Just In
Don't Miss
লকডাউনে যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি বাড়িতে অবশ্যই মজুত রাখা দরকার
করোনা আতঙ্কে জর্জরিত সারা বিশ্ব। সংক্রমণকে রুখতে মানুষ কোয়ারান্টিন বা আইসোলেশনের পন্থা অবলম্বন করছে। কারণ, বিশেষজ্ঞদের মতে এই মারণ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে নিজেকে গৃহবন্দি করাই হল একমাত্র উপায়।
দেশকে এবং দেশের সমস্ত নাগরিককে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে সরকারের তরফ থেকে লকডাউন প্রক্রিয়া চালু হয়ে গেছে। এই অবস্থায় নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে রোজ রোজ ব্যাগ নিয়ে বাজারে ভিড় করার কোনও প্রয়োজন নেই। ভিড় করলেই আপনার বিপদ হয়তো আরও বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে, নিজেকে ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে এবং লকডাউনকে সার্থক করতে একটু প্ল্যান করে নিন। রোজ বাজারে পা রাখার পরিবর্তে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলি একেবারেই কিনে নিন, এটি করলে সুস্থ থাকবেন আপনিও। ভাবছেন কোন জিনিসগুলি কিনে রাখবেন? তবে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
১) ফার্স্ট এইড বক্স
ঘর পরিষ্কার, বাগান পরিচর্যা থেকে রান্না করা, যেকোনও কাজেই হাতে, পায়ে বা শরীরের যেকোনও জায়গায় চোট লাগতে পারে। সেই সকল চোটকে সাময়িকভাবে ঠিক করে তুলতে বাড়িতে রাখতেই হবে ফার্স্ট এইড বক্স। বাজারে যাওয়ার আগে দেখে নিন ফার্স্ট এইড বক্সে থাকা জরুরি ওষুধ, ছুরি-কাঁচি কাপড় ইত্যাদি রয়েছে কিনা। এই সকল জিনিস সঠিকভাবে মজুত করে রাখুন।
২) নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ
প্রত্যেকের বাড়িতে প্রায়ই কিছু না কিছু সাধারণ ঔষধ এর প্রয়োজন পড়ে, যেমন - অ্যাসিডিটি, প্রেসারের ঔষধ, জ্বর, সর্দি-কাশি, পেটের সমস্যা ইত্যাদি। বিশেষ করে বাড়িতে যদি বয়স্করা কেউ থাকেন। সেক্ষেত্রে হাতের কাছে এই ধরনের ওষুধগুলি রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন।
৩) সাধারণ খাবার ও রান্না সামগ্রী
লকডাউন চললেও সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী কিছু সময়ের জন্য বাজার খোলা থাকছে। সেক্ষেত্রে কাঁচা সবজি, একেবারে সাধারণ কিছু শুকনো খাবার বাড়িতে রেখে দিন। পাশাপাশি রান্নার জন্য যে সামগ্রীগুলি প্রয়োজন পড়ে তাও কিনে রাখুন, যাতে আপনাকে লকডাউন পিরিয়ডে রোজদিন বাজারে যেতে না হয়।
৪) পানীয় জল
কথায় বলে 'জলই জীবন'। তাই এই কঠিন সময়ে বাড়িতে জলের মজুত রাখার দিকে নজর দিন। বিশেষ করে যাদের দূর থেকে জল বয়ে আনতে হয় বা টাইম কলের জলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় তারা বেশি পরিমাণ জল মজুত রাখুন। এই সময়ে জল পান করার আগে তা ফুটিয়ে নিন।
৫) বাচ্চার সামগ্রী
যাদের বাড়িতে বাচ্চা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বাচ্চার সমস্ত সামগ্রী কিনে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। বাচ্চার ডাইপার, সাবান, শ্যাম্পু, ওষুধ, বেবি ফুড ইত্যাদি কিনে রাখুন। বাচ্চার এইসব সামগ্রী কেনার জন্য রোজদিন বাইরে বেরোনোর দরকার নেই।
৬) পোষ্যদের সামগ্রী
বাড়িতে যদি বিড়াল বা কুকুর পুষে থাকেন, তবে তাদের যত্ন নেওয়ার জন্য যাবতীয় সামগ্রী কিনে রাখুন। দেখবেন যাতে তাদের খাবারের কোনও ঘাটতি না হয়। তাদের ভ্যাকসিনের সময় এখন রয়েছে কিনা তা দেখে নিন এবং ডাক্তারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন। এছাড়াও যদি পাখি পুষে থাকেন তবে তার খাবারও মজুত করে রাখুন।
৭) প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
এই সময়ে বাড়ির বাইরে বেরোতে না হলেও বা সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ থাকলেও কখন যে কোন কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়বে তা বলা খুব কঠিন। তাই নিজের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইনকাম ট্যাক্স এর কাগজ, ইলেকট্রিক বিল, মেডিকেল ইনসিওরেন্স, ব্যাংকের নথি ইত্যাদি হাতের কাছে অত্যন্ত যত্নে রাখুন। বাড়িতে যদি এই সমস্ত কাগজ এর জেরক্স থাকে, তবে সেগুলিও এক জায়গায় রাখুন।
৮) জিমের সামগ্রী
আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুব সচেতন হন, তবে প্রাথমিক কিছু স্বাস্থ্য পরিচর্যার ক্ষেত্রে জিমের সামগ্রী বাড়িতে রাখতে পারেন। এই সময়ে বাইরের জিমে না গিয়ে বাড়িতেই ছোট জিম তৈরি করতে পারেন।
৯) বাথরুমের সামগ্রী
বাথরুমে থাকা নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলি, যেমন - শ্যাম্পু, সাবান, হ্যান্ডওয়াশ, বাথরুম পরিষ্কার করার লিকুইড, টয়লেট পেপার ইত্যাদি রয়েছে কিনা তা দেখে নিন। বাজারে গেলে একেবারে সেগুলি কিনে নিয়ে আসুন।
১০) অন্যান্য সামগ্রী
লোডশেডিং হলে মোমবাতি, লাইটার, ব্যাটারি যুক্ত ল্যাম্প লাইট ব্যবস্থা করে রাখুন। এছাড়া ঘর, রান্নাঘর পরিষ্কার রাখার প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে রাখা প্রয়োজন।
তবে খেয়াল রাখবেন কোনও জিনিস প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিনবেন না। কারণ, এই সময়ে যাতে সবাই তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি পায় সেদিকেও আমাদের নজর দিতে হবে।