Just In
- 33 min ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 16 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 17 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 20 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
জ্বরের গায়ে কি যোগব্যায়াম করা যায়? কে বলেছে না?
আপনার যখন জ্বর হয়,খুব দুর্বল ও ক্লান্ত বোধ করাটাই স্বাভাবিক।মনে হয় শরীরের সব শক্তি বোধহয় শেষ।সারাদিন কিছুই করতে ইচ্ছে করে না।এরকম একটা অবস্থায়,যোগব্যায়াম দারুণ কাজ করে।আয়ুর্বেদে আবার মনে করা হয়,যদি জ্বরের গায়ে একটু আধটু হালকা কিছু আসন করা হয়, তাহলে জ্বর ও তার আনুসাঙ্গিক লক্ষণগুলো কমে।কিছু নির্দিষ্ট নিশ্বাস প্রশ্বাসের পদ্ধতি আছে ও মুদ্রা আছে, যা করলে শরীরে সাদা রক্ত কোষের মাত্রা বাড়ে।এখানে সেরকমই কিছু প্রাণায়ম ও আসনের উল্লেখ করা হল, যা আপনার জ্বরের গায়ে খুব উপকারি।দেখে নিন।
১) শীতলী প্রাণায়ম
শীতলী, সংস্কৃতে মানে "ঠাণ্ডা হওয়া"।এই প্রাণায়মের মুদ্রার উদ্দেশ্যই হল পুরো শরীরকে শান্ত করা।এই পদ্ধতিতে,প্রথমে মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিন, ও পরে সেটা নাক দিয়ে ছাড়ুন।এই মুখ দিয়ে নিশ্বাস নেওয়ার পদ্ধতিতে পুরো শরীর শান্ত হয় ও কেন্দ্রীয় স্নায়ু ব্যবস্থা আরাম পায়। এর ফল স্বরুপ জ্বর কমে।কি করে করবেন এটা? সুখাসন (আড়াআড়ি পা রাখা) বা বজ্রাসনে(পদ্ম ফুলের মুদ্রা)বসুন।আপনার জীভটা ঘোরান ও মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিন।নিশ্বাস নিয়ে মুখটা বন্ধ করুন ও নিশ্বাসটা ধরে রাখুন।আন্দাজ ৬ সেকেণ্ড পর নাক দিয়ে নিশ্বাসটা ছাড়ুন।
২)অনুলোম ভিলোম প্রাণায়ম (পর্যায়ন্বিত নিশ্বাস প্রশ্বাস)
আর্ট অফ লিভিং-এর প্রতিষ্ঠাতা,গুরুদেব শ্রী শ্রী রবি শঙ্করের মতে অনুলোম ভিলোম প্রাণায়মকে শক্তি সেচনের প্রণালী বলে আখ্যা দেন। ওনার মতে,এর দ্বারা শরীর সুদ্ধ হয় ও সব অপ্রয়োজনীয় জিনিসের বহিষ্কার হয়।কি করে করবেন এটা?আপনার পা ভাঁজ করে বসুন অর্ধপদ্মাসন বা পদ্মাসনে (পদ্মফুলের মুদ্রা)।এবার একটা হাত কোলের ওপর রাখুন, চেটোটা ওপরের দিকে করে।অন্য হাতের বুড়ো আঙুলটা দিয়ে একটা নাকে রাখুন ও তর্জনীটা ভাঁজ করুন।এবার দীর্ঘ নিশ্বাস নিন একদিকের নাক দিয়ে,অন্য নাকটা বন্ধ রেখে।এরপর বন্ধ নাকটা খুলুন এবং নিশ্বাসটা ওদিক দিয়ে ছাড়ুন।এটা পুরোটা একটা চক্র।এরকম অন্তত ১০-বার করলে আপনি পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন।
৩) কপালভাতি
নিষ্ক্রীয়ভাবে নিশ্বাস নেওয়া ও বলসহকারে নিশ্বাস ত্যাগের সাহায্যে নাক পরিষ্কার হয়।এই নিশ্বাস নেওয়ার পদ্ধতিতে,নিশ্বাস ত্যাগের সময় শরীরের ৮০% আবর্জনা নিষ্কাসন হয়।কি করে করবেন?আরাম করে সুখাসন মুদ্রায় বসুন।এবার নাক দিয়ে নিশ্বাস ছাড়ুন ও পেটটা ঢুকিয়ে ভেতরে করুন।আপনি যখন আপনার পেটটা স্বাভাবিক ভাবে ছাড়বেন,দেখবেন আপনা থেকেই নিশ্বাস নিতে পারছেন আবার।তাড়াতাড়ি আবার পেটটা ভেতরে টেনে নিন, ও নিশ্বাস ছাড়ুন।শুরুতে এরকম ৫০বার করুন।এরপর আস্তে আস্তে এটার মাত্রা বাড়ান।
৪)নীচের দিকে মুখ করে কুকুরের মুদ্রা
এই মুদ্রাটি আপনার শরীরের সাদা রক্তকোষগুলো সচল করে ও শরীরের সাইনাস বহিষ্কারে সাহায্য করে।কি করে করবেন?সোজা হয়ে তড়াসন (পা্হাড়ের মত) দাঁড়ান।প্রাথনা করার মত হাত দুটো জড় করে ওপরের দিকে তুলুন।নিশ্বাস ছাড়ুন ও সামনের দিকে হেলার জন্য টানটান একটা পরিস্থিতিতে আসুন।নিশ্বাস নিন ও নিজের শিঁরদাড়াটা সামনের দিকে অর্ধেক হেলানো অবস্থায় নিয়ে আসুন।এরপর নিশ্বাস ছাড়ুন ও পা-টা পিছনে এনে বা লাফ মেরে নিজের পুরোন দাঁড়ান অবস্থায় ফেরত আসুন।
৫)মৎস্যাসন না মাছের মুদ্রা
মৎস্যাসন বা মাছের মুদ্রা, আপনার বুক ও ফুসফুসের আয়তন বাড়ায়, আপনার নিশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ায়।কি করে করবেন এই আসন?মাটিতে টানটান হয়ে শুয়ে,হাঁটুটা মুড়ুন ও পায়ের পাতা সোজা মাটিতে রাখুন।এবার পা দুটো সোজা করুন,এবং হাত দুটো দুপাশে রাখুন।এবার আস্তে আস্তে কোমড়টা মেঝে থেকে তুলুন,এক একটা দিক করে, এবং হাত দুটো কোমড়ের নিচে রাখুন।কনুই থেকে হাত দুটো ভাঁজ করে আস্তে আস্তে নিজের পুরো শরীরটা একটু একটু করে মেজে থেকে তুলুন।আপনার বুকটা মেঝে থেকে তুলুন ও মাথাটা পেছনের দিকে হেলিয়ে দিন।এই অবস্থায় পাঁচ গোনা অবধি থাকুন।
c) বসা অবস্থায় মেরুদণ্ডে মোচড় :
শরীরকে অনাবশ্যক আবর্জনা থেকে মুক্ত করতে, পিঠের শিরদাড়ায় মোচড় দিলে শরীর বিশুদ্ধিকরণে অনেক সাহায্য হয়।এছাড়াও শরীরের অনেক আনুষঙ্গিক অঙ্গের চলাচল ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।কি করে করবেন এটা? পা দুটো সামনে ছড়িয়ে বসুন।এবার ডানদিকের পা-টা মুড়ুন এবং বাঁ পায়ের হাটুর কাছে ডান পায়ের পাতাটা রাখুন (এই সময় আপনার বাঁ পা-টা সোজা রাখুন বা মুড়ে রাখুন, বা আড়াআড়িও রাখতে পারেন।)এবার বাঁ হাতটা ডান পায়ের ওপরে মোড়ান ও ডান হাতটা কোমড়ের পেছনে মাটিতে রাখুন।নিশ্বাস নেওয়ার সময় আপনার শিরদাড়াটা টানটান করুন ও আস্তে আস্তে নিশ্বাস ছাড়ুন।এক একদিকের জন্য ৫-১০ নিশ্বাসের জন্য করুন। এরপর অন্যদিকের জন্যও করুন একই ভাবে।