(ছবি) এই কয়েকটি সহজ উপায়ে খুশি ফিরিয়ে আনুন জীবনে

হাসি

হাসিকে শরীর সুস্থ রাখার সবচেয়ে বড় ওষুধ বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। হাসি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে ও আপনার মুডকে ভালো রাখে। খুশি থাকার অন্যতম বড় শর্ত হাসি।

ধ্যান

বহুসময় নেতিবাচক চিন্তায় আমাদের মন পূর্ণ হয়ে থাকে। ফলে শরীরের এনার্জি একেবারে শেষ হয়ে যায়। তাই সেসব থেকে দূরে সরে থাকতে ধ্যানের মাধ্যমে মনকে শান্ত রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। সপ্তাহে অন্তত ২ বার ধ্যান করলে মানসিকভাবে অনেক চাঙা থাকতে পারবেন।

যোগ ব্যায়াম

যোগ ব্যায়াম আপনাকে মানসিকভাবে অনেক কঠিন করে তুলবে। যেকোনও সমস্যা সামনাসামনি হওয়ার মানসিক বল আপনি খুঁজে পাবেন।

দিনে ৬ বার খান

একেবারে বেশি করে না খেয়ে অল্প অল্প করে বারেবারে খান। দিনে ৫-৬ বার খাওয়া অভ্যাস করুন। তাহলে শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন যেমন যাবে, তেমনই ব্লাড সুগারকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। সঠিক খাবার খেলে মনও খুশি থাকবে।

নিকটজনের সঙ্গে যোগাযোগ

টিভি বা কম্পিউটার আপনাকে খুশি করতে পারবে না। বরং সবসময় নিকট লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে, কথা বললে বা সময় কাটালেই আপনি খুশি থাকতে পারবেন।

দুঃখের অতীতকে মনে রাখবেন না

প্রতিটি মানুষের জীবনেই নানা বিষাদের ঘটনা ঘটতে থাকে। সেই সব অতীতের ঘটনা মন থেকে সরিয়ে দিয়ে বর্তমানে মন দিন, খুশি থাকবেন।

লক্ষ্য তৈরি করুন

বেঁচে থাকা ও জীবনে এগিয়ে চলতে গেলে প্রতিটি মানুষকেই নিজের লক্ষ্য তৈরি করতে হয়। লক্ষ্য তৈরি করে ইতিবাচক মানসিকতায় ভর করে তা পূরণ করতে হয়। লক্ষ্যপূরণের আনন্দই আলাদা, মনকে খুশিতে ভরিয়ে তোলে।

গান শুনুন

ক্লান্ত থাকলে বা অবসাদে ভুগলে ভালো গান শুনুন। মস্তিষ্ককে শান্ত করে তা মনকে খুশি রাখতে সাহায্য করে।

ধাঁধার সমাধান করুন

মন খারাপ থাকলে তাকে অন্যদিকে ভুলিয়ে রাখুন। ধাঁধার সমাধান করতে পারেন। পাজল বা ক্রসওয়ার্ড বা সুডোকু খেলতে পারেন।

হাঁটা

প্রতিদিন বেশ কিছুক্ষণ করে হাঁটলে সহজে অবসাদ আসে না। পরিশ্রম করলে আপনার এনার্জি লেভেল বাড়বে এবং মন ভালো থাকবে।

অন্যের প্রশংসা করা

এখনকারদিনে কেউই নিজের নামে সমালোচনা শুনতে চায় না। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন পাশের লোকটিকে প্রশংসা করে খুশি রাখতে। আশপাশের পরিবেশ ভালো থাকলে আপনিও খুশি থাকবেন সবসময়।

কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলবেন না

সবসময় অন্যকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলবেন না। এই গুণটি আয়ত্ত করা ভালো থাকার পথকে আরও মসৃণ করবে।