Just In
(ছবি) ভাইরাল জ্বরের পরে নিজেকে সুস্থ রাখুন এই উপায়ে
ভাইরাল জ্বর এখনকার দিনে খুব কমন ব্যাপার। যে কোনও বয়সের মানুষকেই সহজে কাবু করে ফেলতে পারে এটি। সেজন্য সতর্কতা প্রয়োজন অবশ্যই। [ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তা বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায়]
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ ভাইরাল জ্বরই কোনওরকম ওষুধ ছাড়াই সেরে ওঠে। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ চিকিৎসকেরাই বেশি করে ফ্লুইড শরীরে প্রবেশ করাতে ও বিশ্রাম নিতে বলেন। এক্ষেত্রে দিন দশেকের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠেন আপনি। [ফ্লু থেকে বাঁচতে এগুলি রাখুন ডায়েট চার্টে]
একবার সুস্থ হয়ে ওঠার পরে রোজকার দৌড়ঝাঁপে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি আমরা। কিছুটা সাবধানতা যে পরবর্তীতেও অবলম্বন করতে হয়, সেকথা মাথাতেই থাকে না। [নিমেষে ক্লান্তি দূর করুন এই খাবার খেয়ে]
ভাইরাল জ্বর সেরে ওঠার পরবর্তী সময়ে কী করবেন, কীভাবে নিজেকে ফিট রাখবেন তা জেনে নিন নিচের স্লাইডে ক্লিক করে। [ভাইরাল জ্বরের লক্ষণ ও কমানোর ঘরোয়া টোটকা]
হাইড্রেটেড থাকা
ভাইরাল জ্বরের সময়ে ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে শরীর। এই সময়ে শরীরকে আর্দ্র রাখা প্রয়োজন। ফলে তা থেকে বেরিয় আসতে গেলে প্রচুর পরিমাণে ফ্লুইড শরীরে ঢোকাতে হবে। বেশি পরিমাণে জল খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই সময়ে।
নিজের খেয়াল রাখা
ভাইরাল জ্বরের সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে অন্য কোনও সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে অনেকবেশি। তাই এই সময়ে নিজের অতিরিক্ত বেশি খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
বিশ্রাম নেওয়া
রোগভোগের সময়ে শরীরের উপর দিয়ে প্রচণ্ড ধকল যায়। শরীর ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ে। ফলে এই সময়ে বিশ্রাম নেওয়া বিশেষ প্রয়োজন।
সুষম আহার করা
ভাইরাল জ্বর কাটিয়ে উঠে সুস্থ ডায়েট চার্ট মেনে চলা আবশ্যক। একমাত্র তাহলেই খুব তাড়াতাড়ি ফের একবার নিজের আগের অবস্থায় ফেরত যাওয়া সম্ভব। এইসময়ে খাবারে বেশি করে প্রোটিন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট রাখা প্রয়োজন।
অন্য সংক্রমণ
ভাইরাল জ্বরের পরে সারা গায়ে লাল ছোপ, দানা দান বেরিয়ে যাওয়া, চুলকানি ইত্যাদি হয়। এমন হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান
এই সময়ে ইম্যুনিটি একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে। ফলে বেশি করে ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। একমাত্র তাহলেই খুব দ্রুত শরীর আগের অবস্থায় ফেরত আসবে।
নিজে থেকে ডাক্তারি নয়
জ্বর কোনও রোগ নয়। একে রোগের উপসর্গ বলা চলে। ফলে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নিজে থেকে ওষুধ খেতে যাবেন না। এতে বিপদ বাড়ার চেয়ে কমবে না।