Just In
(ছবি) জেনে নিন শরীর সুস্থ রাখতে কীভাবে শোবেন
আপনি জেনে আশ্চর্য হবেন যে ঘুমানোর সময়ে শোওয়ার ধরন আপনার শরীরকে সুস্থ ও অসুস্থ, দুটোই করে তুলতে পারে। যেভাবে শুয়ে ঘুমোলে আমরা স্বচ্ছ্বন্দ বোধ করি, সেভাবেই ঘুমানোর চেষ্টা করি আমরা।
তবে জানেন কি, বামদিকে কাত করে ঘুমানোর বহু উপকারিতা রয়েছে যা আমাদের অনেকেরই অজানা। আমরা অনেকেই যেকোনও একদিকে কাত হয়ে শোওয়া অভ্যাস করি। যারা বামদিকে কাত করে ঘুমোন, শারীরিকভাবে তারা অনেকবেশি শক্তপোক্ত ও নিরোগ হন।
নিচের স্লাইডে জেনে নিন, বামদিকে শোওয়া অভ্যাস করলে কী কী স্বাস্থ্য উপকারিতা হতে পারে আপনার।
বড় রোগের রাত থেকে বাঁচায়
বামদিকে কাত হয়ে শুলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়ে যেতে সুবিধা হয়। এর ফলে বড় রোগের হাত থেকে শরীর রক্ষা পায়।
কিডনি ও লিভার ভালো কাজ করে
যেহেতু এই দুটি অঙ্গ শরীরের মেটাবলিজমকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। বাম দিকে কাত হয়ে শুয়ে থাকলে শরীর থেকে বেশি করে টক্সিন বের করে শুরু করে কিডনি ও লিভার।
হজম ক্ষমতা বাড়ায়
বাম দিকে কাত হয়ে থাকলে পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয় স্বাভাবিকভাবে ঝুলে থাকে। ফলে খাবার হজম হতে সময় কম লাগে। পাকস্থলী খানিক ঝুলে থাকায় খাবার তাতে গিয়ে হজম হতে বেশি সুবিধা হয়। মাঝে মাঝে অগ্ন্যাশয় থেকে এনজাইম বেরিয়ে এসে খাবার হজম করতে অনুঘটকের কাজ করে।
পেট পরিষ্কার রাখে
পাকস্থলী খানিক ঝুলে থাকলে মাধ্যাকর্ষণের ফলে ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে বৃহদান্ত্রে খাবার যেতে সুবিধা হয়। এছাড়াও শরীরের বর্জ্য সকালে বেরিয়ে যেতেও সাহায্য করে বাম দিকে শোওয়া।
হার্টকে বেশি সচল রাখে
বাম দিকে কাত হয়ে শুলে হার্টের উপরে রক্ত চলাচলের চাপ কম পড়ে। একইসঙ্গে হৃদপিণ্ডে রক্ত চলাচলের পরিমাণও বেড়ে যায়।
অ্যাসিডিটি ও বুক জ্বালা কমায়
বামদিকে কাত করে শুলে গ্যাসট্রিক অ্যাসিডের তৈরি হওয়া কমে যায় ও একইসঙ্গে তা উপরে উঠে বুকে ধাক্কা মারতে পারে না। ফলে বুক জ্বালাও হয় না।
সকালের ক্লান্তি কমায়
বামদিকে কাত হয়ে শুলে লিভার ও গল ব্লাডারের পজিশন ঠিক থাকে। এর ফলে হজমের উন্নতি হয় ও সকালে ওঠার সময়ে আমাদের যে ক্লান্তি থাকে তা অনেকটা কেটে যায়।
ফ্যাটি লিভার হয় না
বাম দিকে কাত হয়ে শুলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে পারে না। ফলে ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা অনেক কমে যায়।