Just In
Happy hypoxia : সাবধান! করোনা কালে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে 'হ্যাপি হাইপক্সিয়া', জানুন এর সম্পর্কে
বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। বিশেষত, করোনার সেকেন্ড ওয়েভে ভারতের অবস্থা বেশ শোচনীয়। এই মারণ ভাইরাসের থাবায় একটার পর একটা নতুন রোগের জন্ম হচ্ছে, যার মধ্যে একটি হল হ্যাপি হাইপক্সিয়া। এটি চুপি চুপি করোনা রোগীর শরীরে বিস্তার ঘটাতে থাকে, যা সহজে সনাক্ত করা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক হ্যাপি হাইপক্সিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত।
হ্যাপি হাইপক্সিয়া কী?
রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা মারাত্মক হারে কমতে থাকে, কিন্তু রোগী বুঝতেই পারেন না। চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় একে 'হ্যাপি হাইপক্সিয়া' বলে। বিশেষত, করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়।
শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকলেও তা জানান দেয় না। প্রথমের দিকে মাথা ঘোরা, শ্বাস-প্রশ্বাসের কোনও সমস্যা হয় না। বাইরে থেকে রোগীকে দেখে মনে হতে পারে ঠিকই আছে, ‘হ্যাপি' সে। কিন্তু হঠাৎ করে অক্সিজেনের মাত্রা ৭৫ বা ৮০-তে নেমে যায়। আর তখনই শুরু হয়ে যায় শ্বাসকষ্ট, যা প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই হ্যাপি হাইপক্সিয়া কে 'সাইলেন্ট কিলার'-ও বলা হয়।
এর কারণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, হ্যাপি হাইপোক্সিয়ার প্রধান কারণটি হল ফুসফুসের স্মল ব্লাড ভেসেলে রক্ত জমে যাওয়া। এর কারণে, ফুসফুস পর্যাপ্ত অক্সিজেন পেতে পারে না এবং রক্তে অক্সিজেনের স্যাচুরেশন কমতে শুরু করে।
লক্ষণ
ঠোঁটের রঙ পরিবর্তন হতে থাকে, অর্থাৎ ঠোঁট হালকা নীল হতে শুরু করে। এছাড়া, ত্বকের রঙেও পরিবর্তন দেখা দেয়। গরম না থাকলেও, ঘাম দিতে থাকে। শরীরে অস্বস্তি লাগে, অক্সিজেনের মাত্রা ভীষণ কমে গেলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এই সবই রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কম হওয়ার লক্ষণ। তাই এই লক্ষণগুলির দিকে নজর দেওয়া দরকার। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কমবয়সীদের মধ্যে কেন এই সমস্যা বেশি হচ্ছে?
একজন সুস্থ ব্যক্তির রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ বা তার উপরে থাকার কথা। কিন্তু কমবয়সীদের মধ্যে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৮০-তে পৌঁছে গেলেও তার বাহ্যিক লক্ষণ সবসময় প্রকাশিত হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, যুবাবস্থায় ইমিউনিটি বেশ শক্তিশালী হয়, তাই তাদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলেও কিছুই অনুভব হয় না। এই কারণেই, অক্সিজেন স্যাচুরেশন যখন অনেক কমে যায়, তখন তারা এটি উপলব্ধি করে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
পালস অক্সিমিটার
এই যন্ত্রটি সঙ্গে রাখতে পারেন। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কতটা রয়েছে, পালস রেট কত, এই সবকিছুরই হিসেব দেয় এই যন্ত্র। অক্সিমিটারের মাধ্যমে সর্বদা অক্সিজেনের মাত্রার উপর নজর রাখুন। অক্সিজেনের মাত্রা কমতে দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।