Just In
Don't Miss
করোনা আবহে প্লাজমার চাহিদা তুঙ্গে, জেনে নিন প্লাজমা দানের ক্ষেত্রে কী করা উচিত এবং কী নয়
করোনার অতিমারিতে প্লাজমা থেরাপি একটি অতি পরিচিত নাম। কোভিড চিকিৎসার জন্য প্লাজমা থেরাপি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। এবার কোভিড চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানতে হবে চিকিৎসক ও রোগীকে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, প্লাজমা ডোনেট করার ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে।
প্লাজমা থেরাপি কী?
প্লাজমা থেরাপি হলো একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। কোভিড আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি যিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেছেন, তার রক্ত থেকে রক্তরস নেওয়া হয়। সেই রক্তরসকে একজন গুরুতর সংক্রামিত ব্যক্তির দেহে ইনজেক্ট করা হয়। চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলা হয় কনভ্যালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি। করোনা সারানোর একটি পরীক্ষামূলক পদ্ধতি হল প্লাজমা থেরাপি।
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস : কনভ্যালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি কী? জেনে নিন কোভিড-১৯ প্রতিরোধে এটি কতটা কার্যকর
প্লাজমা বা রক্তরস রক্তের সবথেকে বড় অংশ। এই প্লাজমা যখন রক্ত থেকে আলাদা করা হয়, তখন এটিকে পরিষ্কার এবং হালকা হলুদ রঙের তরল পদার্থের মতো দেখতে লাগে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, অ্যান্টিবডিযুক্ত প্লাজমা রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই রক্তরস অ্যান্ডিবডি তৈরি করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে ও যেকোনও সংক্রমণ আটকাতে পারে।
কারা প্লাজমা দান করতে পারবে?
প্লাজমা দানের মাধ্যমে বহু করোনা রোগীকে বাঁচানো সম্ভব। কিন্তু তার আগে আমাদের জেনে নিতে হবে কারা প্লাজমা দান করতে পারবে -
১) যে ব্যক্তির পূর্বে করোনা সংক্রমণ হয়েছিল এবং তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন বা তার রিপোর্ট বর্তমানে নেগেটিভ।
২) করোনা থেকে সেরে ওঠার ১৪ দিনের মধ্যে, যদি কোনও লক্ষণ অনুভব না করেন।
৩) আপনার প্লাজমাতে যেন উচ্চস্তরের অ্যান্টিবডি থাকা উচিত।
৪) আপনার বয়স যেন অবশ্যই ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হয়।
কারা প্লাজমা দান করতে পারবে না?
করোনার সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পরেও, যদি আপনি নিম্নে উল্লিখিত বিভাগগুলির অধীনে পড়েন, তাহলে প্লাজমা দান করতে পারবেন না -
১) আপনি যদি আন্ডারওয়েট হন বা আপনার ওজন যদি ৫০ কেজির কম হয়।
২) ডায়াবেটিস থাকলে।
৩) আপনি যদি গর্ভবতী হন।
৪) আপনার যদি হাই ব্লাড প্রেসার থাকে।
৫) আপনি যদি ক্যান্সারের রোগী হন।
৬) আপনি যদি ফুসফুস, কিডনি বা হার্টের রোগে ভুগছেন।
আপনি কখন প্লাজমার জন্য অনুরোধ করতে পারেন?
একজন করোনা রোগী তখনই প্লাজমার জন্য অনুরোধ করতে পারে, যখন -
১) রোগীর রক্তে কম পরিমাণে প্লাজমা রয়েছে।
২) আপনি যদি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং একই ব্লাড গ্রুপের কোনও ডোনার থাকে।
প্লাজমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম
আমরা অনেকেই জানিনা প্লাজমা ডোনেশনের ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মানা উচিত। তাই জনসাধারণের সুবিধার্থে সরকারের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। দেখে নিন কী আছে সেই গাইডলাইনে -
১) ১২০ দিনের মধ্যে কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন এমন মানুষ প্লাজমা দিতে পারেন। আরটি-পিসিআর বা অ্যান্টিজেন টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্টের হার্ডকপি এবং আধার কার্ড সঙ্গে রাখুন।
২) করোনা পজিটিভ রিপোর্টের ১৪ দিন পরও যদি কোনও উপসর্গ না থাকে, তবেই দান করুন।
৩) কোনও মহিলা যদি গর্ভবতী হন, তাহলে তিনি প্লাজমা দান করতে পারবেন না।
৪) কোনও ব্যক্তি যদি করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে থাকেন, তাহলে ভ্যাকসিন নেওয়ার তারিখ থেকে ২৮ দিন পর্যন্ত প্লাজমা দান করতে পারবেন না।
৫) আপনার শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিবডি না থাকে, তাহলে আপনাকে প্লাজমা অনুদানে প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে।
৬) অন্য কোনও তথ্যের জন্য, দয়া করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আগেই ফোনে যোগাযোগ করুন।