Just In
- 10 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 11 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 13 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 16 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
বাড়িতে পালস অক্সিমিটার ব্যবহার করবেন কীভাবে? জেনে নিন সঠিক পদ্ধতি
ভারতবর্ষে করোনার পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। সংক্রমণ কমার বদলে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে চলেছে মৃত্যু মিছিল। বিশেষত, দেশে অক্সিজেনের ঘাটতি করোনা পরিস্থিতিকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলছে। যার ফলে প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের। আর এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জীবনদায়ী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ডিজিটাল পালস অক্সিমিটার।
অক্সিমিটারের মাধ্যমে একজন রোগীর দেহে অক্সিজেনের মাত্রা কত আছে এবং রোগীর পালস রেট কত রয়েছে, তা খুব সহজেই জানা যায়। ফলে রোগীর শরীরে যদি অক্সিজেনের মাত্রা কমেও যায়, তাহলে সময় থাকতে থাকতে রোগীকে অক্সিজেন দিয়ে তার জীবন রক্ষা করাও সম্ভব হয়ে ওঠে। বিশেষত, কোভিড রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল, অক্সিমিটারের সাহায্যে নিয়মিত রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ মাপা। করোনা আক্রান্তদের ছয় মিনিট হাঁটার আগে ও পরে অক্সিজেনের পরিমাণ মাপার পরামর্শ দেওয়া হয়। অক্সিজেন মাত্রা ৯৪-এর নীচে নেমে গেলে চিন্তার বিষয়।
কীভাবে কাজ করে অক্সিমিটার?
পালস অক্সিমিটার হল একটি ছোট ডিভাইস, এটি দেখতে কাপড় মেলার ক্লিপের মতো। অক্সিমিটারে হাতের আঙুল ঢুকিয়ে রাখার জায়গা রয়েছে, যার সাহায্যে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা সম্পর্কে জানা যায়। এই ডিভাইসের রেড ও ইনফ্রারেড লাইট রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ এবং পালস রেট নির্ধারণ করে। অক্সিমিটার উপরের দিকে একটি ছোট্ট ডিজিটাল স্ক্রীন থাকে, এই স্ক্রিনেই শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা (SpO2 পরিমাপে সংখ্যা দেখাবে) ও আপনার পালস রেট কেমন তা ফুটে উঠবে।
অক্সিমিটার ব্যবহার করার পদ্ধতি
অক্সিমিটারকে সাধারণত বাঁ হাতের তর্জনী-তে লাগিয়ে, অক্সিমিটারে থাকা ছোট্ট বোতামটি প্রেস করতে হয়। তবে অক্সিমিটার যে হাতে লাগানো হয়, সেই হাতে বিশেষ করে সেই আঙুলে যেন কোনও ধাতব বস্তু বা আংটি না থাকে।
১) যে আঙুলে আপনি যন্ত্রটি ব্যবহার করছেন, তাতে যেন নেলপলিশ, মেহেন্দি বা ট্যাটু না থাকে।
২) হাতের আঙুল ঠাণ্ডা থাকলে, তা ঘষে উষ্ণ করতে হবে।
৩) অক্সিমিটারে যখন অক্সিজেনের মাত্রা চেক করবেন, তার আগে পাঁচ মিনিট বিশ্রাম নিন।
৪) এবার পালস অক্সিমিটারের সুইচ অন করে, সেটি তর্জনী বা মধ্যমার ডগায় লাগান।
৫) প্রথমদিকে রিডিং ওঠানামা করতে পারে। তাই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। মিটারের সংখ্যা স্থির না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৬) মিনিমাম পাঁচ সেকেন্ড রিডিং স্থির হলে, সেটা নোট করুন।
একজন সুস্থ মানুষের শরীরে স্বাভাবিক অবস্থায় অক্সিজেনের মাত্রা থাকে ৯৫ থেকে ১০০র মধ্যে। চিকিৎসকদের মতে, একজন মানুষের অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল কম করে ৯৫ শতাংশের মধ্যে থাকা প্রয়োজন, ৯৫ শতাংশের যদি নীচে নেমে যায় তাহলে তা চিন্তার কারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৯০ শতাংশের নীচে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে গেলে রোগীর শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা শুরু হয় এবং হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এর থেকেও যদি শতাংশ নেমে আসে, তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই ফুসফুস বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রখর হয়ে উঠে এবং ধীরে ধীরে রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
চিকিৎসকদের মতামত
এই করোনাকালে চিকিৎসকদের মতে প্রায় প্রত্যেক ঘরেই একটি করে ডিজিটাল পালস অক্সিমিটার থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। এই ডিজিটাল পালস অক্সিমিটার যে শুধুমাত্র রোগীদের জন্য তা নয়, সাধারণ মানুষের জন্যেও। এই মহামারীর সময়ে অক্সিমিটারের মাধ্যমে শরীরে অক্সিজেন লেভেল আপনি সহজেই দেখে নিতে পারবেন। আর যদি শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখেন তাহলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছ থেকে সাহায্যও নিতে পারবেন। অন্তত দিনে দু'বার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা মাপা দরকার।
আরও পড়ুন : RT-PCR টেস্ট করানোর প্রয়োজন নেই কাদের? নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করল ICMR