Just In
করোনা কালে ফুসফুস সুস্থ রাখতে খান এই পানীয়গুলি
দিন দিন বাতাসে দূষণের মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, প্রতিনিয়ত আমাদের ফুসফুস কোনও না কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তার উপরে আবার করোনার থাবা, যার সংক্রমণ ফুসফুসকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
ফুসফুস শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সুস্থ, সবলভাবে বেঁচে থাকার জন্য শরীরের সমস্ত কোষের অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। ফুসফুস অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং শরীর থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের করে দেয়। তাই সুস্থ ও ফিট থাকতে গেলে ফুসফুসের যত্ন নেওয়া উচিত। এখানে কিছু পানীয়ের সম্পর্কে বলা হল, যেগুলি আপনার ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।
১) লেবু, আদা এবং পিপারমিন্ট
লেবু, আদা এবং পিপারমিন্ট চা মুলত, প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে বিবেচিত হয়। এই চা আমাদের শরীরকে বিষমুক্ত করে। লেবু চা মনকে সতেজ করে, আদা এনার্জি বাড়ায় এবং পিপারমিন্ট গলা রিল্যাক্স করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
২) মধু এবং গরম জল
ফুসফুসকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে, খুবই কার্যকরি এই পানীয়টি। মধুতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য বর্তমান, যা প্রদাহ হ্রাসে কার্যকর। অপরদিকে, আপনার শরীরকে ডিটক্সিফাই করার জন্য, হালকা গরম জল অত্যন্ত লাভদায়ক।
৩) হলুদ এবং আদা
হলুদে কারকিউমিন রয়েছে, যার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি টক্সিসিটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন বের করে দিতেও সহায়ক। অপরদিকে, আদা বমি ভাব দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
সাবধান! বায়ু দূষণের ফলে এই মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের, জানুন এর থেকে বাঁচার উপায়
৪) গ্রিন টি
গ্রিন টি-র প্রচুর স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে, যার মধ্যে ফুসফুস পরিষ্কার রাখা অন্যতম। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই গ্রিন টি, ফুসফুসের প্রদাহ কমাতেও বিশেষভাবে উপযোগী। আদা, লেবু অথবা মধু সহযোগে প্রতিদিন অন্তত এক কাপ গ্রিন টি পান করুন। ফল পাবেন হাতে-নাতে!
৫) যষ্ঠিমধু
যষ্টিমধুর চা সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ কিংবা জ্বর কমাতে চমৎকারভাবে কাজ করে। এমনকি এই পানীয়টি নিয়মিত গ্রহণ করলে, হার্টের রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমায় এবং ফুসফুস পরিষ্কার রাখতেও সহায়তা করে।
উপরোক্ত এই পানীয়গুলি ছাড়াও, এই বিষয়গুলোর উপর বিশেষভাবে নজর দিন - পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং নিয়মিত এক্সারসাইজ অত্যন্ত জরুরী। ফুসফুসের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য, স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলি এখন থেকেই অনুসরণ করুন। বায়ু দূষণ থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করুন। ধূমপান সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ করুন। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।