Just In
প্রতিদিন ১৫ মিনিট হাঁটলে কী হতে পারে জানা আছে?
প্রতিদিন ১৫ মিনিট হাঁটলে কী হতে পারে জানা আছে?
প্রতিদিন ১৫ মিনিট হাঁটলে কী হতে পারে জানা আছে?
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, শরীরচর্চার প্রতি অনীহা এবং অবশ্যই অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, এইসব নানা কারণে গত কয়েক বছরে সারা বিশ্বে রোগের প্রকোপ চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পয়েছে। আর যত দিন যাচ্ছে তত পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে, তাই তো আশেপাশে একবার চোখ ফিরয়ে দেখুন চেনা জানার মধ্যে কেউ না কেউ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ অথবা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এমন অবস্থা যাতে আপনার না হয়, তার জন্য এই প্রবন্ধটি পড়া মাস্ট!
জীবনযাত্রা সম্পর্কিত এই সব রোগকে কীভাবে আটকানো সম্ভব? একটা সহজ কাজ করতে হবে। তাহলেই দেখবেন এত বিষ বাষ্পের মধ্যে থেকেও শরীর একেবারে চাঙ্গা রয়েছে। কী সেই সহজ কাজ? কিছুই না। প্রতিদিন হাঁটতে হবে। এবার নিশ্চয় ভাবছেন কতক্ষণ বা কত কিমি হাঁটলে উপকার পাবেন তাই তো? একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে দিনে মাত্র ১৫ মিনিট হাঁটলেই দারুন উপকার পাওয়া যায়। এমন অভ্যাস ধীরে ধীরে শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে তরতাজা করে তোলে। এখানেই শেষ নয়। হাঁটার আরও উপকার আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
১. জয়েন্টের জোর বৃদ্ধি পায়:
প্রতিদিন ১৫ মিনিট হাঁটলে পায়ের পেশি এবং হাড় ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে ওটে। ফলে আগামী দিনে জয়েন্টের সমস্যায় কাবু হয়ে পরার অশঙ্কা কমে।
২. মন খুশিতে ভরে ওঠে:
যত হাঁটবেন তত শরীরে এন্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পাবে। এই হরমোনটি মস্তিষ্কে বিক্রিয়া করে মনকে ভাল করে দেয়। তাই তো এবার থেকে মন খারাপ থাকলেই একটু হাঁটতে বেরিয়ে যাবেন, উপকার যে পাবেনই, তা হলফ করে বলতে পারি।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:
অপনি কি রক্ত চাপের সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে প্রতিদিন ১৫ মিনিট হাঁটা মাস্ট! এমনটা করলে শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে, ফলে রক্তচাপ কমতে শুরু করবে।
৪. ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে:
হাঁটলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই যাদের পরিবারে এই মারণ রোগের ইতিহাস আছে, তারা আজ থেকেই দৈনিক ১৫ মিনিট করে হাঁটা শুরু করুন। এমনটা করলে দেখবেন কোনও দিন ডায়াবেটিস আপনাকে ছুঁতেও পারবে না।
৫. হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে:
প্রতিদিন হাঁটলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বভাবিক হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে রক্তচাপও কমে যায়। ফলে নানা ধরনের হার্টের রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে:
প্রতিদিন মাত্র ১৫ মিনিট হাঁটুন। দেখবেন ওজন কখনও বিপদ সীমার উপরে যাবে না। আসলে হাঁটার সময় আমাদের শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি ঝড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন হয়ে গিয়ে ওজন বাড়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৭. ভিটামিন- ডি এর মাত্রা বৃদ্ধি করে:
সূর্য উঠে যাওয়ার পর হাঁটলে শরীরে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি দূর হয়। ফলে হাড় শক্তপোক্ত হতে শুরু করে। আর এমনটা হলে জীবনকালে কোনও দিনই অর্থোপেডিকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পরে না।
৮. ব্লাড ক্লট হওয়ার আশঙ্কা কমে:
রক্তচলাচল বাঁধাপ্রাপ্ত হলে সারা শরীরের উপর কুপ্রভাব পরে। আর এমনটা যাতে না হয় তার জন্য় প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ যত হাঁটবেন, তত শরীরে রক্তচালাচল ভাল হতে শুরু করবে। কমবে ব্লাড ক্লটের আশঙ্কা।