Just In
কুকুর, বিড়ালের সঙ্গই পারে আপনার স্বাস্থ্য ভাল রাখতে! জেনে নিন বাড়িতে পোষ্য রাখার উপকারিতা
বাড়িতে কুকুর, বিড়াল পুষতে অনেকেই পছন্দ করেন, আবার অনেকেই ভয় পান, বিশেষ করে যাঁদের ছোটো বাচ্চা আছে। এক বাড়িতে কুকুর আর শিশু! না অনেকেই পছন্দ করেন না। পোষ্য থাকলে শিশুর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বেশি, রোগজীবাণু ছড়ানোর ভয়ও বেশি, এই ভেবে অনেকেই পিছিয়ে যান। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন, কুকুর ও বিড়ালের সঙ্গই পারে বাড়ির বাচ্চা এবং বড়দের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে। একথা উঠে এসেছে সাম্প্রতিক গবেষণায়।
যে বাড়িতে কুকুর, বিড়াল পোষা হয় সেখানে শিশুদের অ্যালার্জির সম্ভাবনা কম, বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয়। বাড়ির সকলের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে। তাহলে জেনে নিন, বাড়িতে যে কোনও প্রাণী পোষার কী কী উপকারিতা রয়েছে-
১) ইমিউনিটি শক্তিশালী করে এবং অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে
বাড়িতে যদি পোষ্য কুকুর থাকে তাহলে বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছেলেবেলা থেকেই শক্তিশালী হতে শুরু করে এবং অ্যালার্জি প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে ওঠে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, বাড়িতে পোষ্য থাকলে ছোটো বাচ্চাদের অ্যালার্জি হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৩৩ শতাংশ কম থাকে।
২) রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
CDC অনুসারে, পোষ্যেরা উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, বাড়িতে বিড়াল পুষলে মনিবের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৩০ শতাংশ এবং স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৪০ শতাংশ কম থাকে।
৩) হার্ট ভাল রাখে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাকের পেশেন্টরা পোষ্যের সঙ্গে থাকলে তাঁদের আয়ু আরও বেড়ে যায়। এছাড়াও, পোষ্যের মালিকের শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটাই কম থাকে।
৪) শারীরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
পোষ্যের সঙ্গে নিয়মিত হাঁটলে বা খেলা করলে রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা অনেকটাই কমতে পারে। তাছাড়া, কুকুর, বিড়ালকে প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটানোর অভ্যাস করালে তাদেরও স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
৫) হ্যাপি হরমোন বৃদ্ধি করে
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, পোষ্যের লালন-পালন করলে শরীরে অক্সিটোসিন নামক ফিল-গুড হরমোন বা হ্যাপি হরমোনের মাত্রা অনেকটা বাড়ে এবং স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা অনেকটাই কমে। এর ফলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা, একাকীত্ব এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে।
৬) ছোটো বাচ্চাদের বিকাশে সাহায্য করে
বাচ্চাদের সুস্থ-সবলভাবে বড় হওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক মানসিক বিকাশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর, শিশুদের মানসিক বিকাশে সাহায্য করে পোষা প্রাণীরা। বিশেষ করে, ADHD রোগী এবং অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের সুস্থভাবে বড় হয়ে উঠতে সাহায্য করে বাড়ির পোষা প্রাণীরা। বিড়াল, কুকুর অথবা গিনিপিগ, যে পোষ্যই হোক না কেন, বাচ্চাদের বিকাশের ক্ষেত্রে সমস্ত প্রাণীই দারুণ ভূমিকা পালন করে।