Just In
- 8 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 9 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 12 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 14 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
মেদ বেড়েছে? ব্যায়াম করে লাভ হবে কি?
যখন শরীরে ফ্যাট অনিয়ন্ত্রিতভাবে জমতেই থাকে, তখন প্রয়োজন পড়ে আরও বেশ কিছু ব্যায়ামের।
প্রথমেই বলা যাক ব্যায়াম বা একসারসাইজ জিনিসটা কী। প্রতিদিনই আমাদের কিছু কাজ সারতে হয়। এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান আসে আমাদের রোজকার খাবারের থেকে। এই খাবার আমাদের শরীরে মূলত তিনভাগে জমা হয়। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট। এর মধ্যে কার্বোহাইড্রেট আর প্রোটিন শরীরে ঢুকেই কাজে লেগে পড়ে, বসে থাকে ফ্যাট। বসে থাকে মানে যে, সে কাজ জানে না তা নয়, সে কাজ করবে যখন কার্বোহাইড্রেট আর প্রোটিন শেষ হয়ে যাবে।
কিন্তু রোজের ইচ্ছামত খাবার খাওয়ায় শরীরে এই দুইয়ের সরবরাহ চলতেই থাকে, ফলে এরাই কাজ করে আর ফ্যাট বসে থাকে আর জমতে থাকে শরীরে। প্রতিদিনের এই কাজগুলোই আসলে ব্যায়াম। কিন্তু যখন শরীরে ফ্যাট অনিয়ন্ত্রিতভাবে জমতেই থাকে, তখন প্রয়োজন পড়ে আরও বেশ কিছু ব্যায়ামের। এবারে বলা যাক ব্যায়াম করলে কী কী হয়, এর থেকেই বেরিয়ে আসবে আপনার প্রশ্নের উত্তরটি।
১। রক্তসঞ্চালন বাড়ায়
ব্যায়াম করলে আপনার শরীরের বিভিন্ন পেশিগুলো অ্যাক্টিভ হয়ে ওঠে। হৃৎপিণ্ডের গতি বাড়ে ফলে বেড়ে যায় রক্ত সঞ্চালন। এই পেশিগুলোকে অ্যাক্টিভ করে তুলতেই প্রয়োজন পড়ে শরীরে জমে থাকা ফ্যাটের।
২। ক্যালোরি খরচা করায়
প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে অনেক পরিমাণে ক্যালোরি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। ভাজাভুজি, ফাষ্ট ফুড খেলে তো আর কথাই নেই। এই ক্যালোরিগুলো নিয়মিত ব্যায়াম করলে কাজে লাগে। ব্যায়ামের সময় শরীরের সব কোষেই কোষীয় কাজকর্ম তীব্রগতিতে চলতে শুরু করে। সে কাজ তো এমনি এমনি হয়, কাজ চালাতে লাগে শক্তি, সেই শক্তিই মেলে ক্যালোরি থেকে। যত ক্যালোরি খরচা হয়, ততই শরীরে ফ্যাট এর ব্যবহার বাড়ে।
৩। ফ্যাট বার্নিং
আমরা মাঝে মাঝে হাই তুলি কারণ আমাদের শরীরে অক্সিজেন কম পড়ে। যাদের শরীরে ফ্যাট বেশি অথচ কোনa ব্যায়াম করেন না, তাদের শরীরে কিন্তু অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকে। ব্যায়াম করলে শরীরের পেশিগুলো সচল করতে অক্সিজেনের প্রয়োজনও পড়ে। ব্যায়ামের সময় আমরা মিনিটে ৭-৮ লিটার বেশি অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকি। এই অক্সিজেন শরীরে জমে থাকা ফ্যাটকে গলতে সাহায্য করে। অক্সিজেন শরীরে না থাকলে শরীর দুর্বল হয়ে যায় ও কাজের ক্ষমতাও কমে যায়। এই কারণেই ব্যায়াম করাটা জরুরি। পুশ আপ বা বুক ডন জাতীয়
ব্যায়াম না করে যদি ধনুরাসন, বজ্রাসন ইত্যাদি নানা আসন অভ্যাস করা যায়, তাহলেও শরীরে অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন হয় যা ফ্যাট গলাতে সাহায্য করে।
৪। ব্যায়ামের পরের উপকার
ব্যায়াম করার পর আপনি যদি এমনিই বসে থাকেন সেক্ষেত্রেও আপনার শরীরের প্রতি কোষ ও পেশির কাজগুলো ব্যায়াম সময়কার গতিতেই চলতে থাকে। তাই ব্যায়ামের এটাই সুবিধা যে ব্যায়াম করার পর দৈনন্দিন জীবনের কাজগুলো করতে থাকলেও যেহেতু শরীর একবার গতিটা পেয়েছে, সেই গতিটাই বজায় রাখতে চায়। এই গতিই শরীরের ফ্যাটগুলোকে কাজে লাগায়।
৫। ব্যায়ামের বিকল্প
ব্যায়ামে অনেকের অনীহা থাকে, তাদের জন্য উপায় আছে আরও বেশ কিছু। সাঁতার, ফুটবল খেলা এইগুলোকেও বেছে নিতে পারেন স্বচ্ছন্দে, ব্যায়ামের বদলে। বলা ভালো, আসলে এগুলোও একধরনের ব্যায়ামই। এক্ষেত্রেও শরীরে জমে থাকা ফ্যাট গলে গিয়ে পেশিগুলোকে সচল রাখতে সাহায্য করে। পেশি সচল না থাকলে এধরনের খেলা বা সাঁতার কাটা যে অসম্ভব তা কে না জানে।
ব্যায়াম করা উচিত দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়, ও অন্ততপক্ষে আধঘন্টা। প্রথম প্রথম দশমিনিট করেই মনে হবে অনেক হয়ে গেছে। তাই এক্ষেত্রে দশমিনিট অন্তর দুতিন মিনিট বসে নিয়ে আবার ব্যায়াম করা উচিত। ব্যায়াম করলে শরীরের কী কী উপকার হয়,তা তো দেখলেন, এর থেকেই বোঝা যায় ফ্যাট কমাতে ব্যায়ামের কোনও বিকল্প নেই।