Just In
- 17 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 18 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 21 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 23 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Monkey B Virus : করোনার মাঝে চীনে নতুন আতঙ্ক 'মাঙ্কি বি ভাইরাস'! কী এই রোগ? জেনে নিন
এক ভাইরাসে রক্ষে নেই, তার ওপর আবার নতুন নতুন ভাইরাসের উদ্ভব। যার ফলে মানব জীবনে আতঙ্ক কমার বদলে ক্রমশ বেড়েই চলেছে। করোনার উৎস স্থল চীন থেকে আরেকটি ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে, যার নাম 'মাঙ্কি বি ভাইরাস' (BV)। পিটিআই সূত্রের খবর, এই ভাইরাসে মৃত্যুও হয়েছে এক ব্যক্তির। বানর থেকে ছড়ানো এই ভাইরাস নিয়ে, নতুন করে চিন্তা বৃদ্ধি হয়েছে চীনের।
চীনের বেজিং শহরের এক ৫৩ বছর বয়সী পশু চিকিৎসক বিভিন্ন পশুদের নিয়ে গবেষণা করতেন। এবছর মার্চ মাসেই তিনি এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন এবং কিছুদিন পরেই মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, মার্চ মাসে দুই মৃত বানরের শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার সময় থেকেই আক্রান্ত হন সেই ব্যক্তি। প্রথম দিকে গা বমি বমি ভাব দেখা দেয় এবং সেই থেকেই সূত্রপাত। পিটিআই সূত্রে খবর, তিনিই বেজিংয়ের প্রথম নাগরিক যিনি এই ভাইরাস থেকে সংক্রমিত হয়েছিলেন।
কী এই মাঙ্কি বি ভাইরাস? এই ভাইরাস কতটা ছোঁয়াচে? কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস? কী ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়? জেনে নিন বিস্তারিত।
মাঙ্কি বি ভাইরাস কী?
ওল্ড ওয়ার্ল্ড বানরের একটি প্রজাতি মাকাক্সদের মধ্যে 'Monkey B Virus' পাওয়া যায়। এটি মূলত বানরের লালা, মল, মূত্র, মস্তিষ্ক বা মেরুদণ্ডের টিস্যুতে উপস্থিত থাকে। এই ভাইরাস কয়েক ঘণ্টা ধরে ভূপৃষ্ঠের উপর বেঁচে থাকতে পারে, বিশেষত আর্দ্র পরিবেশে।
এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণের ঝুঁকি কাদের বেশি?
সাধারণ জনগণের মধ্যে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি অত্যন্ত কম থাকে। তবে ল্যাবরেটরির কর্মীরা, পশুচিকিৎসকরা এবং যারা বানরদের দেখাশোনা করেন, তাদের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি।
মাঙ্কি বি ভাইরাস কীভাবে ছড়ায়?
সংক্রামিত বানর কোনও ব্যক্তিকে কামড় বা আঁচড় দিলে, সেই ব্যক্তি এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। চীনের সিডিসি অনুসারে, এই ভাইরাস সাধারণত সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে বা সরাসরি শরীরের সংস্পর্শে এলে এবং দেহ থেকে নির্গত তরলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। US ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, মাঙ্কি বি ভাইরাস যখন মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায়, তখন এটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে। সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণগুলি সাধারণত ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার প্রায় ১-৩ সপ্তাহের মধ্যে দেখা যায়।
নতুন আতঙ্ক নোরোভাইরাস! জেনে নিন কতটা ভয়ানক এই ভাইরাস ও এর উপসর্গ
এর উপসর্গ কী?
মাংকি বি ভাইরাসের উপসর্গগুলি হল, জ্বর, ঠান্ডা লাগা, পেশী ব্যথা, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, ইত্যাদি। অন্যান্য লক্ষণগুলি হল - শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, পেটে ব্যথা এবং হেঁচকি। এর ফলে ক্ষতস্থানে ফুসকুড়িও দেখা দিতে পারে।
এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত ব্যক্তির মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডে প্রদাহ বা ফোলার মতো প্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে। এর ফলে নিউরোলজিক এবং প্রদাহজনিত লক্ষণ দেখা যায়, যেমন - ব্যথা, অসাড়তা, ক্ষতস্থানের কাছে চুলকানি, পেশীর সমস্যা, ব্রেন ড্যামেজ, স্নায়ুতন্ত্রের গুরুতর ক্ষতি, এমনকি মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে।
মাঙ্কি বি ভাইরাসের চিকিৎসা কী?
বর্তমানে মাঙ্কি বি ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য কোনও ভ্যাকসিন নেই। তবে সময়মতো যদি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের প্রয়োগ করা হয়, তাহলে ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমতে পারে।