Just In
- 1 hr ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 4 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
- 20 hrs ago অসহ্য গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘরেই বানান ডিটক্স ওয়াটার
- 21 hrs ago গরমে ট্যানিংয়ের সমস্যা? আর নয়, ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া প্যাকগুলি
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আয়ুর্বেদের এই ডায়েট চার্ট অনুসরণ করুন, ফল পাবেন হাতনাতে!
ডায়াবেটিস বা মধুমেহ-র কবলে একবার পড়লে, সারাজীবন তাকে নিয়েই সংসার করতে হয়! জীবন থেকে এক ধাক্কায় অনেক কিছু বাদ চলে যায়! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডায়াবেটিস হল বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে চলা দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, ডায়াবেটিসের অর্থ হল, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যাওয়া। টাইপ-১ এবং টাইপ-২ দু'ধরনের ডায়াবেটিস হয়। ইনসুলিন উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাওয়া বা শরীর ইনসুলিনের প্রভাবে সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দিলে ডায়াবেটিস দেখা দেয়। ইনসুলিন হল এক ধরনের হরমোন, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণা অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৭৭ মিলিয়ন মানুষই, এই রোগে আক্রান্ত, যা ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ শতাংশেরও বেশি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যকর ডায়েটের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা, ওজন বাড়ানো রোধ করা এবং ডায়াবেটিস পরিচালনা করা সম্ভব। ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ন্ত্রণে পুষ্টি, কম ফ্যাট যুক্ত এবং কম ক্যালোরি সমৃদ্ধ ডায়েট অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আয়ুর্বেদেও, মিষ্টি এবং কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে, বেশি করে সবুজ শাকসবজি খাদ্যতালিকায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আয়ুর্বেদিক মতে ডায়েট চার্ট কেমন হওয়া উচিত।
ভোরবেলা
দিনের শুরুটা এক কাপ হার্বাল ইনফিউশন দিয়ে শুরু করুন, যা শরীরের বিপাক ক্রিয়া আরম্ভ করবে। দেখে নিন কীভাবে হার্বাল ইনফিউশন তৈরি করবেন -
১ চা চামচ যষ্টিমধু গুঁড়ো, এক টুকরো দারুচিনি, ৩টি ফাটানো এলাচ এবং ১চা চামচ ধনে গুঁড়ো একটি পাত্রে নিন। সেই পাত্রে প্রয়োজনমতো ফুটন্ত গরম জল ঢালুন। তাতে এক চা চামচ মধু মেশান এবং প্রত্যেক দিন সকালে খালি পেটে, এই পানীয়টি পান করুন। এই ভেষজ পানীয়টি ১৫০ - ৩০০ মিলিলিটার পান করুন।
ব্রেকফাস্ট
সকালের ব্রেকফাস্ট কখনোই এড়িয়ে যাবেন না। ব্রেকফাস্ট যেন অবশ্যই ফাইবারসমৃদ্ধ হয়। রাগী, বাজরা, ভুট্টা, প্রভৃতি আপনার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। পুদিনা, ধনে, টমেটো, ভেষজ চাটনি জাতীয় মশলাদার খাবারগুলি খাদ্য হজম এবং শোষণকে আরও উন্নত করতে পারে। এছাড়াও, রুটি-তরকারি বা স্টিম ইডলি, প্যানকেক খেতে পারেন।
মিড-মর্নিং স্ন্যাক্স
এই সময় এক বাটি (৬০ গ্রাম) সেদ্ধ ও মশালাদার স্প্রাউটস-এ লেবুর রস দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এটি শরীরকে দিনের প্রয়োজনীয় প্রোটিন সরবরাহ করবে।
মধ্যাহ্নভোজ
মধ্যাহ্নভোজে লাল চালের সেদ্ধ ভাত, এক বাটি হর্স গ্রাম, এক বাটি সেদ্ধ শাকসবজি এবং এক গ্লাস বাটারমিল্ক খেতে পারেন। এটি আপনার ক্ষুধা মেটাবে এবং প্রয়োজনীয় ক্যালোরিও সরবরাহ করবে।
বিকেলের টিফিন
বিকেলে এক গ্লাস উষ্ণ মশলা ও যষ্ঠিমধু-যুক্ত দুধ চা পান করুন। এটি আপনার মধ্যাহ্নভোজ হজমে সহায়তা করবে।
রাতের খাবার
রাতের খাবার যতটা সম্ভব হালকা রাখুন। রাত্রে বাটারমিল্কের সাথে এক বাটি ওটস বা ডালিয়া খেতে পারেন এবং সাথে এক বাটি সিদ্ধ সবজি নিন। আবার রুটি ও সবজির তরকারিও খাওয়া যেতে পারে।
ডায়াবেটিসে ভুগছেন? জেনে নিন আপনার খাদ্যতালিকায় কী ধরনের খাবার রাখবেন
Disclaimer - এই আর্টিকেলের সমস্ত তথ্য ইন্টারনেট থেকে নেওয়া। কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।