Just In
- 14 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 15 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 17 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 21 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
Don't Miss
খুলছে জিম ও যোগা কেন্দ্র, করোনা এড়াতে অবশ্যই মেনে চলুন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই নিয়মগুলি
করোনা ভাইরাসের কবলে পড়ে টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশজুড়ে লকডাউন চলেছে। দীর্ঘদিনের লকডাউনে স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত, সিনেমা হল, জিম সেন্টার থেকে শুরু করে শপিং মল ও দোকান বাজার সমস্তটাই বন্ধ ছিল। তবে আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে একের পর এক ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে। কিন্তু জীবন যেহেতু আগের মতো আর স্বাভাবিক নয়, তাই যাই খুলুক না কেনো বা যাই করুন না কেন তার জন্য রয়েছে একাধিক নিয়ম কানুন।
যারা খুব স্বাস্থ্য সচেতন তাদের ক্ষেত্রে লকডাউনের এই বন্দিজীবন খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এবার হাত ছেড়ে বাঁচলেন স্বাস্থ্য তারা। কারণ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী ৫ অগাস্ট থেকে খুলে গেল সমস্ত জিম ও যোগা কেন্দ্রগুলি। কেবলমাত্র কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরেই এগুলি খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে এগুলি খোলার ক্ষেত্রে অনেকগুলি নিয়ম পালন করতে হবে। নিয়মগুলি স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। দেখে নিন সেই নিয়মগুলি কী কী।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া নিয়মগুলি
১) কন্টেনমেন্ট জোনে বন্ধ থাকবে জিম ও যোগ শিক্ষাকেন্দ্র। কন্টেনমেন্ট জোন ছাড়া অন্যান্য জায়গায় খুলে যাচ্ছে এগুলি।
২) কো-মর্বিডিটি রয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা, ৬৫ বছরের বেশি বয়স ও ১০ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের বদ্ধ জিমে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
৩) জিমে প্রবেশের মুখে স্যানিটাইজার ডিসপেনসার বসাতে হবে। থার্মাল গান-এর মাধ্যমে তাপমাত্রা মাপতে হবে। কেবলমাত্র সম্পূর্ণ সুস্থ ব্যক্তিই জিমে প্রবেশ করতে পারবেন।
৪) প্রবেশ ও প্রস্থানের আলাদা জায়গা করতে হবে।
৫) জিম কর্তৃপক্ষ, সদস্য ও প্রশিক্ষক সকলকেই কোভিড ট্র্যাকার বা আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে।
৬) জিম চত্বরে ফেস কভার ও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। শারীরিক কসরতের সময় ফেস শিল্ড দিয়ে মুখ ঢাকা রাখতে হবে। কারণ, কসরতের সময় মাস্ক ব্যবহার করলে নিশ্বাসের সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন : করোনা আবহে সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিস রোগীরা কী করবেন দেখে নিন
৭) যিনি শরীরচর্চার পদ্ধতি বুঝিয়ে দেবেন তার ক্ষেত্রেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
৮) প্রতিটি ব্যক্তি এবং যন্ত্রপাতির মধ্যেকার দূরত্ব হবে ছয় ফুট ।
৯) ঘরের আয়তন অনুযায়ী ভিড় এড়াতে প্রতিটি ক্লাসের মধ্যে সময় নির্ধারণ করে ব্যক্তির সংখ্যা কমাতে হবে। একটি ক্লাস শেষ এবং অন্যটি শুরুর সময়ের মধ্যেকার ব্যবধান থাকতে হবে ১৫-৩০ মিনিটের।
১০) শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের তাপমাত্রা ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হবে। মুক্ত বাতাস চলাচলের ব্যাবস্থা করতে হবে।
১১) প্রত্যেককে ঘন ঘন সাবান দিয়ে ৪০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে। শরীরচর্চার মাঝে সময় পেলেই অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
১২) কাশি বা হাঁচির ক্ষেত্রে টিস্যু, রুমাল কিংবা কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে নিতে হবে। তারপর টিস্যু যথাস্থানে ফেলতে হবে। যত্রতত্র থুতু ফেলা যাবে না।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জিম কর্তৃপক্ষ, সদস্য ও প্রশিক্ষকদের এই সমস্ত নির্দেশ সকলকে কঠোরভাবে মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।