেরা।
৫) জল
ডায়াবেটিস রোগীদের প্রচুর পরিমাণে জল পান করা উচিত। কারণ এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াবে না। হাই ব্লাড সুগার লেভেল ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে, প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত গ্লুকোজ দূর হতে পারে।