Just In
এই বদ-অভ্যাসগুলির কারণেও ওজন বাড়তে পারে। তাই সাবধান!
আমাদের মধ্যে অনেকেই কখন খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে, সে সম্পর্কে জানেন না। ফলে পেট ভরে গেলেও খেতে থাকেন। তাতে অতিরিক্ত খাবার শরীরে জমতে শুরু করে।
ওজন বৃদ্ধি মোটেও ভাল নয়। চর্বি বাড়তে শুরু করলে নানা রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। যার মধ্যে অন্যতম হল সুগার, প্রেসার, কোলেস্টেরল, হার্টের রোগ প্রভৃতি। শুধু তাই নয় হাঁটতে এবং পিঠে ব্যথার মতো সমস্যাও ওজন বৃদ্ধির কারণে হতে পারে। তাই সাবধান! কিন্তু কীভাবে সাবধান হব? এক্ষেত্রে কিছু অভ্যাস ছাড়তে হবে। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই এমন পরিস্থিতির সম্মুখিন হয়েছেন নিজেদের কিছু কু-অভ্যাসের কারণে। তাই তো এই অভ্যাসগুলি বদলে ফেললেই পেটের চর্বির পাশাপাশি সার্বিকভাবে ওজন বৃদ্ধিও একেবারেই থমকে যায়।
সাধারণত কী কী অভ্যাসের কারণে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে? এই উত্তর পেতে গেলে যে চোখ রাখতে হবে বাকি প্রবন্ধে!
১. প্রয়োজনে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া:
আমাদের মধ্যে অনেকেই কখন খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে, সে সম্পর্কে জানেন না। ফলে পেট ভরে গেলেও খেতে থাকেন। তাতে অতিরিক্ত খাবার শরীরে জমতে শুরু করে। আর এমনটা হতে থাকলে প্রথমে পেটের চর্বি বৃদ্ধি পায়, তারপর সারা শরীরেই মেদের আধিক্য দেখা দেয়।
২. মন দিয়ে খাবার খাওয়া:
অনেকেই টিভি দেখতে দেখতে খাবার খান। তাতে কী খাচ্ছেন সেদিকে যেমন খেয়াল থাকে না, তেমনি খাওয়ার পরিমাণের উপরও কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। ফলে ওজন বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত হয়। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে মন দিয়ে খাবার খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে, সেই সঙ্গে ক্যালোরি বেশি রয়েছে এমন খাবার খাওয়ার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর একথা তো সকলেই জানেন যে শরীরে যত কম পরিমাণে ক্যালোরি ঢুকবে, তত মোটা হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পাবে।
৩. দীর্ঘক্ষণ এক জয়াগায় বসে থাকা:
একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে যারা বহুক্ষণ এক জায়গায় বসে টিভি দেখেন বা কাজ করেন, তাদের মেদ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে। কারণ শরীরে উপস্থিত ক্যালোরি সেক্ষেত্রে বার্ন হওয়ার সুযোগ পায় না। আর আপনারা নিশ্চয় জানেন যে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি মজুত হলে কী হতে পারে!
৪. মনোযোগের আভাব:
আমরা খাবার কেন খাই? কেন আবার খিদে পায় বলে। একদন ঠিক! কিন্তু আপনাদের কী জানা আছে খিদের সময় শুধু খাবার খেলে চলে না, মন দিয়ে খাবার খেতে হয়। না হলে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি তো পূরণ হয়ই না। উল্টে মেদ বাড়তে শুরু করে।
৫. মন খারাপ থাকলে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে মন খারাপ থাকাকালীন খাবার খেলে বেশিরভাগ সময়ই প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হয়ে যায়। ফলে মেদ বৃদ্ধির আশঙ্কা বাড়ে। তাই তো মন খারাপের সময় খেতে মানা করেন চিকিৎসকেরা। এবার থেকে তাই মন যতক্ষণ ভাল না হচ্ছে, ততক্ষণ খাবারের দিকে ফিরেও তাকাবেন না।
৬. ফাঁদে পা দেবেন না:
কতটা খাবার খেলে আপনার পেট ভরে যায়, সে সম্পর্কে ধারণা করে নেবেন। আর একবার এ সম্পর্কে জ্ঞান হয়ে গেলে দেখবেন কোনও পরিস্থিতিতেই বেশি খাবার আপনি খাবেন না। কারণ মাঝে মাঝে নানা কারণে আমাদের খাওয়ার পরিমাণের উপর নজর থাকে না। ফলে মেদ বৃদ্ধির ফাঁদে আমরা অজান্তেই পরে যাই।
৭. শরীরচর্চা না করা:
আমাদের মধ্যে অনেকেই এতটাই কুঁড়ে হন যে কোনও ধরনের শরীরচর্চাই করতে চান না। এমন মানুষদের কিন্তু ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা সবথেকে বেশি থাকে। কারণ এক্সারসাইজ আমাদের শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বিকে গলিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ক্যালোরি বার্নের প্রক্রিয়াকেও ত্বরান্বিত করে। ফলে মেদ জমার কোনও সুযোগই পায় না।