Just In
Don't Miss
স্ট্রেস বাড়লে কিন্তু ওজনও বাড়বে!
স্ট্রেস বাড়লে কিন্তু ওজনও বাড়বে! তাই সাবধান হন এখন থেকেই। নচেৎ কিন্তু ঘোর বিপদ।
স্ট্রেস বাড়লে কিন্তু ওজনও বাড়বে!
সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা অনুসারে অনেক দিন ধরে যদি কেউ মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপে ভাগেন তাহলে তার ওজন বাড়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর ওজন বাড়লে তার লেজুর হিসেবে উপস্থিত হয় আরও নানা সব জটিল রোগ। প্রসঙ্গত, বর্তমান জেট যুগে কাজের চাপের কারণে কম বয়সিদের স্ট্রেস লেভেন এত বাড়ছে যে চিকিৎসকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে এখনই যদি এই নিয়ে কোনও ব্য়বস্থা নেওয়া না যায় তাহলে পুরো একটা জেনারেশন অচিরেই শেষ হয়ে যাবে, কারও কিছু করার থাকবে না। তাই এখনই সাবধান হন! একথা ঠিক যে অনেক ক্ষেত্রে স্ট্রেসকে উপেক্ষা করা যায় না। কিন্তু তাই বলে নিজেকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়াও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
স্ট্রেস যত বাড়তে থাকে, তত শরীরে কর্টিজেল নাম একটি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। আর এই হরমোনটি ওজন বৃদ্ধি করে। তাই যে কোনও উপায়ে এই হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কারণ ভুলে গেলে চলবে না পেটে চর্বির মাত্রা যত বৃদ্ধি পাবে, তত কিন্তু হার্ট ডিজিজ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টরল প্রভৃতি মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়বে। তাই আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ৩০ পেরতে না পেরতেই জীবনকে নানা নিয়মে বেঁধে দেবেন, নাকি একটু সুস্থ ভাবে জীবনকে উপভোগ করবেন। সিদ্ধান্ত আপনাদেরই নিতে হবে। কারণ যতদিন প্রাণ থাকবে ততদিন স্ট্রেসও থাকবে। কিন্তু তাকে নিয়ন্ত্রণে একমাত্র আপনিই রাখতে পারবেন, আর কেউ না।
মানসিক চাপ বাড়লে খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এমনটা হলে বেশিরভাগ মানুষই সহজে পাওয়া যায় এমন খাবার খেতে শুরু করেন। আর একথা তো সকলেরই জানা যে এইসব সহজলভ্য় খাবারগুলিতে চর্বি এবং চিনির পরিমাণে বেশি তাকে। ফলে এমন খাবার শরীরের কোনও কাজে তো লাগেই না, উলটে ওজন বৃদ্ধি করে। একদিকে জাঙ্ক ফুড, অন্য় দিকে কর্টিজেল হরমোন, তাহলে বুঝতেই পারছেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে কী হারে শরীরের ওজন বাড়তে শুরু করে।
প্রসঙ্গত, এই গবেষণাটি ২,৫২৭ জন পুরুষ এবং মহিলার উপর করা হয়েছিল। দীর্ঘ চার বছর ধরে এই স্টাডিটি চালানোর পর এই সিদ্ধান্ত পৌঁছেছিলেন গবেষকরা যে স্ট্রেস-কর্টিসল হরমোন-ওজন বৃদ্ধি, এই তিনটি বিষয় পরস্পরের সঙ্গে এক সূত্রে বাঁধা।
এই গবেষণায় উপস্থিত পুরুষ এবং মহিলাদের থেকে ২ সেন্টিমাটির করে মাথার চুল সংগ্রহ করেছিলেন গবেষকরা। সেই চুল বিশ্লেষণ করেই শরীরে কটিসল হরমোনের মাত্রা কত তা দেখা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গবেষণাটি চলাকালীনই গবেষকরা লক্ষ করেছিলেন যাদের চুলে কিটজল হরমোনের মাত্রা বেশি, তাদের ওজনও বেশি। শুধু তাই নয়, বাডি মাস ইনডেক্সও মাত্রা ছাড়া।
তথ্য় সুত্র- আই এ এন এস (IANS)