Just In
- 2 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 4 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 4 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 21 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
স্ট্রেস কমাতে সহজ পাঁচটি আসন
বর্তমান যুগে স্ট্রেস সবছেতে ক্ষতিকর এক সমস্য়া। তেব চিন্তা নেই বাঁচার উপায় আছে। এমন কিছু আসন আছে যা নিয়মিত আধ ঘন্টা করলে খুব সহজেই স্ট্রসকে দূরে রাখা সম্ভব।
রোজ একটু একটু করে কষ্ট পেতে পেতে একদিন জীবনের শেষ সিগনাল পেরনো মটেই সুখকর নয়। তাই তো চিকিৎসকেরা স্ট্রেসের মতো স্লো পয়েজেনের হাত থেকে বেঁচে থাকার পরামর্শ দেন। স্ট্রেস হল এমন বিষ যা একদিনে নয়, বরং ধীরে ধীরে কোনও প্রাণকে মৃত্য়ুর মুখে ঠেলে দেয়। তাই ২১ শতকের এই আধুনিক রোগের হাত থেকে বেঁচে থাকাটা জরুরি।
স্ট্রেসের হাত থেকে কারও রক্ষা নেই। আজকের এই কঠিন জীবনে কোনও না কোনও কারণে আমরা সবাই-ই মানসিক চাপের শিকার। এখন প্রশ্ন হল এই বিষের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় কীভাবে? অনেক পদ্ধতি আছে, যেমন, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, গান শোনা, প্রাণায়ম করা, বই পড়া প্রভৃতি নিয়মিত যদি করা যায় তাহলে সহজেই স্ট্রসকে বুড়ো আঙুল দেখানো সম্ভব। প্রসঙ্গত, যোগাসনও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সকালে মাত্র আধ ঘন্টা বিনিয়োগ করলেই কেল্লাফতে! মন তো ভালো হয়ে যাবেই, সেই সঙ্গে শরীরও হবে চাঙ্গা। তাহলে অপেক্ষা কিসের, আজ থেকেই শুরু করে দিন না স্ট্রেস ভাগানোর এইসব যোগাসন।
তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক যোগাসনগুলি সম্পর্কে।
তাডাসন:
হাতের শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি সার্বিকভাবে শরীরকে ভালো রাখতে এই ব্য়য়ামটি বেশ কার্যকরি। কীভাবে করবেন এই যোগাসনটি। জেনে নিন এবার:
ধাপ ১: সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পরুন। শিরদাঁড়া যেন সোজা থাকে। আর হাত দুটি থাকবে থাইয়ের পাশে।
ধাপ ২: এবার হাতদুটি উপরে তুলে তালুদুটিকে জোরা লাগিয়ে যতটা পারবেন নিজেকে প্রসারিত করুন।
ধাপ ৩: হাতদুটি উপরে থাকাকলীন মাথাটা একটু পিছনের দিকে কাত করে হাতের আঙুলগুলি দেখার চেষ্টা করুন। এইভাবে ১০ গুনে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যান।
ধাপ ৪: এবার স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে নিতে একেবারে প্রথম অবস্থায় ফিরে যান।
অধো মুখ সবাসন:
অধো মানে হল সামনের দিকে আসা। মুখ মানে হল মুখমন্ডল। আর সাভানা মানে হল কুকুর। অর্থাৎ এই আসনটি কুকুর বসে থাকাকালীন তার শরীর যেমন হয় সেভাবে করতে হবে। এবার জেনে নিন কীভাবে কববেন এই আসনটি।
ধাপ ১: হাত ও পায়ের উপর ভর দিতে এমনভাবে দাঁড়ান যাতে টেবিলের মতো দেখতে লাগে।
ধাপ ২: এবার হাত ও পা সোজা রেখে কোমরটা উঠিয়ে এমন অবস্তায় অসুন যাতে আপনার শরীর অনেকটা ইংরেজির উল্টো ভি-এর মতো দেখতে লাগে।
ধাপ ৩: গলাটা এবার প্রসারিত করার চেষ্টা করুন, আর হাত দিয়ে মাটিকে ঠেলুন। এমন জায়গায় আপনার হাতদুটি থাকতে হবে যাতে তা কানকে ছোঁয়।
ধাপ ৪: এইভাবে কয়েক মিনিট থেকে পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
সবাসন:
এই আসনটি আপনার স্ট্রেস কমানোর পাশাপাশি শারীরিক চাপ কমাতে সাহায্য় করবে। কীভাবে করবেন এই আসনটি, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ধাপ ১: একটা চাদড় বিছিয়ে তাতে চোখ বন্ধ করে সোজা হয়ে শুয়ে পরুন। পা দুটি একে অপরের থেকে সামান্য় দূরে রাখবেন। আর তালু থাকবে আকাশের দিকে মুখ করে।
ধাপ ২: স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে থাকুন।
ধাপ ৩: কিছুক্ষণ এমন থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
মকরাসন:
স্ট্রেস কমাতে যে যে আসনগুলি সবথেকে কার্যকরি তাদের মধ্যে একেবারে প্রথমে থাকবে এই আসনটি। মকরাসন করার পদ্ধতি:
ধাপ ১: স্বাভাবিকভাবে বসে দেহের উপ ভর দিয়ে পাদুটিকে পিছনের দিকে প্রসারিত করুন।
ধাপ ২: উপুড় হয়ে শোয়ে পরুন। এই অবস্থায় মাটিতে হাতদুটি রেখে কনুই থেকে ভাঁজ করে দু'হাতের আঙুলগুলো পরস্পরের উপর রাখুন। এবার কপাল উপুর করে হাতের তালুর উপর ধীরে ধীরে রেখে দিন।
ধাপ ৩: এবার চোখ বন্ধ করে আরাম করুন।
উষ্ট্রাসন:
উষ্ট্রা কথার অর্থ হল উট। আর আসন কথার মানে হল শরীরের ভাষা। অর্থাৎ এই আসনটি যখন করবেন তখন আপনার শরীরটা অনকটা উটের মতো দেখতে লাগবে। তাহলে এবার জেনে নিন কীভাবে করবেন এই আসনটি।
ধাপ ১: নীল ডাউন হয়ে বসে আপনার হাতদুটি দিয়ে কোমরটা ধরুন।
ধাপ ২: একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন আপনার হাঁটু এবং কাঁধ যেন এক লাইনে থাকে। আর চোখদুটি থাকবে সিলিং-এর দিকে।
ধাপ ৩: শ্বাস নেওয়ার সময় শরীরকে এমনভাবে চাপ দিন যাতে নাভিতে চাপ পড়ে।
ধাপ ৪: এবার আগের অবস্থায় থাকাকালীন হাত দুটি সোজা রেখে পা দুটি ধরার চেষ্টা করুন। এখন অপনাকে অনেকটা ধনুকের মতো দেখতে লাগবে।
ধাপ ৫: এইভাবে ৬০ সেকেন্ড থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় পিরে আসুন।
এই আসনগুলি করার সময় শরীরকে চাপমুক্ত রাখতে ভুলবেন না। আরেকটা বিষয় মাথায় রাখবেন প্রচণ্ড আওয়াজ হচ্ছে এমন জায়গায় আসন করবেন না। এতে আসন করার সময় ব্য়ঘাত ঘটতে পারে।