For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই সম্ভব ব্রঙ্কাইটিসের চিকিৎসা

অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই সম্ভব ব্রঙ্কাইটিসের চিকিৎসা

|

ব্রঙ্কাইটিস কী? সহজ কথায় ব্রঙ্কাইনাল টিউবের দেওয়ালে প্রদাহ হওয়াকেই চিকিৎসা পরিভাষায় ব্রঙ্কাইটিস বলা হয়ে থাকে। এই রোগে আক্রান্ত হলে কাশি, থকথকে কফ ওঠা সহ আরও নানা ধরনের লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে।

ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হলে যত শীঘ্র সম্ভব চিকিৎসা শুরু করা উচিত। আর যদি অ্যাকিউট ব্রঙ্কাইটিস হয়, তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। একটু সাবধানে থাকলে অল্প দিনেই রোগ সারতে শুরু করে। এক্ষেত্রে রোগের প্রকোপ অনুযায়ী কাশি, ক্লান্তি, জ্বর, শ্বাস কষ্ট, বুকে অস্বস্তি এবং কফ ওঠার মতো লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে। প্রসঙ্গত, ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার পর ধূমপান ছেড়ে দিতে হবে। নচেৎ কিন্তু বিপদ। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে এই রোগে ভোগাকালীন কেউ যদি ধূমপান করতে থাকে তাহলে সমস্য়া আরো জটিল আকার নেয়। শুধু তাই নয় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্য়া থাকলেও এই রোগ সহজে সারতে চায় না। এই বিষয়গুলির দিকে খেয়াল রাখাটাও খুব জরুরি।

ব্রঙ্কাইটিস রোগকে দূর পাঠাতে প্রথমেই যে কাজটা করতে হয়, তা হল কফ ওঠাকে সারিয়ে তুলতে হয়। আর একবার বুকে কফ জমা বন্ধ হয়ে গেলে ধীরে ধীরে রোগও সারতে শুরু করে দেয়। এই প্রবন্ধে এমন কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচন করা হল, যা কফের সমস্য়াকে সারিয়ে তুলতে দারুন কাজে আসে।

প্রতিবাধান ১:

প্রতিবাধান ১:

এক কাপ গরম দুধে এক চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে দিনে তিনবার পান করুন। হলুদের মধ্য়ে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান বুকে কফ দমা এবং প্রদাহ কমিয়ে দেবে।

সাবধানতা: আপনি যদি আসলার, অ্যাসিডিটি, গলব্লাডার স্টোন অথবা জন্ডিসে ভোগেন তাহলে একেবারেই এই পানীটি খাবেন না।

প্রতিবিধান ২:

প্রতিবিধান ২:

গরম জলে পরিপূর্ণ বাথটবে এক গ্লাস নুন মেশান। যতক্ষণ নুনটা জলে ভালো করে মিশে না যাচ্চে, ততক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর সেই জলে কম করে ৩০ মিনিট শুয়ে থাকুন। সপ্তাহে দুবার এমন করলে দেখবেন রোগ অনেকটাই কমে যাবে।

প্রতিবিধান ৩:

প্রতিবিধান ৩:

ব্রেকফাস্টের আগে এক চামচ পেঁয়াজের রস প্রতিদিন খান। দেখবেন অল্প দিনেই বুকে কফ জমা কমে যাচ্ছে। আসলে পিঁয়াজে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা বুকে মিউকাস জমার পথকে আটকে দিতে পারে। তাই তো ব্রঙ্কাইটিস সারাতে ভরসা রাখা যেতেই পারে এই পদ্ধতিটির উপর।

প্রতিবিধান ৪:

প্রতিবিধান ৪:

গরম জলে পরিমাণ মতো ইউকেলিপটাস তেল মেশান। এবার মাথাটা ঢেকে সেই জলের ভাপ নিন। এই স্টিম থেরাপিটা নিলে রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কারণ এই তেলটি হল অ্যান্টিব্য়কটেরিয়াল। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রণালিকে খুলে দিয়ে শ্বাস কষ্ট কমিয়ে ফেলতে এটির কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে।

প্রতিবিধান ৫:

প্রতিবিধান ৫:

রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে তিনটে রসুনের কোয়া ফেলে পান করুন। রসুন হল এক ধরনের প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক, সেই সঙ্গে এতে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল প্রপাটিজ। তাই ব্রঙ্কাইটিস সারাতে এই ঘরোয়া নিধানটি দারুন কাজে আসে।

প্রতিবিধান ৬:

প্রতিবিধান ৬:

এক কাপ গরম জলে এক চামচ মধু এবং দু চামচ লেবুর রস মিশিয়ে রোজ সকালে পান করুন। দেখবেন বুকের অস্বস্তি এবং প্রদাহ, দুই-ই কমে যাবে।

প্রতিবিধান ৭:

প্রতিবিধান ৭:

পরিমাণ মতো আদা বাটার সঙ্গে দুপিস দারচিনি মিশিয়ে এক গ্লাস গরমে জলে দিয়ে একটা মিশ্রন তৈরি করুন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন সকালে এই পানীয়টি খেলে দেখবেন আপনি অনেকটাই সুস্থ বোধ করবেন। প্রসঙ্গত, আদা ব্রঙ্কাইনাল টিউবের দেওয়ালে যে প্রদাহ সৃষ্টি হয় তা কমাতে সাহায্য় করে।

English summary

অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই সম্ভব ব্রঙ্কাইটিসের চিকিৎসা

What's bronchitis? Well, it is nothing but the inflammation of bronchial tube lining. A person suffering from this condition may suffer cough and spit thick mucus.
Story first published: Tuesday, February 7, 2017, 10:23 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion