Just In
- 12 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 14 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 16 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 18 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
Coronavirus : সাবধান! এই লক্ষণগুলি দেখা দিলেই বুঝবেন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে আপনার ফুসফুসে
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দৈনিক লক্ষ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হল, এই সংক্রমণ সব ধরনের বয়সের মানুষের মধ্যে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। বিশেষত, যারা আগে থেকেই অন্য রোগে ভুগছেন বা যাদের ইমিউনিটি কম, তাদের ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস মারাত্মক হয়ে উঠছে।
কোভিড আমাদের হার্ট, মস্তিষ্ক এবং ফুসফুস-সহ একাধিক অঙ্গকে প্রভাবিত করে। বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে সংক্রমণের বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে যেহেতু এটি রেসপিরেটরি ইনফেকশন, সেহেতু ফুসফুসের ওপর এর প্রভাব আরও বেশি পড়ে। যার ফলে ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু বুঝবেন কীভাবে আপনার ফুসফুসে ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে কিনা? আসুন জেনে নিই এ ব্যাপারে।
১) অনবরত কাশি হওয়া
শুকনো কাশি হওয়া মানেই সেটা যে কেবল কোভিডের লক্ষণ তা নয়, যদি সংক্রমণের দুই থেকে তিন সপ্তাহ পরেও ক্রমাগত কাশি হতে থাকে, তাহলে তা কোভিডের সাথে ফুসফুসের জটিলতার লক্ষণও হতে পারে। এছাড়াও, অনবরত কাশি হওয়া লং কোভিডেরও উপসর্গ হতে পারে।
২) শ্বাসকষ্ট
করোনা ভাইরাস যখন ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়ে, তখন ভাইরাস ফুসফুসে অক্সিজেনের প্রবেশে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। ফলে রোগীদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
অনেক ক্ষেত্রেই, যেসব রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাদেরকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হয়। এমনকি বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে, রোগীকে ভেন্টিলেশনেও দিতে হয়।
৩) বুকে ব্যথা
চিকিৎসকেরা এখন প্রতিমুহূর্তে সতর্ক থাকতে বলছে। যদি কোনও ব্যক্তির হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যথা শুরু হয়, তাহলে তা করোনার দ্বারা ফুসফুসে সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে বা অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিস্ট্রেস সিন্ড্রোম (ARDS) হতে পারে, যার কারণে রোগীর ফুসফুস নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অতএব অবিলম্বে এই লক্ষণগুলির ওপর নজরদারি প্রয়োজন।
ইমিউনিটি বাড়াতে রোজ সকালে পান করুন এই পানীয়গুলি...
৪) অন্যান্য লক্ষণ
করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সেপসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি বাড়ে। যখন মানুষের রক্ত শিরাতে ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, তখন এটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
সেপসিস এমন একটি মারাত্মক রোগ, যা আমাদের দেহের এক অংশের সাথে অন্য অংশের সম্পর্ক শেষ করে দেয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে বেশি বাড়াবাড়ি হলে এটি ফুসফুসের স্থায়ী ক্ষতি করে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি কোনও কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন করতে পারেন না। তাই আপনি যদি এর কোনও লক্ষণ আপনার মধ্যে দেখতে পান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫) অর্গ্যান কমপ্লিকেশন
সাইটোকিন স্টর্ম, যেখানে ইমিউন সিস্টেম ভুলবশত সুস্থ অঙ্গ এবং কোষগুলিকে আক্রমণ করে, যা গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের জটিলতারও লক্ষণ হতে পারে।
কোভিড ১৯-এর সংক্রমণ যখন আমাদের দেহে ছড়িয়ে পড়ে, তখন দেহে উপস্থিত প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাস নির্মূল করার জন্য অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং অন্য সংক্রমণের ঝুঁকি শরীরের অন্যান্য অঙ্গে বেড়ে যায়।