Just In
এই ৭ টি কারণে ছোট বয়সেও হার্টের রোগ দেখা দিতে পারে
এই ৭ টি কারণে ছোট বয়সেও হার্টের রোগ দেখা দিতে পারে
একবার ভাবুন, আপনি অফিসে বসে কাজ করছেন। বেজায় ব্যস্ত আপনি। হঠাৎই বুকের বাঁদিকে হালকা ব্যথা শুরু হল। "বয়স তো সবে ৩৪, এই বয়সে কারও হার্টের রোগ হয় নাকি! গ্যাস হয়েছে মনে হয়। তাই এমন অস্বস্তি হচ্ছে।" আপনি যখন এমন ভাবছেন, তখন ব্যথা আরও বাড়ছে। সেই সঙ্গে হালকা ঘামও হচ্ছে...
এমন লক্ষণ দেখা দিলে হালকা ভাবে না নিয়ে চিন্তায় পরে যাওয়া উচিত। কারণ ভুলে গেলে চলবে না আমাদের শরীরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল হার্ট, যা এক সেকেন্ডের জন্য়ও থমকে যাওয়া মানে বিপদ! এমন কী মৃত্য়ু পর্যন্তও হতে পারে। তাই প্রতি মুহূর্তে শারীরের এই পাম্পটির খেয়াল রাখাটা আমাদের অবশ্য কর্তব্য়। প্রসঙ্গত, হার্ট হল পেশি দিয়ে গঠিত একটি পাম্প। যার কাজ হল রক্তকে বিশুদ্ধ করে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত প্রতিটি ধমনি এবং শিরা মারফত শরীরের কোণায় কোণায় পৌঁছে দেওয়া।
আপনাদের কারও জানা আছে স্বাভাবিক হার্ট রেট কত হওয়া উচিত? একজন প্রাপ্ত বয়স্কের হার্ট রেট হওয়া উচিত ৬০-১০০ বিপিএম (বিট পার মিনিট)। প্রসঙ্গত, হার্ট বিট স্বাভাবিক রেটে না হলেই বুঝতে হবে হার্ট সুস্থ নেই। আর এই অসুস্ততার পিছনে দায়ি থাকতে পারে এই প্রবন্ধে আলোচিত কারণগুলি। আর এইসব সাধারণ ভুলের করাণে হার্ট অসুস্থ হয়ে পরার পাশপাশি হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই তো এই ভুল কাজগুলি ভুলেও করা চলবে না। তাহলেই দেখবেন, হার্ট সুস্থ থাকবে, সেই সঙ্গে বাড়বে আপনার আয়ুও।
১. কফির নেশা ছাড়তে হবে:
কফি খেলেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে? সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে তো বটেই। কীভাবে? বেশি মাত্রায় কফি খেলে শরীরে ক্যাফিনের মাত্রা বাড়তে থাকে, যা থেকে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। আর এ কথা তো সকলেই জানেন যে অস্বাভাবিক রক্তচাপ হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভাল নয়। তাই দিনে ১-২ কাপ কফি খাওয়া চলতেই পারেই। কিন্তু হার্টকে চাঙ্গা রাখতে এর থেকে থেকে বেশি পরিমাণে খাওয়া একেবারেই চলবে না।
২. স্ট্রেস:
মানসিক চাপ বাড়লেই শরীরে কর্টিজল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোনটির কারণে হার্টের পেশি দুর্বল হয়ে যেতে শুরু করে। এমনটা হলে শরীরে রক্তসরবরাহ ঠিক মতো হয় না, সেই সঙ্গে হার্ট দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে যে কোনও মুহূর্তে কোনও মারণ রোগ শরীরে থাবা বসানোর আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই স্ট্রেস থেকে সাবধান!
৩. অ্যালকোহল সেবন:
মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান করলে রক্তে অ্যাড্রিনালিনের মাত্র অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়, যা হার্টের উপর মারাত্মক চাপ ফেলে। ফলে হার্টের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
৪. প্রেগন্যান্সি:
গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে হরমোনের ক্ষরণ ঠিক মতো না হওয়ার কারণে হার্ট বিট ইরেগুলার হয়ে যায়। সে সময় যাথাযত চিকিৎসা শুরু করলে যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে।
৫. অতিরিক্ত শরীরচর্চা করা:
প্রয়োজনের অতিরিক্ত এক্সারসাইজ করলে হার্ট রেট মনারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। তাই এমনটা চলতেই থাকলে হার্টকে বেশি বেশি করে কাজ করতে হয়। ফলে ধীরে ধীরে হার্ট দুর্বল হতে শুরু করে। সেই কারণেই তো ট্রেনারের পরামর্শ ছাড়া শরীরচর্চা করতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।
৬. খনিজের অভাব:
আমাদের শরীরকে সচল রাখতে একাধিক খনিজের প্রয়োজন পরে। এইসব খনিজের ঘাটতি দেখা দিলে, বিশেষত পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রা কমে যেতে থাকলে হার্টের রোগ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
৭. ডিহাইড্রেশন:
শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে হার্টের কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হার্টের পেশিও দুর্বল হয়ে যায়। ফলে ইরেগুলার হার্ট বিট সহ নানাবিধ হার্টের রোগে হওয়ার সম্ভবনা বৃদ্ধি পায়। তাই হার্টকে সুস্থ রাখতে হলে এইসব কারণগুলি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। না হলে কিন্তু...