Just In
- 14 min ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 1 hr ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 5 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 6 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
গ্যাসের ধাক্কা সামলাবে এবার হোমিও মেডিসিন!
মারাত্মক পেট ভার। সেই সঙ্গে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হওয়া এবং বুকের কাছে অস্বস্তি, এমন লক্ষণ দেখা দিলে এই ওষুধটি খেতে হবে আর্জেন্টাম নিট ওষুধটি।
দেখতে দেখতে সময় এল ফুরিয়ে। হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন ব্যাস। তার পরেই ঢাকের বোলে আনন্দে ভরে উঠবে আমাদের জীবন। তা বন্ধুরা কবে-কবে হোল নাইট যাওয়া হচ্ছে, কোন কোন রেস্টোরেন্টে অগ্রিম টেবিল বুকিং করা হবে, তার ছক নিশ্চয় কষে ফেলা হয়েছে? তাহলে আর অপেক্ষা কেন শেষ প্রস্তুতিটাও সেরে ফেলুন!
গাড়ি বুক, দিন ফাইনাল, বন্ধুরাও সবাই হ্যাঁ বলে দিয়েছে। তাহলে প্রস্তুতিতে আর কী বাকি থাকলো, এটাই ভাবছেন তো? আরে মশাই রাত জেগে প্যান্ডেল হপিং, সেই সঙ্গে কখনও বিরিয়ানি, তো কখনও চাইনিজ, মাঝে মাঝে তো ঘুগনি, ফুচকাও তো চলবে নাকি! এমন অবস্থায় পেটটাকে ঠিক রাখতে হবে তো। আর সেই প্রস্তুতিটাই যে বাকি থেকে গেছে বন্ধুরা।
এখন প্রশ্ন হল কিভাবে করবেন গ্যাস-অম্বল-বুক জ্বালাকে কাবু? এক্ষেত্রে পকেটে দু পুরিয়া হোমিওপ্যাথি মেডিসিন রাখলেই কেল্লাফতে। আর তাছাড়া হোমিওপ্যাথি ওষুধের দাম যেমন কম, তেমনি কোনও সাইডএফেক্টও নেই, উল্টে রোগ সারবে একেবারে চটজলদি। তাই তো এই প্রবন্ধে গ্যাস-অম্বল কমাতে কাজে আসবে এমন কিছু ওষুধের সম্পর্কে আলোচনা করা হল। তবে তার আগে গ্যাস্ট্রো-ইসোফেগাল রিফ্লাক্স বা সহজ কথায় গ্যাস কেন হয়, সে সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।
গ্যাসের
কারণ:
সাধারণত
যে
যে
কারণে
এমন
ধরনের
সমস্যা
হয়ে
থাকে,
সেগুলি
হল...
১.
মাত্রাতিরিক্ত
পরিমাণে
ধূমপান
এবং
মদ্যপান,
যা
পুজোর
সময়
অল্প
বিস্তর
হয়েই
থাকে।
২.
ঠিক
সময়ে
খাবার
না
খাওয়া।
৩.
ঝাল-মশলা
দেওয়া
খাবার
বেশি
মাত্রায়
খাওয়া।
৪.
খাওয়ার
পরেই
শুয়ে
পরা।
৫.খাবার
খাওয়ার
পর
পর
শরীরচর্চা
করা।
৬.
অতিরিক্ত
ওজন।
৭.
স্ট্রেসের
মাত্রা
হাতের
বাইরে
চলে
যাওয়া
প্রভৃতি।
এক্ষেত্রে সাধারণত যে যে লক্ষণগুলি প্রকাশ পেয়ে থাকে, সেগুলি হল- মুখটা কেমন টাক টক হয়ে যাওয়া, খাবার গিলতে সমস্যা হওয়া, বমি বমি ভাব, বুকে অস্বস্তি, মুখ থেকে বাজে গন্ধ বেরনো এবং পিঠে ব্যথা। প্রসঙ্গত, এমন লক্ষণ দেখা দিলে যে যে ওষুধগুলি খেতে হবে, সেগুলি হল...
১. আর্জেন্টাম নিট:
মারাত্মক পেট ভার। সেই সঙ্গে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হওয়া এবং বুকের কাছে অস্বস্তি, এমন লক্ষণ দেখা দিলে এই ওষুধটি খেতে হবে। তবে মেডিসিন নেওয়ার আধ ঘন্টা আগে পরে কিন্তু খাবার খাওয়া চলবে না।
২. ক্যাল.কার্ব:
হালকা খাবার খেলেও হজম হতে চাইছে না। সেই সঙ্গে তল পেটে অস্বস্তিও রয়েছে। তাহলে একবার এই ওষুধটি খেয়ে দেখতে পারেন। কত মাত্রায় এবং কতবার ওষুধটি খেতে হবে, তা একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের থেকে জেনে নিতে ভুলবেন না যেন! কারণ ক্ষেত্র বিশেষে হোমিওপ্যাথি মেডিসিনের ডোজ কিন্তু বদলে যায়।
৩. চায়না:
হজম না হওয়া খাবার বমি হয়ে গেল? সাথে তলপেটে অস্বস্তিও রয়েছে। এমনকি কোনও কোনও সময় পেটে হাত দিলে ব্যাথা লাগছে, তাহলে তো এই ওষুধটি খেতেই হবে। সাধারণত খারাপ খাবার খেলে অথবা অনেক রাতে ঠান্ডা হয়ে যাওয়া ভাজা খেলেও এই ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।
৪. কার্বো ভেজ:
খাবার ঠিক মতো হজম না হলে, পেট ফুলে গেলে, বুকের কাছে অস্বস্তি দেখা দিলে খেতে হবে কার্বো ভেজ নামক হোমিও ওষুধটি। এই ওষুধটি নির্দিষ্ট মাত্রায়, ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে খেলে দেখবেন কষ্ট কমতে সময় লাগবে না।
৫. লাইকোপোডিয়াম:
পেটটা যেন গ্যাস বেলুন হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে তলপেটে অস্বস্তি, বার বার ঢেকুর ওঠা এবং উইন্ড পাসের মতো লক্ষণ দেখা দিলে চোখ বুজে এই ওষুধটি খেয়ে নেবেন। দেখবেন উপকার মিলবে। তবে ওষুধের ডোজ কী হবে, সে সম্পর্কে চিকিৎসকের থেকে জেনে নিতে ভুলবেন না যেন!
৬. ন্যাট.ফোস:
মারাত্মক অ্যাসিডিটি, বারে বারে বমি হওয়া, জিভ হলুদ হয়ে যাওয়া এবং মুখে খাবারের ঠিক মতো স্বাদ না পাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিলে ন্যাট.ফোস ওষুধটি দারুন কাজে আসে।
৭. নাক্স ভোমিকা:
ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খাওয়ার কারণে অথবা মাত্রতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে কি অ্যাসিডিটি হয়েছে? তাহলে নাক্স ভোমিকার কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে।
৮. ফসফরাস:
গ্যাসের কষ্ট থেকে বাঁচতে ঠান্ডা জাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা করছে? সেই সঙ্গে মাঝে মধ্যে বমিও হচ্ছে! তাহলে এই ওষুধটি খেতে হবে। কারণ এমন ধরনের কষ্ট কমাতে ফসফরাসের থেকে ভাল ওষুধ আর নেই!