Just In
ঢেঁড়স ভেজানো জল পানেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস! বানাবেন কী ভাবে? জেনে নিন
ঢেঁড়সের নাম শুনলে অনেকেই নাক সিঁটকোয়, কিন্তু এর গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। ওজন নিয়ন্ত্রণ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা, দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখা, রক্তে শর্করা পরিমাণ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়াও শরীরের আরও অনেক উপকার করে এই সবজিটি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপযোগী ঢেঁড়স। খাওয়াদাওয়া নিয়ে এমনিতেই ডায়াবেটিস রোগীদের চিন্তার শেষ নেই। তবে সুগার রোগীরা ডায়েটে ঢেঁড়স অন্তর্ভুক্ত করতেই পারেন। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢেঁড়স সেদ্ধ, ভাজা, তরকারির পাশাপাশি ঢেঁড়স ভেজানো জলও খেতে পারেন।
কেন খাবেন ঢেঁড়স?
ঢেঁড়স ফাইবার, ভিটামিন বি৬, বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন এবং ফোলেট-সহ বিভিন্ন পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি। ভিটামিন বি ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির আক্রমণ প্রতিহত করতে সহায়তা করে এবং হোমোসিস্টেইনের মাত্রা কমায়। এই উপাদানটি ডায়াবেটিস বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এই সবজিতে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার শর্করার মাত্রাকে স্থিতিশীল করতেও সাহায্য করে। তাছাড়া, ঢেঁড়স অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাওয়ার হাউস।
আরও পড়ুন : খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা বে়ড়ে যায়? কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন? দেখে নিন টিপস
ঢেঁড়সে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় দুই ধরনের ফাইবারই থাকে। ফাইবার পাচন প্রক্রিয়ার গতিবেগ কমায়। ফলে খাবার খাওয়ার পর ধীরে ধীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ে। ঢেঁড়স প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি সবজি। ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় উচ্চ প্রোটিন রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার পেট ভরা রাখতে এবং অন্যান্য চিনিযুক্ত খাবারের প্রতি আসক্তি কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া, ঢেঁড়সে ক্যালোরির মাত্রাও বেশ কম থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে ঢেঁড়স।
ঢেঁড়সের জল তৈরির পদ্ধতি
১) ৪-৫টি ঢেঁড়স ভাল করে ধুয়ে প্রান্তগুলি কেটে বাদ দিন। তারপর সবকটি ঢেঁড়স লম্বালম্বিভাবে কেটে ফেলুন।
২) একটি কাঁচের জারে তিন কাপ জল ঢেলে তাতে ঢেঁড়সগুলো দিয়ে দিন। সারারাত এই ভাবে ভিজিয়ে রাখুন।
৩) সকালে ওই জলের মধ্যেই ঢেঁড়সগুলো ভাল করে চিপে অতিরিক্ত জলটা বার করে নিন। তারপর ফেলে দিন ঢেঁড়সগুলো। এই জলটি পান করলেই ডায়াবেটিসে মিলতে পারে উপকার।
তবে সবার শরীরে সব কিছু সহ্য হয় না। তাই যে কোনও কিছু খাওয়ার আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।