Just In
- 5 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 7 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 10 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 12 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
ডায়াবেটিকরা তরমুজে খেলে কী হতে পারে জানেন?
রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ডায়াবেটিকদের শারীরিক অবনতি হতে শুরু করে। তাই তো মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে মানা করা হয় এমন রোগীদের।
রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ডায়াবেটিকদের শারীরিক অবনতি হতে শুরু করে। তাই তো মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে মানা করা হয় এমন রোগীদের। আচ্ছা তরমুজও তো মিষ্টি। তাহলে এই ফলটি খেতে ডায়াবেটিকদের বারণ করা হয় না কেন?
এই উত্তর নিশ্চয় পাবেন। তাবে তার আগে ডায়াবেটিস কী, সে বিষয়ে একটু নজর রাখা যাক। আমারা যখনই খাবার খাই। তখনই ইনসুলিনের ক্ষরণ হয়। কারণ খাবারকে এনার্জিতে রূপান্তরিত করতে এই উপাদানটির প্রয়োজন পরে। কিন্তু নানা কারণে যখন ইনসুলিন ঠিক মতো কাজ করতে পারে না বা ইনসুলিন রেজিস্টেন্স তৈরি হয়, তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে শুরু করে। এই আবস্থাকেই চিকিৎসা পরিভাষায় ডায়াবেটিস বলা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, ডায়াবেটিস রোগ একেবারেই ভাল নয়। কারণ শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে একাধিক জোটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এমনকী ডায়াবেটিকদের অঙ্গহানির সম্ভবনাও থাকে।
এবার ফিরে আসা যাক প্রথম প্রশ্নে। একথা ঠিক যে, শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে তরমুজ নানাভাবে সাহায্য করে। কিন্তু ডায়াবেটিদের এই ফলটি খাওয়া একেবারেই চলবে না। তবে ডায়াবেটিস এবং তরমুজের সম্পর্কটা এখানেই শেষ হয়ে যায় না কিন্তু! এক্ষেত্রে আরও কতগুলি বিষয় আছে, যা প্রতিটি ডায়াবেটিস রোগীরই জেনে রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। যেমন...
১. এক কাপ তরমুজ খেলে শরীরে প্রায় ১৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট প্রবেশ করে। এই পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট একজন ডায়াবেটিস রোগীর পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। তাই ভুলেও যদি তরমুজ খেয়ে ফেলেন, তাহলে পরের মিলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাবেন না। প্রসঙ্গত, ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়াবেটিকদের প্রতিটি মিলে ৪০-৬০ গ্রাম কার্বোহাইডের্টের বেশি থাকা একেবারেই চলবে না।
২. তরমুজের গ্লায়কেমিক ইনডেক্স হল ৭২। তার মানে এই ফলটি খেলে আপনার সুগার লেভেল বাড়বেই বাড়বে।
৩. গরমের সময় তরমুজ খেতে যদি খুব মন চায়, তাহলে এমন খাবারে সঙ্গে সেটি খাবেন যার গ্লাইকেমিক ইনডেক্স কম। এমনটা করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার আশঙ্কা থাকবে না।
৪. চিকিৎসক আপনাকে দৈনিক যে পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট খেতে বলেছেল সেই মাত্রা ঠিক রেখে আপনি তরমুজ খেতেই পারেন। সেক্ষেত্রে তরমুজ খাওয়ার পর আর কোনও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া চলবে না। তাহলেই আর কোনও ভয় থাকবে না।
৫. এক কাপ তরমুজে প্রায় ১২ গ্রাম সুগার, ৫৫ ক্যালোরি এবং ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। তাই খাতায় কলমে একজন ডায়াবেটিক রোগীর তরমুজ খাওয়া একেবারেই চলবে না। তবে যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে, গ্লাইকেমিক ইনডেক্সে যে সব খাবার একেবারে নিচের দিকে রেয়েছে, যেমন ওটস মিল, সেসব খাবার তরমুজের সঙ্গে খেলে ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশেই হ্রাস পায়।