For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

মারণ হেপাটাইটিস রোগের উপসর্গ চিহ্নিত করবেন কি করে?

হেপাটাইটিস রোগকে সহজে ধরা যায় না। তাই বোল্ডস্কাই আপনাদের আজকে জানাবে কিভাবে খুব সহজেই চিহ্নিত করতে পারবেন হেপাটাইটিসকে।

By Swaity Das
|

আমাদের যখন জ্বর হয়, তখন আমরা বুঝি কি করে? আমাদের জ্বর হলে শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যায়, গলা ব্যাথা করে, অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়ি। তাইতো? অর্থাৎ আমাদের যে জ্বর হয়েছে, তা বুঝতে পারি এরকমই কিছু উপসর্গের দ্বারা। তাই আমরা যখন এরকম কোনও লক্ষণ দেখি, তখনই আমাদের উচিৎ ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা। কারণ যে কোনও ধরণের ছোটখাটো উপসর্গই পরে বড় আকার ধারণ করতে পারে।

আমাদের চারিদিকে এমন বহু মানুষ আছেন, যারা এমন কিছু রোগের দ্বারা আক্রান্ত হন, যার কোনও উপসর্গ থাকে না। কিন্তু যখন ধরা পড়ে তখন তা চিকিৎসার দ্বারা সারিয়ে তোলা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। যেমন- ক্যান্সার। ক্যান্সার অনেক ক্ষেত্রেই আজও এমন সময় গিয়ে ধরা পড়ে, যা শেষে চিকিৎসকের হাতের বাইরে চলে যায়। এরকমই আরেকটি রোগ হল হেপাটাইটিস। যা সহজে ধরা যায় না। তাই বোল্ডস্কাই আপনাদের আজকে জানাবে কিভাবে খুব সহজেই চিহ্নিত করতে পারবেন হেপাটাইটিসকে।

মনে রাখতে হবে যে, এমন বহু রোগ আছে, যেগুলি কোনও অবস্থাতেই ধরা পড়ে না, তবে কিছু উপসর্গ আছে, যা দেখে এই রোগগুলিকে আন্দাজ করা যায় এবং তার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা শুরু করা যায়। অনেক সময় তো খুব ছোট বা সাধারণ উপসর্গও বড় ধরণের কোনও রোগের প্রারম্ভিক ধারণা দেয়। যেমন, হেপাটাইটিসেই কথাই ধরুন না। এই রোগে লিভার দারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কিন্তু রোগের প্রথম দিকে তেমন কোনও লক্ষণই দেখা যায় না। সেক্ষেত্রে কতগুলি শারীরিক পরিবর্তন দেখে রোগের উপস্থিতি সম্পর্কে ধারণা করতে হয়। প্রসঙ্গত, বেপাটাইটিস রোগের চিকিৎসা ঠিক সময়ে শুরু না করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কারণ হেপাটাইটিস শুধু লিভার নয়, দেহের অন্যান্য অংশেরও ক্ষতি করে থাকে।

হেপাটাইটিস বিভিন্ন ধরণের ভাইরাসের দ্বারা হতে পারে। তবে সব হেপাটাইটিস এক প্রকারের হয় না। এমনকি অতিরিক্ত মদ্যপানও হেপাটাইটিস হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এখনও অবধি মোট পাঁচ ধরণের হেপাটাইটিসের সন্ধান পয়েছেন চিকিৎসকেরা। সেগুলি হল- হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই।

এবার চলুন দেখে নেওয়া যাক বিভিন্ন ধরণের হেপাটাইটিস এবং তাঁদের উপসর্গ সম্পর্কে।

১. হেপাটাইটিস এ:

১. হেপাটাইটিস এ:

উপসর্গ- পেটে ব্যাথা, মাংস পেশী এবং হাড়ে ব্যাথা, বমি ভাব, আমাশয়, বমি, ক্লান্তি, জ্বর এবং খিদের অভাব প্রভৃতি।

২. হেপাটাইটিস বি:

২. হেপাটাইটিস বি:

উপসর্গ- পেটে ব্যাথা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, পেটে জল জমে যাওয়া, বমিভাব, চামড়া হলুদ হয়ে যাওয়া, ধমনী ফুলে যাওয়া, প্রস্রাব গাঢ় হলুদ হয়ে যাওয়া।

৩. হেপাটাইটিস সি:

৩. হেপাটাইটিস সি:

উপসর্গ- পেটের ভিতরে রক্তক্ষরণ, মলের সঙ্গে রক্তপাত, পেটে জল জমে যাওয়া, বমিভাব, অত্যন্ত ক্লান্তি, ক্ষিদের অভাব, ধমনী ফুলে যাওয়া।

৪. হেপাটাইটিস ডি:

৪. হেপাটাইটিস ডি:

উপসর্গ- পেটে ব্যাথা, ওজন কমে যাওয়া, অতিরিক্ত ক্লান্তিভাব, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া।

৫.হেপাটাইটিস ই:

৫.হেপাটাইটিস ই:

উপসর্গ- পেটে ব্যাথা, হাড়ে ব্যাথা, বমি করা, বমিভাব, কালো বা গাঢ় খয়েরি রঙের মল ত্যাগ, জ্বর, গাঢ় হলুদ রঙের প্রস্রাব, ত্বক, নখ এবং চোখের ভিতর হলুদ হয়ে যাওয়া।

৬. অটোইমিউন হেপাটাইটিস:

৬. অটোইমিউন হেপাটাইটিস:

উপসর্গ- প্রচণ্ডভাবে শরীরে ব্যাথা, ক্লান্তি, খিদের অভাব, ত্বক হলুদ হয়ে যায়, ত্বকে উপরিভাগে র‍্যাশ দেখা যায়, মহিলাদের ক্ষেত্রে পিরিয়ড অনেক সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া সহ আরও নানা ধরনের অটো ইমিউন রোগের উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়।

৭. অ্যালকোহলিক হেপাটাইটিস:

৭. অ্যালকোহলিক হেপাটাইটিস:

উপসর্গ- পেটে ব্যাথা, পেট ফুলে যাওয়া, পেটে জল জমে যাওয়া, বমিভাব, ফুসফুসে জল জমে যাওয়া, শরীরে বিষের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, লিভার খারাপ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

English summary

বোল্ডস্কাই আপনাদের আজকে জানাবে কিভাবে খুব সহজেই চিহ্নিত করতে পারবেন হেপাটাইটিস রোগকে।

hepatitis is an inflammatory condition which affects the liver and when not treated on time, it could lead to death, as it affects one of the vital organs of the human body!
Story first published: Thursday, July 27, 2017, 18:00 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion