Just In
Benefits of Clove Tea : রোজ এক কাপ লবঙ্গ চা পানেই সারবে যত রোগ! দেখে নিন কী ভাবে বানাবেন
দৈনন্দিন রান্নায় ব্যবহৃত মশলাগুলি কেবল খাবারই সুস্বাদু করে না, এগুলির বেশ কিছু আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। বেশিরভাগ মশলাই পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে লবঙ্গ এমন একটি মশলা, যা ওজন কমানোর পাশাপাশি ইমিউনিটি বৃদ্ধি, জ্বর ও সর্দি-কাশি সারাতেও দারুণ কার্যকর। লবঙ্গ হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
শুধু লবঙ্গ যেমন ভাল, ঠিক তেমনই লবঙ্গ চা খাওয়াও কিন্তু দারুণ উপকারি। আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিন, লবঙ্গ চা পানে স্বাস্থ্যের কী কী উপকার হয় -
লবঙ্গ চা তৈরির পদ্ধতি
সসপ্যানে দুই কাপ জল দিন। জল ফুটে উঠলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। এতে কয়েকটা লবঙ্গ গুঁড়ো করে দিন, এর সঙ্গে আদা থেঁতো এবং দারুচিনি মেশান। ১৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। তারপর চা ছেঁকে নিয়ে তাতে ১ চা চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
ওজন কমায়
এই চা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। এই চায়ে ব্যবহৃত মশলাগুলি মেটাবলিক রেট উন্নত করতেও সাহায্য করে, যা ফ্যাট-বার্ন প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত করে।
স্কিন ইনফেকশন নিরাময় করে
লবঙ্গে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্যে রয়েছে, যা ত্বকের নানা সমস্যা নিরাময় করতে পারে এবং শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। এছাড়াও, এই চা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়, যা চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়া আটকায়।
যে কোনও রোগ সারাবে পেঁয়াজের চা! দেখুন তৈরির পদ্ধতি ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
সাইনাস থেকে মুক্তি দেয়
লবঙ্গ চা সাইনাস থেকে মুক্তি দিতে পারে। লবঙ্গে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে, যা আমাদের শরীরকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে বাঁচায়। এই চা জ্বর নিরাময়েও দারুণ কার্যকর।
মাড়ি এবং দাঁতের ব্যথা কমায়
লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা এবং ফোলা মাড়ি থেকে মুক্তি দেয়। লবঙ্গ চা আমাদের মুখ থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও সাহায্য করে, যার ফলে দাঁতের সমস্যা থেকে দ্রুত ত্রাণ পাওয়া যায়।
লবঙ্গ চায়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
দিনে একবার বা দুবার লবঙ্গ চা পান স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, তবে অত্যধিক পান করলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা, পেশী ব্যথা এবং শারীরিক ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলাদের অবশ্যই এই চা পানের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হবে। এই চা পান করার পর যদি বমি বমি ভাব অনুভব করেন, তবে খাওয়া বন্ধ করাই ভাল। লবঙ্গ চা পানের পরে শরীর খুব খারাপ হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান।