For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

সমীক্ষা বলছে শীতকালে বাড়ে মাইগ্রেনের প্রকোপ! তাই প্রশ্ন হল এই রোগের কষ্ট কমানোর উপায় কি?

সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা গেছে ঠান্ডার সময় নানা কারণে মাইগ্রেনের মতো সমস্যার প্রকোপ চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়। কিন্তু প্রশ্ন হল কেন?

|

সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা গেছে ঠান্ডার সময় নানা কারণে মাইগ্রেনের মতো সমস্যার প্রকোপ চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়। কিন্তু প্রশ্ন হল কেন?

গবেষণা বলছে তাপমাত্রা কমতে শুরু করলে আমাদের মস্তিষ্কের অন্দরে বেশ কিছু কেমিকালের ভারসাম্য বিগড়ে যায়। বিশেষত সেরাটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মাইগ্রনের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে প্রচন্ড মাথা যন্ত্রানার সঙ্গে লেজুড় হয় মাথা ঘোরা, আলো-শব্দ সহ্য করতে না পারা এবং বমি হওয়ার মতো লক্ষণও।

প্রসঙ্গত, শীতকালে মাইগ্রেন অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ে একথা জানার পর তো আর হাত গুটিয়ে বসে থাকা সম্ভাব নয়, তাহলে জেনে নিতে হবে এক্ষেত্রে কী করণীয়! আর ঠিক এই কারণেই এই লেকাটি পড়ে ঝটপট পড়ে ফলতে হবে। কারণ এই প্রবন্ধে আলোচিত হতে চলা খাবারগুলিকে রোজের ডায়েটে জায়গা করে দেওয়ার পাশাপাশি যদি বাকি ঘরোয়া টোটকাগুলিকে কাজে লাগানো যায়, তাহলে এমন রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

আসলে বিশেষজ্ঞদের মতে এই খাবারগুলিতে এমন কিছু উপদান মজুত রয়েছে, যা শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে ব্রেনের অন্দরে কেমিকালের ভারসাম্য দেখা দেওয়ার আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে। সেই সঙ্গে মাথা যন্ত্রণার প্রকোপও কমতেও সময় লাগে না। তাই বলি বন্ধু, আর অপেক্ষা কিসের, চলুন ঝটপট জেনে নেওযা যাক মাইগ্রেনের চিকিৎসায় কাজে আসা সেই সব ঘরোয়া টোটকাগুলি সম্পর্কে...

১. যোগাসন করা মাস্ট:

১. যোগাসন করা মাস্ট:

অ্যাডভান্স বায়োমেডিকাল রিসার্চে দেখা গেছে শীতকালে নিয়মিত ৩০ মিনিট যোগাসন করলে শরীর এবং মস্তিষ্ক ভিতর এবং বাইরে থেকে এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে মাইগ্রেনের মতো সমস্যা ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে শীতকালীন আরও নানাবিধ সমস্যা, যেমন ধরুন- মাথা যন্ত্রণা, ক্র্যাম্প লাগা এবং এনার্জির ঘাটতি দূর করতেও যোগাসনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

২. আকুপাঞ্চার:

২. আকুপাঞ্চার:

২০১৪ সালে হওয়া এক সিস্টেমিক রিভিউ-এ দেখা গেছে ক্রণিক মাথা যন্ত্রণা কমানোর পাশাপাশি মাইগ্রেন সংক্রান্ত বাকি লক্ষণগুলির প্রকোপ কমাতেও নানাভাবে সাহায্য করে থাকে আকুপাঞ্চার। তাই তো বলি বন্ধু, আপনাদের মধ্যে যারা এমন খষ্টকর রোগের শিকার, তারা বেশি কিছু কার্যকরী আকুপাঞ্চার পদ্ধতি শিখে নিতে দেরি করবেন না যেন!

৩. দারচিনি:

৩. দারচিনি:

বেশ কিছু গবেষণার পর একথা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে যে মাইগ্রেন এবং মাথা যন্ত্রণার মতো সমস্যার প্রকোপ কমাতে বাস্তবিকই এই প্রাকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো দরচিনি নিয়ে প্রথমে গুঁড়ো করে নিতে হবে। তারপর তাতে পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলে সেটি কপালে লাগিয়ে ফেলতে হবে। এরপর ৩০ মিনিট শুয়ে থাকার পর ধুয়ে ফলতে হবে পেস্টাটা। প্রসঙ্গত, এই ঘরোয়া টোটকাটিকে প্রতিদিন কাজে লাগালে দেখবেন উপকার মিলতে সময় লাগবে না।

৪. বাজরা থেকে বানানো আটা:

৪. বাজরা থেকে বানানো আটা:

এতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা শরীরে প্রদাহ কমানোর মধ্যে দিয়ে মাইগ্রেনের কষ্ট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কাবু, তারা আজ থেকেই নিজেদের ডায়েটে বাজরার আটাকে অন্তর্ভুক্ত করুন। দেখবেন বেশ উপকার পাবেন।

৫. কফি:

৫. কফি:

শরীরের প্রদাহ কমিয়ে মাইগ্রেনের যন্ত্রণাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে ক্যাফিনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই এবার থেকে যখনই মাথায় যন্ত্রণা হবে, অল্প করে কফি খেয়ে নেবেন। তাহলেই দেখবেন যন্ত্রণা একেবারে ছু-মান্তার হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, বেশি মাত্রায় শরীরে ক্যাফিনের প্রবেশ একেবারেই ভাল নয়। তাই তো দিনে ১-২ কাপের বেশি খফি না খাওয়াই ভাল।

৬. তুলসি পাতা:

৬. তুলসি পাতা:

তুলসি পাতায় উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরি উপাদান পেশিতে রক্তসরবরাহ বাড়িয়ে দিয়ে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে কয়েক ফোঁটা তুলসি পাতার তেল নিয়ে মাথায় মাসাজ করলেই দারুন উপকার পাওয়া যায়।

৭. পিপারমেন্ট তেল:

৭. পিপারমেন্ট তেল:

বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে মাইগ্রেন অ্যাটাকের সময় কপালে অল্প পরিমাণে পিপারমেন্ট তেল লাগিয়ে যদি মাসাজ করতে পারেন, তাহলে এক্ষেত্রে দারুন উপকার পাওয়া যায়। আসলে এই তেলটি লাগানো মাত্র মস্তিষ্কের চারিদিকে থাকা পেশিদের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে যন্ত্রণা কমতে সময় লাগে না।

৮. ক্যামোমিল চা:

৮. ক্যামোমিল চা:

এই পানীয়টিতে উপস্থিত পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড আদতে এক ধরনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র যে কোনও ধরনের যন্ত্রণাকে নিমেষে কমিয়ে ফেলে। তাই তো মাইগ্রেন অ্যাটাকের প্রকোপ কমাতে ক্যামোমিল চা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। তাই এবার থেকে মাথা যন্ত্রণা কমাতে পেনকিলার নয়, কাজে লাগানে এই বিশেষ পানীয়টিকে। দেখবেন উপকার মিলবে চোখের পলক পরার আগে।

৯. ল্যাভেন্ডার তেল:

৯. ল্যাভেন্ডার তেল:

একটা বড় বাটিতে ৫-৬ কাপ জল ঢেলে সেই জলটা ফুটিয়ে নিন। তারপর তাতে ৫-৬ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে সেই জলটার ভাব নিতে থাকুন। এমনটা করলেই দেখবেন মাইগ্রনের কষ্ট কমে যেতে শুরু করবে। আরেক ভাবে ল্যাভেন্ডার তেলকে কাজে লাগাতে পারেন। অল্প করে এই তেলটা নিয়ে কপালে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করুন। এতেও সমান উপকার পাবেন।

১০. তিসি বীজ:

১০. তিসি বীজ:

আপনার কি মাঝে মধ্যেই মাথায় যন্ত্রণা হয়? তাহলে আজ থেকেই এই ঘরোয়া পদ্ধতিটিকে কাজে লাগাতে শুরু করে দিন। আসলে তিসি বীজে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের প্রদাহ কমিয়ে মাথার যন্ত্রণার প্রকোপকে একেবারে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে আসে। ফলে ধীরে ধীরে কষ্ট কমতে শুরু করে।

১১. আদা:

১১. আদা:

একটা বাটিতে পরিমাণ মতো জল নিয়ে তাতে অল্প করে আদার গুঁড়ো মিশিয়ে সেই জলটা কম করে ১০ মিনিট ফোটান। সময় হয়ে গেলে জলটা কাপে ঢেলে চায়ের মতো করে সেটি পান করুন। এমনটা করলেই দেখবেন মাইগ্রেনের লক্ষণ কমতে শুরু করবে।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

Cold weather migraines: Try these 11 home remedies to give you instant relief

With winter in full swing, chances are that you’re experiencing increased migraine activity playing spoilsport with your holiday plans. Changes in the weather, cold weather in particular, can cause imbalances in brain chemicals, including serotonin prompting a migraine in some people. Migraines are basically characterised by severe head pain often accompanied by other symptoms, such as nausea, sensitivity to light and sound.
Story first published: Friday, December 21, 2018, 12:42 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion