For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

দ্রুত ওজন কমাতে চান? আজ থেকে এই পানীয়গুলি খাওয়া বন্ধ করুন!

|

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে, আমরা কত কিছুই না করে থাকি। শরীরচর্চা থেকে শুরু করে, মেপে খাবার খাওয়া, সবকিছুর ক্ষেত্রেই বিশেষ মনোযোগ দিয়ে থাকি। এমনকি কী খাচ্ছি, কতটা পরিমাণে খাচ্ছি, তাও আমরা হিসাব রাখার চেষ্টা করি। নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনটেন করে চলি। তবে আমরা কী ধরনের পানীয় পান করছি এবং কতটা পরিমাণে পান করছি, তার দিকে সাধারণত আমরা নজর দিই না।

Drinking Habits to Avoid If You Want to Lose Weight

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কেবলমাত্র খাদ্য নয়, সঠিক পানীয়ের গ্রহণও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ডায়েট অনুসরণ করার সময়, দিনে কী ধরনের এবং কতটা পানীয় গ্রহণ করছেন তার দিকেও সমানভাবে মনোযোগ দেওয়া দরকার। এমন নির্দিষ্ট কিছু পানীয় আছে যেগুলি খেলে, ওজন কমার প্রক্রিয়াতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। দেখে নিন সেগুলি কী কী -

১) প্যাকেটজাত ফলের রস

১) প্যাকেটজাত ফলের রস

ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ ফলের রস, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। ফলের রস শরীরের সমস্ত অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াগুলিকে ভালভাবে সম্পন্ন করতে এবং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করে। তবে এই সকল উপকারিতাগুলি কেবলমাত্র তাজা ফলের রসের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কারণ বাজারে কিনতে পাওয়া প্যাকেটজাত ফলের রসে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং প্রিজারভেটিভ থাকে, যা আমাদের ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

২) মিষ্টি চা

২) মিষ্টি চা

গ্রিন টি, হার্বাল টি অথবা কালো চা, এগুলি সবই স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। তবে শর্ত একটাই, এই চা উপভোগ করার ক্ষেত্রে, চিনি কিংবা কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহার করা যাবে না। মিষ্টি চা আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া বাজারের প্যাকেটজাত মিষ্টি আইস টি-র সেবনও এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এক বোতল মিষ্টি আইস টি-তে, ২০০ থেকে ৪৫০ ক্যালোরি বর্তমান, যা খুব সহজেই আপনার ডায়েট নষ্ট করে দিতে পারে।

৩) এনার্জি ড্রিঙ্কস

৩) এনার্জি ড্রিঙ্কস

শরীরচর্চার পর ক্লান্তি দূর করতে আমরা অনেকেই, এনার্জি ড্রিঙ্কস পান করতে পছন্দ করি। তবে চিনি এবং ফ্লেভার যুক্ত এনার্জি ড্রিঙ্কস কখনই আদর্শ পানীয় নয়। স্পোর্টস ড্রিঙ্কস কিংবা এনার্জি ড্রিঙ্কসে, প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং কৃত্রিম স্বাদ যোগ করা থাকে, যা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। তাই ডাবের জল কিংবা তাজা ফলের রস, প্রভৃতি পান করা যেতে পারে।

৪) অ্যালকোহল গ্রহণ

৪) অ্যালকোহল গ্রহণ

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে, অ্যালকোহল গ্রহণের দিকে বিশেষ নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি। বেশিরভাগ অ্যালকোহলেই ক্যালোরির পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে এবং তার সাথে যখন কোল্ড ড্রিঙ্কস মেশানো হয়, তখন ক্যালরির মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

৫) অপর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা

৫) অপর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা

পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করার ব্যাপারটা আমরা প্রায়ই অবহেলা করে থাকি। তবে শরীর সুস্থ রাখতে এবং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা অত্যন্ত জরুরি। জল শরীরকে হাইড্রেট রাখে, টক্সিন বের করে দেয় এবং মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার জল পান করুন।

৬) লো-প্রোটিন স্মুদি

৬) লো-প্রোটিন স্মুদি

স্মুদি বেশ কয়েকটি ফল ব্লেন্ড করে তৈরি করা হয়। এটি প্রোটিনের উৎস ছাড়াই উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত পানীয় হতে পারে। তাই লো-প্রোটিন স্মুদি পান করার কিছুক্ষণের মধ্যেই খিদে পেয়ে যায়। তাই, স্মুদি তৈরি করার সময় অবশ্যই দই, কেফির কিংবা প্রোটিন পাউডারের মতো প্রোটিন ব্যবহার করুন। প্রোটিনযুক্ত স্মুদি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে।

English summary

Drinking Habits to Avoid If You Want to Lose Weight

Six drinking habits to avoid if you are planning to shed kilos. Read on to know.
X
Desktop Bottom Promotion