For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

নিয়মিত সরষের তেল খেলে কি শরীরের ক্ষতি হয়?

শরীর এবং ত্বকের উপকারে নানাভাবে কাজে লাগে এই তেলটি। তাই সরষের তেল খেলে শরীরের কোনও ক্ষয় ঘটবে, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই বললেই চলে।

|

এই প্রশ্নের উত্তর পেতে একাধিক গবেষণা হয়েছে, তাতে যা জানা গেছে, তা বেজায় চমকপ্রদ! গবেষণা পত্রগুলি অনুসারে শরীর এবং ত্বকের উপকারে নানাভাবে কাজে লাগে এই তেলটি। তাই সরষের তেল খেলে শরীরের কোনও ক্ষয় ঘটবে, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই বললেই চলে। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, এখনই জেনে নিন প্রতিদিন সরষের তেল খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায় সে সম্পর্কে।

প্রসঙ্গত, সরষের তেলের অন্দরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। যেমন...

১. মাইগ্রেন:

১. মাইগ্রেন:

মাইগ্রেনের কষ্ট কমাতে ম্যাগনেসিয়াম দারুন কাজে আসে। আর যেমনটা ইতিমধ্যেই আপনারা জেনে গেছেন যে সরষের তেলে এই খনিজটি বিপুল পরিমাণে থাকে। তাই এমন তেলে রান্না করা খাবার খেলে মাইগ্রেনের কষ্ট একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, সরষের তেলে ভাজা মাছ খেলে শরীরে ওমাগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে অনেক ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

২. ক্যান্সার রোগের প্রকোপ কমায়:

২. ক্যান্সার রোগের প্রকোপ কমায়:

সরষের তেলে উপস্থিত গ্লকোসুনোলেট এবং মিরোসিনেস নামে দুটি উপাদান শরীরে ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই প্রতিদিন এই তেলটি খেলে এমন ধরনের মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যে অনেকাংশেই হ্রাস পাবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

৩. ডিপ ফ্রাই করার জন্য আদর্শ:

৩. ডিপ ফ্রাই করার জন্য আদর্শ:

আমরা মানে বাঙালিরা যেহেতু বেশিরভাগ খাবারই উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করে থাকি তাই আমাদের জন্য সরষের তেলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আজকাল অনেকে বাঙালিই স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু একথা জেনে রাখা ভাল যে রকমের খাবার আমরা খেয়ে থাকি তা বানাতে অলিভ অয়েল একেবারেই আদর্শ নয়। কারণ কম তাপমাত্রায় বানানো খাবারে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু যেসব খাবার বেশি আঁচে বানানো হয়, তাতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে শরীরের ভাল হওয়ার থেকে খারাপ হয় বেশি।

৪. ওমেগা ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধি:

৪. ওমেগা ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধি:

বিশ্ব সংস্থার প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে সরষের তেল ওমেগা ত্রি এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধি, যা জয়েন্ট পেন এবং ডিপ্রেশনের মতো রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. পেটে ব্যথা কমায়:

৫. পেটে ব্যথা কমায়:

সরষের তেলে উপস্থিত অ্যান্টি-ইমফ্লেমেটারি উপাদান যে কোনও ধরনের প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষত মাথা যন্ত্রণা এবং তলপেটের অস্বস্তি কমাতে এই প্রকৃতিক উপাদানটি দারুন কাজে আসে।

৬. আর্থ্রাইটিস রোগের কষ্ট কমায়:

৬. আর্থ্রাইটিস রোগের কষ্ট কমায়:

সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম, এই দুটি খনিজ সরষের তেলে খুব বেশি পরিমাণ থাকে, যা আথ্রাইটিসের প্রদাহ কমানোর পাশপাশি এই রোগের প্রকোপ হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা এমন ধরনের হাড়ের রোগে ভুগছেন, তাদের প্রতিদিন সরষের তেলে রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত।

৭. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

৭. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

সরষের তেলে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে মনোযোগ বৃদ্ধি এবং সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার উন্নতিতেও সাহায্য করে।

৮. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে:

৮. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে:

সরষের তেলে রয়েছে কপার, আয়রণ, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম। এই খনিজগুলি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৯. ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচায়:

৯. ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচায়:

আজও ঠাকুমা-দিদিমারা নাতি-নাতিনিরা ছোট থাকতে সরষের তেল মাখিয়ে থাকেন। কেন এমনটা করে জানেন? কারণ ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে শুরু করে একাধিক রোগের হাত থেকে বাঁচাতে এই তেলটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

১০. শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়:

১০. শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সরষের তেলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি কোণায় যাতে ঠিক মতো রক্ত পৌঁছে যেতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখে।

১১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

১১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

সরষের তেলে উপস্থিত বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে আমাদের একাধিক রোগের খপ্পর থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১২. হার্টের বন্ধু:

১২. হার্টের বন্ধু:

এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে ঠিকই। কিন্তু একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে নিয়মিত সরষের তেল খেলে হার্টের কোনও ক্ষতি হয় না। বরং হৃদপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ে। সেই সঙ্গে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

১৩. শ্বাস কষ্ট দূর হয়:

১৩. শ্বাস কষ্ট দূর হয়:

একাধিক গবেষণায় একথা প্রামাণিত হয়েছে যে শ্বাসকষ্ট সম্পর্কিত যে কোনো ধরনের সমস্যা কমাতে সরষের তেলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই যারা এমন ধরনের রোগকষ্টে ভুগছেন, তাদের নিয়মিত সরষের তেল খাওয়া উচিত।

১৪. ডায়াটারি ফাইবার সমৃদ্ধ:

১৪. ডায়াটারি ফাইবার সমৃদ্ধ:

হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি নানাবিধ পেটের রোগ থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয় সরষের তেল। আসলে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, যা পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দারুন কাজে আসে। তাই পেটের রোগ তেকে যদি দূরে ছাকতে চান তো কখনও সরষের তেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ভাঙবেন না।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

শরীর এবং ত্বকের উপকারে নানাভাবে কাজে লাগে এই তেলটি। তাই সরষের তেল খেলে শরীরের কোনও ক্ষয় ঘটবে, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই বললেই চলে।

The health benefits of mustard oil are multiple. It is known to cure diseases and problems related to the heart, skin, joints, muscles, and so much more.
Story first published: Tuesday, March 13, 2018, 17:59 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion