Just In
রোগের হাত থেকে বাঁচতে রান্নায় এই পাঁচটি তেল ব্যবহার করুন!
তেল ছাড়া রান্না করার কথা ভাবাই যায় না! যেকোনও রান্নার ক্ষেত্রে তেল হল অপরিহার্য উপাদান। এটি খাবারের গুণমান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষত ভারতে, যেকোনও রান্না তৈরির আগে সর্বপ্রথমে প্যানে তেল দিয়ে তারপর রান্না শুরু হয়। এতে খাবারের স্বাদ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তবে অনেকেই রান্নায় তেলের বদলে ঘি বা মাখন ব্যবহার করে থাকে। তাই আজ আমরা আপনাদের কয়েকটি তেল সম্পর্কে বলব, যা ঘি বা মাখনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতেই পারে এবং এগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর।
সরিষার তেল
যেকোনও রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করা যায়। আর এই তেল দিয়ে রান্না করা যেকোনও খাবারই বেশ স্বাদ হয়। শুধুমাত্র রান্নায় নয়, এটি আমাদের স্বাস্থ্য, ত্বক ও চুলের জন্যও অনেক উপকারি। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলিতে সমৃদ্ধ। এটি কেবলমাত্র বদহজম নিরাময়ে সহায়তা করে না, পাশাপাশি এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্য আমাদের ত্বককে সুরক্ষিত করতে সহায়তা করে এবং বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করে। সরিষার তেল ব্যবহারে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়, তাই যাদের হৃদরোগের সমস্যা আছে তারাও এই তেলে তৈরি খাবার খেতে পারেন।
চিনাবাদাম তেল
চিনাবাদাম তেলে মনোআনস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট অত্যন্ত বেশি, যা অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি এটি ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি স্কিন কেয়ারের জন্যও একটি দুর্দান্ত বিকল্প।
নারকেল তেল
দক্ষিণ ভারতীয় রান্নায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় নারকেল তেল। এই তেলে উচ্চ স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা আমাদের দেহে ভাল কোলেস্টেরল বাড়ায়। পাশাপাশি এতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এটি ভিটামিন ই এবং পলিফেনল সমৃদ্ধ যা শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে পান করুন জোয়ানের কাড়া, রইল তৈরির পদ্ধতি
অলিভ অয়েল
এখন আমরা অনেকেই রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করে থাকি। ভিটামিন ই এবং বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ সমৃদ্ধ, অলিভ অয়েল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি। কম পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকার কারণে এই তেল হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং জয়েন্ট পেন থেকেও স্বস্তি দেয়।
সানফ্লাওয়ার অয়েল
প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং পুষ্টিতে ভরপুর, সানফ্লাওয়ার অয়েলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, যা দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে। এছাড়াও, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।