Just In
সুস্থ থাকতে শুরু করুন কিটোসিস ডায়েট মেনে খাওয়া-দাওয়া
সুস্থ থাকতে শুরু করুন কিটোসিস ডায়েট মেনে খাওয়া-দাওয়া
রোগা হতে চান? সেই সঙ্গে সুস্থ থাকাটাও জরুরি? তাহলে আজ থেকেই কিটোসিস ডায়েট মেনে শুরু করুন খাওয়া-দাওয়া।
আমাদের প্রয়োজন অনুসারে নানা ধরনের ডায়েটের বেশ রমরমা চোখে পরে আজকাল। যেমন ধরুন, যারা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে চান, তারা এমন ডায়েট মেনে খাবার খান, যাতে চিনি এবং কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা কম থাকে। একইভাবে যাদের লক্ষ শরীর গঠন করা, তারা আবার প্রোটিন সমৃদ্ধ ডায়েট মেনে খাবার খেতে পছন্দ করেন।
এখন প্রশ্ন কিটোস ডায়েট কী? এটা হল এমন এক ধরনের ডায়েট যা শরীরে জমে থাকা চর্বিকে এনার্জিতে রূপান্তরিত করে। ফলে ওজন কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে জীবনযাত্রা সম্পর্কিত নানা রোগ দূরে পালায়। প্রসঙ্গত, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি বেশ কিছু নিউরোলজিকাল অসুখ সারাতেও কিটোস ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কিটোস ডায়েট সম্পর্কিত আরও বেশ কিছু তথ্য়...
টিপ ১:
কিটোস ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার, যেমন- ভাত, পাস্তা, সাদা পাঁউরুটি প্রভৃতির প্রবেশ মানা। পরিবর্তে কম কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার জায়গা পায় এমন ডায়েটে। তাই যারা ওজন কমাতে চান, তারা এই ডায়েট মেনে খাবার খেলে দ্রুত ফল পাবেন।
টিপ ২:
কিটোস ডায়েট অনুসারে খাবার রান্না করতে হবে নারকেল তেলে। কারণ এই তেলে রয়েছে ট্রাইগ্লিসারাইড, যা শরীরের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
টিপ ৩:
কিটোস ডায়েট মেনে চলাকালীন প্রতিদিন কম করে ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে। কারণ একাধিক গবেষণয়া দেখা গেছে শরীর যত সচল থাকবে, তত কিটোস ডায়াটের কার্যকারীতা বৃদ্ধি পাবে।
টিপ ৪:
এই ডায়েটে এমন সব খাবার জায়গা করে নিয়েছে, যার বেশিরভাগই ওমেগা-ত্রি ফ্য়াটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। আর একথা তো সবারই জানা যে ওমেগা-থ্রি ফ্য়াটি অ্যাসিড হজম ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে ওজন কমে অনেক দ্রুত হারে।
টিপ ৫:
কিটোস ডায়েট মেনে চলার সময় আরেকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে, তা হল অনেক সময় অন্তর অন্তর খাবার খেতে হবে, ঘন ঘন খাবার খাওয়া একেবারেই চলবে না। আসলে এমনটা করলে শরীর পর্যাপ্ত সময় পায় গৃহীত খাবার থেকে এনার্জি তৈরি করার। ফলে একদিকে যেমন ওজন কমে, তেমনি শরীর থাকে চনমনে।
টিপ ৬:
কিটোস ডায়েটে থাকবে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারও। কারণ ওজন কমানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরের গঠন যদি ঠিক মতো না হয়, তাহলেই বিপদ! আর এই কাজে সাহায্য় করে প্রোটিন। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া মাস্ট!।