Just In
- 57 min ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 17 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 18 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 20 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
কিকি চ্যালেঞ্জের খপ্পরে কেন পরছে আপনার বন্ধুরা?
এতদিনে হয়তো জেনে গেছেন কী এই কিকি চ্যালেঞ্জ? বেশ কিছু দিন আগে সোসাল প্লাটফর্মে একটা ভিডিও হঠাৎ করেই ভাইরাল হয়ে যায়, তাতে দেখা যায় এক বিখ্যাত সোসাল মিডিয়া পার্সোনালিটি হঠাৎ করেই রাস্তায় ডান্স করছে
আজকাল সোসাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডে গা ভাসাতে না পারলে আপনি সময়ের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গেছেন, এমন ভাবনাকে সঙ্গী করে ৩০ পরতে চলা ইয়ংস্টারেরা কখনও পরছেন চরম দুর্ঘটনার খপ্পরে, তো কখন প্রাণটাই চলে যাচ্ছে। তবু শুভ বুদ্ধির উদয় ঘটছে কই! ব্ল হোয়েলে চ্যালেঞ্জের ফাঁদে পরে বহু বাচ্চা প্রাণ দেওয়ার পর সবার মনে হয়েছিল এবার হয়তো ইয়ং জেনারেশনের ভবনা-চিন্তায় পরিবর্তন আসবে, হয়তো বদলাবে তাদের মানসিকতাও! কিন্তু! এক সময় সবাই ব্ল হয়েলের খপ্পরে পরেছিল, এখন পরছে "কিকি চ্যালেঞ্জের"।
এতদিনে হয়তো জেনে গেছেন কী এই কিকি চ্যালেঞ্জ? বেশ কিছু দিন আগে সোসাল প্লাটফর্মে একটা ভিডিও হঠাৎ করেই ভাইরাল হয়ে যায়, তাতে দেখা যায় এক বিখ্যাত সোসাল মিডিয়া পার্সোনালিটি হঠাৎ করেই রাস্তায় ডান্স করতে শুরু করে দিয়েছেন। সেই শুরু...
কী এই "কিকি চ্য়ালেঞ্জ"?
এটি একটি ভাইরাল হয়ে যাওয়া ডান্স চ্যালেঞ্জ, যাতে চ্যালেঞ্জারকে চলন্ত গাড়ি থেকে নেমে বিশেষ একটি গানে ডান্স করতে হবে, আর তখন গাড়িটা কিন্তু থেমে গেলে চলবে না!
কে শুরু করছিলেন এমন আজব চ্যালেঞ্জটি?
গত ৩০ জুন, কমেডিয়ান এবং সোসাল মিডিয়া ইনফ্লয়েন্সসিয়ার শিগি, যার ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ১.৬ মিলিয়ান, শুরু করেছিলেন এই আজব চ্যালেঞ্জটি। তিনি একটি ডান্স ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন, যার নাম ছিল "কিকি চ্যালেঞ্জ"। তারপর থেকে সারা বিশ্বের লক্ষাধিক মানুষ তাদের সোসাল মিডিয়া প্লাটফর্মে কিকি চ্যালেঞ্জের ভিডিও পোস্ট করতে শুরু করে দেন। বাদ পরেননি উইল স্মিথের মতো তারকাও। কিন্তু জানেন কি এমনটা করতে গিয়ে কয়েক জন মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পরেছেন? সংখ্যাটা কিন্তু নেহাতই কম নয়।
কিন্তু কে এই কিকি?
হঠাৎ করে এমন আজব চ্যালেঞ্জের নাম "কিকি চ্যালেঞ্জ" হল কেন, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত জানা না গেলেও অনেকেরই মনে হচ্ছে, যে গানে সবাই নাচছেন, সেই "ইন মাই ফিলং"-এর গায়ক ড্রেকের প্রাক্তন প্রেমিকা কেকে চেন্টের নাম বিকৃত করে শিগি এই চ্যালেঞ্জের নাম রেখেছেন কিকি চ্যালেঞ্জ।
সবাই এমন পাগলের মতো কেন এমন ভিডিও শেয়ার করছে?
ইয়ংস্টারদের মধ্য়ে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার প্রবণতা এমনিতেই বেশি থাকে। কারণ এই সময় তাদের শরীরে এমন কিছু হরমোনাল চেঞ্জ হতে শুরু করে যে তারা যে কোনও মাত্রায় গিয়ে রিস্ক নিতে রাজি থাকেন। এই কারণেই তো ১৮-২২ বছর বয়সীরা এই ধরনের চ্যালেঞ্জের খপ্পরে বেশি পরেন। তবে এক্ষেত্রে আরেকটি জিনিসওএক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে, তা হল সোসাল মিডিয়া অ্যাডিকশান। হাজারো লাইক এবং কমেন্ট পাওয়ার নেশায় অনেকেই নিজের জীবনকে বিপদে ফলতেও পিছপা হন না। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে সোসাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করার সময় অনেকের শরীরের অন্দরেই ডোপামিন নামক একটি ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যে কারণে নিমেষে মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে। অনেক সময় এই ডোপামিনের নেশাতেও যুবসমাজ এমন চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহন করে ফেলেন।
কী করণীয়:
অ্যাসোসিয়েশন অব মেন্টাল হেলথের বিশেষজ্ঞদের মতে এক্ষেত্রে বাড়ির বড়দের এগিয়ে আসতে এবং ছোটদের বোঝাতে হবে এমন ধরনের চ্যালেঞ্জের খারপ দিক সম্পর্কে। শুধু তাই নয়, ইয়ং জেনারেশনকেও বুঝতে হবে কিছু সময়ের আনন্দের নেশায় এমন বিপদে পরাটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়!
সোসাল মিডিয়া অ্যাডিকশন থেকে বেঁচে থাকার উপায়:
সোসাল মিডিয়ার ভাল দিকের থেকে খারাপ দিকটাই যে বেশি, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। তাই তো বলি বন্ধু নিরাপদে থাকতে সোসাল মিডিয়া থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে হবে। আর কীভাবে এমনটা সম্ভব হবে? এক্ষেত্রে সহজ কতগুলি নিয়ম মেনে চলতে হবে, তাহলেই দেখবেন কেল্লাফতে! যেমন ধরুন-
১. সোসাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখতে হবে। এমনটা করলে বারে বারে মোবাইলের দিকে চোখ যাবে না। সেই সঙ্গে মিনিটে মিনিটে সোসাল মিডিয়ায় চক্কর লাগানোর প্রবণতাও কমবে।
২. একটা সময় বেঁধে নিতে হবে। এই নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে ভুলেও সোসাল মিডিয়ায় ঢোকা চলবে না। এই নিয়মটা মানলে দেখবেন ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের নেশা কাটতে সময় লাগবে না।
৩. ফ্রি টাইমে পছন্দের বই পরুন অথবা যা করতে ভাললাগে তাই করুন। এমনটা করলে মন খুশি থাকবে এবং স্ট্রেল লেভেলও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পাবে না। শুধু তাই নয়, সময় পেলেই সোসাল মিডিয়ায় উুঁকি মারার অভ্যাসও কমবে।
৪. পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে বেশি সময় কাটান। এমনটা করলে মন নিমেষে খুশি হয়ে যাবে এবং বোকা বোকা চ্যালেঞ্জের খপ্পরে পরে প্রাণ যাওয়ার আশঙ্কাও কমবে।