For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

ভেজাইনার সংক্রমণ কমাতে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া চিকিৎসায়

এই প্রবন্ধটি মহিলারা পড়লে খুব উপকার পাবেন।

|

ভেজাইনার সংক্রমণ কমাতে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া চিকিৎসায়

বেশিরভাগ মহিলাই ভেজাইনার সংক্রমণে আক্রান্ত হন। কারও কারও তো একাধিক বার এই রোগ হয়ে থাকে। কেউ কি বলতে পারবেন এই ধরনের সংক্রমণ কেন হয়? একাধিক গবেষণার পর জানা গেছে বিশেষ এক ধরনের ছত্রাকের উপস্থিতির কারণে এই সংক্রমণ হয়।

ভেজাইনার ভিতরে কিছু ভালো ব্য়াকটেরিয়া থাকে। তাদর কাজ হল সংক্রমণ সৃষ্টিকারি ছত্রাকদের মেরে ফেলা। সমস্যাটা তখনই শুরু হয়, যখন ভালো ব্য়াকটেরিয়ার তুলনায় বাজে ছত্রাকের সংখ্য়া বেড়ে যায়। এমনটা হলেই দেখা দেয় সংক্রমণ।

এই ধরনের ইনফেকশন হলে ভেজাইনায় প্রচন্ড চুলকানি, প্রস্রাবের সময় জ্বালা, ভেজাইনাল ডিসচার্জ বেড়ে যাওয়া, শারীরিক সম্পর্কের সময় যন্ত্রণা এবং ভেজাইনা ফুলে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়।

যেসব মহিলা মাত্রাতিরিক্ত শারীরিক সম্পর্ক করেন তাদের এই ধরনের সংক্রমণ বেশি হতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস, এইচ আই ভি, হরমোন থেরাপি এবং গর্ভ নিরোধোক ওষেধের কারণেও ভেজাইনাল ইনফেকশন হতে পারে। তাই সাবধান!

এখনও প্রর্যন্ত প্রমাণিত না হলেও একথা অনেকেই মনে করেন যে এই সংক্রমণ শারীরিক সম্পর্কের সময় একজনের শরীর থেকে আরেক জনের শরীরে যায়। সেই কারণেই হয়তো যেসব মহিলা মাত্রাতিরিক্ত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন তাদের এই রোগ বেশি হয়ে থাকে।

এই ধরনের সংক্রমণ কমাতে বর্তমানে অনেক আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে। তবে বলতে দ্বিধা নেই এই ধরনের সমস্য়ায় কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা দারুন কাজে আসে। সেই নিয়েই আলোচনা করা হল এই প্রবন্ধে।

১. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:

১. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:

প্রাকৃতিক এনজাইম থাকায় অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ভেজাইনায় পি এইচ-এর মাত্রা বৃদ্ধি করতে দারুন কাজে আসে। আর একবার পি এইচের মাত্রা বেড়ে গেলে সংক্রমণেরও কোনও আশঙ্কা থাকে না। আসলে এই ভিনিগার একদিকে যেমন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনি অপরদিকে ভালো ব্য়াকটেরিয়ার সংখ্য়াও বৃদ্ধি করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বাজে ছত্রাকেরা আর জন্ম নিতে পারে না।

জলের সঙ্গে পরিমাণ মতো অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে একটা মিশ্রন তৈরি করুন। তারপর সেটি দিয়ে দিনে দুবার ভেজাইনা পরিষ্কার করলেই দেখবেন আর কোনও সংক্রমণ হচ্ছে না। আর যদি এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে ইচ্ছা না করে তাহলে স্নানের জলে কয়েক ফোটা ভিনিগার ফেলে স্নান করলেও একই কাজ দেবে।

২. রসুন:

২. রসুন:

ভেজাইনাল ইনফেকশন আটকাতে রশুনের কোনও বিকল্প নেই। কারণ এর মধ্য়ে রয়েছে অ্যান্টি ফাঙ্গাল প্রপাটিজ, যা ছত্রাকের জন্ম এবং তাদের কর্মক্ষমতা আটকে সংক্রমণের আশঙ্কা কমায়। রাতে শুতে যাওয়ার আগে রসুনের একটা কোয়া নিয়ে সারা রাত ভেজাইনায় রেখে দিন। পরের দিন হাল্কা গরম জলে জায়গাটা ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন এমন করলেই দেখবেন সংক্রমণ কেমন দূরে পালাচ্ছে।

৩. নারকেল তেল:

৩. নারকেল তেল:

অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ থাকায় নারকেল তেল ভেজাইনাল ইনফেকশন কমাতে দারুন কাজে আসে। দিনে ২-৩ বার একস্ট্রা ভারজিন নারকেল তেল সরাসরি ভেজাইনায় লাগান। সেই সঙ্গে এই তেল দিয়ে রান্না করা খাবার খান। দেখবেন অল্প দিনেই সংক্রমণ কমে গেছে।

৪. অ্যালো ভেরা জেল:

৪. অ্যালো ভেরা জেল:

এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান। তাই এই ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ কমাতে অ্যালো ভেরা জেল দারুন কাজে আসে। কীভাবে ব্য়বহার করতে হবে এটি? খুব সহজ! এক কাপ কমলা লেবুর রস এবং জলের সঙ্গে অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে একটা মিশ্রন বানিয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এই জুসটা খেলে দেখবেন সংক্রমণ কমে গেছে। আর যদি এই পানীয়টি খেতে মন না চায় তাহলে ভেজাইনায় সরাসরি অ্যালোবেরা জেল লাগান। তাহলেও একই উপকার পাবেন।

৫. দই:

৫. দই:

এতে রয়েছে প্রোবায়োটিকস এবং ভালো ব্য়াকটেরিয়া। তাই প্রতিদিন যদি দই খেতে পারেন তাহলে ভেজাইনায় ভালো ব্য়াকটেরিয়ার সংখ্য়া বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাবাবিক ভাবেই কমে ছত্রাকজনিত সংক্রমণের আশঙ্কা। ভেজাইনায় সরসরি দই লাগালেও একই উপকার পাবেন। এক্ষেত্রে কিছুক্ষণ দই লাগিয়ে রেখে হাল্কা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেললেই চলবে। এমনটা করলে দেখবেন কয়েক দিনের মধ্য়েই সংক্রমণের প্রকোপ কমতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, চিনি ছাড়া টক দই খেলেই কিন্তু কাজ হবে, মিষ্টি দই খেলে নয়।

English summary

ভেজাইনার সংক্রমণ কমাতে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া চিকিৎসায়

Vaginal thrush is a common yeast infection that women suffer from. It is a kind of an infection and listed here are 5 home remedies that are of great help in treating it.
X
Desktop Bottom Promotion