Just In
Coronavirus : ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও কি সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে? জেনে নিন বিস্তারিত
ভারতে এখন ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে, কিন্তু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আক্রমণে অবস্থা খুবই শোচনীয়। এই মারণ ভাইরাস থেকে বাঁচতে গোটা বিশ্বে ভ্যাকসিনেশনের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্যাকসিন হল সংক্রমণ কমানোর মূল অস্ত্র। তারপরেও প্রশ্ন থেকে যায় যে, এই ভ্যাকসিনগুলি সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর? ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তির থেকেও কি অন্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে? ছড়ালেও তার তীব্রতা কতটা? জেনে নিন এই আর্টিকেল থেকে।
ভ্যাকসিন এর কার্যকারিতা কতটা
এই মুহুর্তে অনুমোদিত করোনার ভ্যাকসিনগুলি ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তুলতে সক্ষম, এমনটাই জানা গিয়েছে গবেষণায়। ভ্যাকসিন নিয়েছেন এমন বেশিরভাগ ব্যক্তির মধ্যেই সংক্রমণের তীব্রতা যথেষ্টই কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে হাসপাতলে ভর্তির ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস পাচ্ছে। তবে ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিরা অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এনিয়ে এখনও গবেষণা চলছে।
সংক্রমণ ছড়ানো ভ্যাকসিনের উপর নির্ভর করে
গবেষণায় দেখা গেছে যে, সম্পূর্ণভাবে না হলেও করোনার ভ্যাকসিনগুলি সংক্রমণকে কিছুটা হ্রাস করতে সক্ষম। ভ্যাকসিন সংক্রমণ ঠেকাতে কতটা কার্যকর হবে, তার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে।
বিভিন্ন টিকা বিভিন্নভাবে কাজ করে, যেমন - কিছু ভ্যাকসিন মাঝারি থেকে গুরুতর সংক্রমণ হ্রাস করতে কার্যকর। আবার কিছু ভ্যাকসিন সম্পূর্ণভাবে সংক্রমণ আটকাতে পারে। তাই, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও কোনও ব্যক্তির কোভিডে আক্রান্ত হওয়া বা অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানো, তা আপনার ভ্যাকসিনের উপর অনেকটাই নির্ভর করে।
ভাইরাসের বিভিন্ন ভেরিয়েন্টের উপর ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সমগ্র বিশ্বজুড়ে, ভাইরাস নানান রূপে হাজির হয়েছে। যা কেবলমাত্র অতি সংক্রামকই নয়, পাশাপাশি অ্যান্টিবডির উপরেও প্রভাব ফেলতে সক্ষম।
তাই ভ্যাকসিন গ্রহণকারী ব্যক্তিরাও অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। যদিও সংক্রমণের লক্ষণগুলি হালকা প্রকৃতির এবং মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও কম, তবে সংক্রমণের ঝুঁকি কিন্তু যথেষ্ট বেশি।
করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর দেখা দিতে পারে এই পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াগুলি, দেখে নিন কী করবেন
কাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি?
যারা এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন নেয়নি বা এই মুহূর্তে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না, অথবা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত কম এবং দুর্বল স্বাস্থ্য, তাদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। অর্থাৎ যাদের দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা রয়েছে এবং অনাক্রমতা ভীষণভাবে কম কিংবা কোনও অসুস্থতার জন্য যারা টিকা নিতে পারছেন না, স্বেচ্ছায় টিকা নিতে চাইছেন না, ১৮ বছরের কম বয়সী যারা, তাদের ক্ষেত্রেই সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।
কী করা উচিত?
করোনার এই ভয়ঙ্কর অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে, ভ্যাকসিন হলো মূল অস্ত্র। এটি আমাদের ইমিউনিটি শক্তিশালী করে। তবে এটি কোনও সম্পূর্ণ সমাধান নয়। মনে রাখতে হবে যে, ভ্যাকসিন কেবলমাত্র সংক্রমণের সম্ভাবনা রোধ করতে সহায়তা করে। একেবারেই যে ঝুঁকিমুক্ত করে দেয়, তা কিন্তু নয়। তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও, আগের মতনই মাস্ক পরা-সহ করোনার সমস্ত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরী।