Just In
তুলসী চা পানেই দূর হবে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা! জেনে নিন এর উপকারিতা
তুলসীর একাধিক গুণাগুণ আর রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা সম্পর্কে আমরা কম-বেশি সকলেই অবগত। যুগ যুগ ধরে ছোটোখাটো নানা রোগের ওষুধ হিসেবে তুলসি পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা কমাতে তুলসী দারুণ কার্যকর। মধু ও তুলসী পাতা জ্বর, সর্দি-কাশির মহৌষধ বলা যেতে পারে। তবে আপনি চাইলে চায়ে তুলসী পাতা দিয়েও খেতে পারেন।
তুলসী চা সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা থেকে স্বস্তি দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্যের আরও অনেক উপকার করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, তুলসী চা তৈরির পদ্ধতি এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে -
শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে সাহায্য করে
তুলসি চা শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করে। হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস এবং সাধারণ সর্দি-কাশি থেকেও স্বস্তি দিতে পারে। তুলসি পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ কমায়
গবেষণা অনুসারে, তুলসি চা শরীরে কর্টিসল হরমোনের (stress hormone) মাত্রা কমায়, যা স্ট্রেসের পাশাপাশি উদ্বেগ কমাতেও সাহায্য করে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে তুলসী চা। এটি কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের বিপাককে আরও সহজ করতে সাহায্য করে।
দাঁত ও মৌখিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখে
তুলসী পাতায় অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিয়মিত তুলসি চা পান করলে মুখের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু দূর হয়। তুলসী চা মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও কাজ করে এবং নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ কমাতেও সাহায্য করে।
বাতের রোগীদের জন্য উপকারী
তুলসিতে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গুণ। সেই অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণের বশেই তুলসী জয়েন্টের ব্যথা কমাতে পারে। তাই আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত মানুষকে অবশ্যই সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
কী ভাবে বানাবেন তুলসী চা?
এক বাটি জলে এক মুঠো তুলসী পাতা দিয়ে ফোটাতে থাকুন। কিছুক্ষণ ফোটানোর পর আঁচ নিভিয়ে এতে মেশান এক চামচ মধু আর দু'চামচ লেবুর রস। মধু শক্তি জোগায়, লেবুর ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজে লাগবে। তুলসীর প্রভাবে জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ কম থাকবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। নিয়মিত খেলে প্রদাহের প্রবণতাও কমবে।