Just In
- 7 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 8 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 12 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 13 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
কোভিড-১৯ : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খান রসুন, জানুন এর অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা
এমনিতেই বর্ষাকাল তার উপরে করোনার থাবা, সব মিলিয়ে মানুষের জীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কারণ, কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হওয়ার পাশাপাশি এই বর্ষাকাল মানেই হাজারো রোগের আগমনের সময়। কলেরা, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে এই বর্ষাতেই। তাই এই সময়ে নিজেকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে নিয়মিত সুষম খাবারের নিদান দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষাকালে এই সমস্ত রোগের থেকে নিজেদের বাঁচাতে এবং করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। এই আবহে করোনার পাশাপাশি সমস্ত রোগের থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে সুস্থ থাকাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। তাই আজ আমরা এমন একটি সবজির কথা উল্লেখ করব যা খেলেই আপনি বিভিন্ন রোগের থেকে অনায়াসেই মুক্তি পেতে পারেন। রান্না না করে দিব্যি কাঁচাও খেতে পারেন এটি, যার নাম রসুন। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, সোডিয়াম ইত্যাদি উপাদানে ভরপুর রসুন আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি।
রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা
১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে
রসুন ভিটামিন ও খনিজের এক অনন্য উৎস, যা ইমিউনিটি পাওয়ারকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও রসুনে অ্যালিসিনের উপস্থিতি থাকায় এটি বিভিন্ন অসুস্থতার সঙ্গেও লড়াই করতে পারে। তাই রোজ এক কোয়া করে রসুন খান।
২) ঠাণ্ডা লাগা ও ফ্লু এর হাত থেকে রক্ষা করে
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা - যেকোনও সময়েই আমাদের ঠান্ডা লাগার সমস্যা দেখা দেয়। জ্বর, নাক বন্ধ, সর্দি, কাশি ইত্যাদি লেগেই থাকে। এসমস্ত থেকে স্বস্তি দিতে রসুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, রসুন সাধারণ ফ্লু এবং ভাইরাল ফিভার ইত্যাদির মতো বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য খুবই উপকারি।
দুই কোয়া রসুন গরম জলে মিশিয়ে খেলে অথবা এর মধ্যে একটু মধু এবং আদা মিশিয়ে খেলে সর্দি বা ঠাণ্ডা লাগার হাত থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও এই ঘরোয়া ঔষধিটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে।
৩) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রসুন খুবই উপকারি। কারণ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ রসুন রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। রসুনে থাকা অ্যালিসিন রক্তে শর্করার মাত্রাকে উন্নত করে।
৪) দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
রসুন চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
কোভিড-১৯ : এইসময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খান আনারস
৫) ক্যান্সার রোধ করতে
রসুনে থাকা অ্যালিসিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ক্যান্সার রুখে দিতেও সাহায্য করে। অ্যালিসিন অ্যাসিড শরীরে ক্যান্সারকে বাসা বাঁধতে দেয় না। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার যেমন - স্তন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার, গলব্লাডার ক্যান্সার,রেক্টাল ক্যান্সারের হাত থেকে শরীরকে দূরে রাখে।
৬) হজম শক্তি উন্নত করতে
সকালে খালি পেটে রসুনের কোয়া খেলে সারারাত ধরে চলা বিপাকক্রিয়ার কাজ উন্নত হয়। এছাড়া শরীরের দূষিত টক্সিনও মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে পারে। এটি দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমিকে ধ্বংস করে ক্ষুধামন্দা ভাব দূর করে। হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে, পাশাপাশি পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যাও দূর করে।
৭) হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়
হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে রসুন বিশেষ কার্যকর। হৃদস্পন্দনের হার নিয়ন্ত্রণ করতে ও হৃদপেশির দেওয়ালে চাপ কমাতে সাহায্য করে। রসুন শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে রক্ত সঞ্চালন এবং রক্তে সুগারের পরিমাণ যাতে ঠিক থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
৮) বাতের ব্যথা দূর করতে
বাতের ব্যথা দূর করার মহৌষধ হল রসুন। গাঁটে ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস থেকে স্থায়ী মুক্তি পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোজ খান রসুন।
৯) ত্বক ও চুলের সমস্যা দূর করতে
ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে, ত্বককে কুঁচকে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে রসুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এছাড়াও ত্বকের যেকোনও ধরণের সংক্রমণ ঠেকাতেও রসুনের জুড়ি মেলা ভার। দাদ, খোস-পাঁচড়া, ব্রণ ও বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগের হাত থেকে রক্ষা করে, পাশাপাশি চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যাও দূর করে রসুন।
কীভাবে খেতে হবে?
পুষ্টিবিদদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন খাওয়া উচিত। রান্না করে রসুন খাওয়ার পরিবর্তে রোজ সকালে এক কোয়া রসুন কাঁচা চিবিয়ে খেলে তাতে বেশি উপকার হবে।