Just In
- 4 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 6 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 6 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 23 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
আইনস্টাইনের মতো বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে এই খাবারগুলি খাওয়া জরুরি!
আমাদের মাথার কাজ কী? কী আবার, বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করা। সেই সঙ্গে ব্রেনের মধ্যে স্মৃতির যে ব্যাঙ্ক রয়েছে সেখানে ঠিক মতো মেমোরি জমা করা। ঠিক উত্তর! কিন্তু অসম্পূর্ণ। কেন? কারণ আমাদের মস্তিষ্ক শুধুমাত্র এই দুটি কাজ করে না। সেই সঙ্গে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করে থাকে। এক কথায় আমাদের সারা শরীরের সেন্ট্রাল কন্ট্রোল সিস্টেমটা হল ব্রেন। তাই তো এই অংশের বিশেষ খেয়াল রাখা আমাদের একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজটি কীভাবে করবেন? সেই উত্তর খোঁজারই চেষ্টা চালানো হল এই প্রবন্ধে।
বেশ কিছু দিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪৭.৫ মিলিয়ান। আর এই সংখ্য়াটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কারণ প্রতি বছর মস্তিষ্কের রোগে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় ৭.৭ মিলিয়ান মানুষ। তাই সাবধান! সময় থাকতে থাকতে ব্রেনের খেয়াল রাখতে শুরু করেন। না হলে কিন্তু বেজায় বাপদ! আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি। এক্ষেত্রে যে যে খাবরগুলি রোজের ডায়েটে রাখতেই হবে। সেগুলি হল...
১. ডিম:
প্রোটিনের ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি ব্রেনের খাদ্য হিসেবে পরিচিত কোলিন নামে একটি উপাদানের চাহিদা মেটাতে ডিমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো প্রতিদিন ১-২ টো করে ডিম খাওয়া উচিত। ইচ্ছা হলে কাঁচা ডিমের কুসুমও খেতে পারেন। তাতে বেশি উপকার পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, কোলিন স্মৃতিশক্তির উন্নতিতে বিশেষভাবে কাজে আসে।
২. সূর্যমুখী ফুলের বীজ:
এতে রয়েছে ভিটামিন ই, যা ব্রেন ফাংশনের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তির উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো ৫০-এর পর থেকে নিয়ম করে সূর্যমুখী ফুলের বীজের তেল খাওয়া শুরু করুন। এমনটা করলেই দেখবেন বুড়ো বয়সে গিয়ে স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার ঘটনা আর ঘটবে না।
৩. মাছের তেল:
মাছে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ব্রেনের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। বিশেষত ব্রেন সেলের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে বিভিন্ন রোগকে দূরে রাখতে এই উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। সেই কারণেই তো ভাবী মায়েদের সপ্তাহে ২-৩ বার মাছ খাওয়া পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এমনটা করলে বাচ্চার ব্রেন ফাংশনের ব্যাপক উন্নতি ঘটে। এবার বুঝতে পারছেন তো মস্তিষ্কের ভালর জন্য মাছ কতটা জরুরি।
৪. জাম:
এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই উপাদানটি নার্ভ সেলেদের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ কাজে লাগে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের কোষেদের যাতে মৃত্যু না ঘটে সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে অ্যালজাইমার রোগে আক্রান্ত হওয়াক আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, বয়সের কারণে অথবা অন্য কোনও কারণে ব্রেন সেলেরা যখন ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে শুরু করে। তখন স্মৃতিশক্তি মারাত্মকভাবে কমে যায়। সেই সঙ্গে অ্যালঝাইমারস এবং ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
৫. পালং শাক:
এতে রয়েছে লুটিন নামে একটি অতি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তির বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে দ্রুত কিছু শিখে ফেলার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এক কথায়, প্রতিদিন যদি পালং শাক খান, তাহলে অল্প দিনেই আপনি ফেলুদাকে কম্পিটিশনে ফেলে দিতে পারবেন কিন্তু!
৬. বিট:
মেরুন রঙের এই সবজিটিকে দেখতে অতটা সুন্দর না হলেও গুণের দিক থেকে এর বিকল্প পাওয়া বেশ কঠিন কিন্তু। কারণ একাধিক গবেষণার পর একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম রাখতে বিট বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে এই সবজি খাওয়া মাত্রা মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিহ্রাস বা ব্রেনের কোনও রোগ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৭. বাদাম:
কাজুবাদাম, চিনাবাদাম এবং আখরোট যদি প্রতিদিন খেতে পারেন তাহলে দারুন উপকার পাবেন। কারণ এই ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং এ থাকে, যা ব্রেন ফাংশন বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।