Just In
৮ ধরণের ভারতীয় চাল ও তাদের গুণাবলী
ভারতীয় খাদ্য তালিকায় ভাত একটা অত্যাবশ্যক জিনিস। নানা রকমের ভারতীয় চালের ভাত হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল, এবং পুষ্টিকরও। এই প্রবন্ধে সেরকমই কিছু উপকারিতার কথা তুলে ধরা হল। সাদা চাল ও বাসমতি - এই দুটো খুবই প্রচলিত ভারতীয় চাল। আশ্চর্য্যকর, দুটো চালের ভাতেরই স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব একই রকম প্রায়। সাদা চালের তুলনায় বাসমতি চালের ভাত, আর সরু ও সহজপাচ্য হয়।
জাসমিন চালের ভাতের এক অনন্য সুগন্ধ আছে, যার জন্য এটাও বেশ জনপ্রিয়। এটা আপনার শরীরের ভেতরের আবর্জনা পরিষ্কার করে। বাদামি চালের অনেক গুণ এবং স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভাল মনে করা হয়। সাধারণত যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য বাদামি চালের ভাত খুবই কার্য্যকরি। বাদামি চালের ক্যালোরির মাত্রা কম থাকে, এবং শরীরের হজম প্রণালী ত্বরান্বিত করে। পুষ্টিগত গুণ চটচটে চালে অনেক বেশি, সাদা বা সেদ্ধ চালের তুলনায়।
তবে এই চটচটে চালের ভাত তৈরীর একটাই অসুবিধে, যে এটা বানাতে অনেক বেশি সময় লাগে। এখানের চলুন দেখি, রোজ যে চালের ভাত আমরা খাই, তার কি কি গুণ বা স্বাস্থ্যের ওপর কি প্রভাব। দেখে নিন, বিভিন্ন রকমের ভাতে কি উপকার আপনার ওপর।
সাদা চাল
এই ভারতীয় চালের সবচেয়ে বড় গুণ হল, এটা শরীরে শক্তি দেয়।দিনের যে কোনো সময় খাওয়া যায় সাদা চালের ভাত। এর জন্যই বাচ্চা বা বড়দের জন্য এটাই বেশি দিতে বলা হয়ে থাকে। আর একটা কারণ, সাদা চালের ভাত, অনেক পেটের গোলমাল থেকে মুক্তি দেয়। যেমন ধরুণ, ডাইরিয়া, ডিসেন্ট্রি, কোলাইটিস, এমনকি সকালের অসুস্থতা (মর্নিং সিকনেস)।
বাদামি চাল
ভারতে পাওয়া চালের মধ্যে সেরা হল, বাদামি চাল। এই চালের গুণের কোনো শেষ নেই। অনেক কারণে এটা আপনাকে সুস্থ্য ও সচল রাখে। এতে মাড়ের মাত্রা কম, ক্যালোরি কম ও আর অনেক গুণ। এতে দ্রবণীয় ফাইবারের মাত্রা বেশি। এই চালে থাকা তেল, আপনার শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টারলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
লাল চাল
লাল চাল খুব বেশি লোক পছন্দ করেনা। কিন্তু যদি আপনি, স্বাস্থ্যকর ও সবল থাকতে চান, তাহলে লাল চাল অবশ্যই খেতে হবে। রক্তে লোহার মাত্রা ঠিক রাখতে দারুণ কার্যকরি এই চাল। এটা আপনার রক্তে চিনির মাত্রা ও ইনসুলিন ঠিক রাখে। এছাড়া, লাল চালে থাকে ভিটামিন বি৬, যেটা রক্তে সেরোটনিন ও লাল কোষের উৎপত্তির ভারসাম্য বজায় রাখে। এটা ডি এন এ-র উৎপাদনেও সাহায্য করে।
চটচটে চাল
চটচটে ধরণের এই চালে, উপস্থিত তামা (কপার), আপনার সংযোজক টিস্যুগুলোকে শক্ত করে। এটা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও মস্তিষ্কের সঠিক সঞ্চালনে সাহায্য করে।
সেদ্ধ চাল
ডায়াবেটিসের রুগীর জন্য এই সেদ্ধ চাল খুবই উপকারি। এক কাপ সেদ্ধ চাল, দৈনিক প্রয়োজনের ২-৩% ক্যালসিয়াম, লোহা, ম্যাগনেসিয়াম ও পোটাসিয়াম সরবরাহ করে দেয়।
কালো চাল
কালো চাল, শরীরের জন্য খুব ভাল। বিশেষ করে, যারা এ্যালজাইমার বা ডায়াবেটিসের মত রোগে ভুগছেন, তাদের জন্য। এর জ্বালা দমনকারি গুণ ও উপস্থিত এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অন্য যেকোনো চালের থেকে অনেক বেশি।
বাসমতি চাল
যে কোনো ভারতীয় চালের থেকে, বাসমতি চালে ২০% বেশি ফাইবার থাকে। এছাড়াও বাসমতি চালের গ্লাইসেমিক সূচক, কম থেকে মাঝারি মাত্রার। এর মানে, নির্গত শক্তির হার কম, কিন্তু অবিচলিত, সুস্থিত। এর ফলে এটা শরীরের শক্তি প্রদান মাত্রায় একটা ভারসাম্য রাখে।
জাসমিন (জুঁই) রাইস/চাল
এই ভারতীয় চালটির একটা বিশেষত্ব হল, যে এতে প্রচুর পরিমাণে এ্যামিনো এ্যাসিডের থাকে, যেটা শরীরের পেশীর যণ্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে।