For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে রোগ সরান!

বৃষ্টির জলে কোনও ভেজাল থাকে না। তাই তো সেই জল শরীরে লাগলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাই থাকে না।

|

বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে অফিস থেকে বাড়ি ফেরা। সঙ্গী এক ঠোয়া ঝালমুড়ি আর হঠাৎ ঝাপটা মারা ঠান্ডা হাওয়া। এমন পরিবেশে শরীর খারাপের কথা মাথায়ই আসতে চায় না। কিন্তু যে মুহূর্তে কাক ভেজা হয়ে বাড়ি ফেরা, অমনি মায়ের সাবধান বাণী কানে আসতে থাকে, "ওরে মাথাটা ভাল করে মুছে নেরে। না হলে যে ঠান্ডা লেগে যাবে।" বৃষ্টিতে ভিজে কজনেরই বা ঠান্ডা লাগে জানা নেই। কিন্তু সেই ছোট থেকে শুনে আসছি বৃষ্টি নাকি শরীরে পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। সত্য়িই কি তাই? বৃষ্টিতে ভিজলে বাস্তবিকই কি হাজারো রোগ শরীরকে আক্রমণ করে? বিজ্ঞান এবং গবেষণা যা বলছে, তা শুনলে কিন্তু অপনি অবাক হয়ে যাবেন। তাই বলি বৃষ্টিকে একটু অন্যভাবে চিন্তে এই প্রবন্ধে এক ঝলক চোখ রাখুন। লেখাটা পড়তে পড়তে মন যে একেবারে চাঙ্গা হয়ে যাবে, সকথা হলফ করে বলতে পারি।

শরীরের কথা ভেবে বৃষ্টিকে নাপাসান্দ করেন যারা, তারা জেনে নিন, অল্প-বিস্তর বৃষ্টিতে ভিজলে একেবারেই শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না। বরং মন ও মস্তিষ্ক একেবারে চাঙ্গা হয়ে যায়। কীভাবে এমনটা হয়, চলুন জেনে নেওয়া যাক। প্রসঙ্গত, একটানা ১০-১২ মিনিটের বেশি বৃষ্টিতে ভিজবেন না যেন, তাহলে কিন্তু শরীর বিদ্রহ করলেও করতে পারে। আর বৃষ্টিতে ভেজার পর মনে করে এক কাপ ধোঁয়া ওঠা লিকার চা অথবা গ্রিন টি খেয়ে নেবেন, তাহলেই দেখবেন শরীর খারাপ খাছেও ঘেঁষতে পারবে না।

বৃষ্টির বাস্তবতা ১:

বৃষ্টির বাস্তবতা ১:

বৃষ্টির জলে কোনও ভেজাল থাকে না। তাই তো সেই জল শরীরে লাগলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাই থাকে না। প্রসঙ্গত, বৃষ্টির জল মাটিতে, নদি-নালায় মেশার পর নোংড়া হয়ে যায়, তার আগে নয়! সেই কারণেই তো বিশ্বের অনেক দেশে বৃষ্টির জল জমিয়ে রাখা হয়। পরে প্রয়োজন মতো তা পান করা হয়ে থাকে।

বৃষ্টির বাস্তবতা ২:

বৃষ্টির বাস্তবতা ২:

একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে বৃষ্টির সময় হাওয়া-বাতাস খুব বিশুদ্ধ হয়ে যায়। তাই তো ওই সময় শ্বাসের মধ্যে দিয়ে শরীরে প্রবেশ করা প্রতিটি বায়ু আমাদের দেহের উপকারে লাগে। শুধু তাই নয়, বৃষ্টির সময় পরিবেশে উপস্থিত টক্সিক উপাদানের ক্ষতি করার ক্ষমতাও খুব কমে যায়। ফলে এই সময় বাড়ির বাইরে থাকলে সব দিক থেকে শরীরের ভালই হয়। তবে যেমনটা অগেও অলোচনা করা হয়েছে যে ১০-১২ মিনিটের বেশি বৃষ্টিতে ভেজা চলবে না। এর বেশি হলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া আর কোনও ক্ষতি যদিও হয় না।

বৃষ্টির বাস্তবতা ৩:

বৃষ্টির বাস্তবতা ৩:

সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে বৃষ্টির জল পরিষ্কার পাত্রে সংগ্রহ করে খেলে শরীরের উপকার হয়। সেই সঙ্গে একাধিক রোগের প্রকোপও হ্রাস পায়। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন, যেখানে বৃষ্টির জলকে সংগ্রহ করছেন সেই কেন্টানার যেন জীবাণুমুক্ত হয়, না হলে কিন্তু শরীরের ভাল হওয়ার পরিবর্তে খারাপ হবে বেশি।

বৃষ্টির বাস্তবতা ৪:

বৃষ্টির বাস্তবতা ৪:

বারিবর্ষণের সময় পরিবেশ উপস্থিত জলীয় বাস্প ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য় খুব ভাল হয়। শুধু তাই নয়, বৃষ্টির পর পর জলীয় বাস্প বেড়ে যাওয়ার কারণে পরিবেশে উপস্থিত একাধিক ক্ষতিকর জীবাণুর কর্মক্ষমতা কমে যায়। ফলে এই সময় শরীরের কোনও ক্ষতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না।

বৃষ্টির বাস্তবতা ৫:

বৃষ্টির বাস্তবতা ৫:

বৃষ্টির পর কেমন মাটি থেকে সোঁদা গন্ধ বেরয় দেখেছেন। এই গন্ধটাকে মন-প্রাণ দিয়ে শরীরে অন্দের নিয়ে যাবেন, দেখবেন নিমেষে মন ভাল হয়ে যাবে। গবেষকরা এই গন্ধকে "পেট্রিকোর" নামে ডেকে থাকেন। প্রসঙ্গত, বৃষ্টি পরা মাত্র মটিতে উপস্থিত এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া বিশেষ এক ধরনের কেমিক্যাল রিলিজ করে। যে কারণে এমন সোঁদা গন্ধ বেরতে শুরু করে।

বৃষ্টির বাস্তবতা ৬:

বৃষ্টির বাস্তবতা ৬:

বেশ কিছু গবেষক মনে করেন বৃষ্টির জল চরিত্রে অ্যালকেলাইন। অর্থাৎ এই জল পান করেল শরীরের অন্দরে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। এখানেই শেষ নয় অ্যালকালাইন রক্তের পি এইচ লেভেলকে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসে। ফলে শরীরে অ্যাসিডির মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে একাধিক রোগের প্রকোপ হ্রাস পায়।

বৃষ্টির বাস্তবতা ৭:

বৃষ্টির বাস্তবতা ৭:

আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বৃষ্টির জল অ্যালাকালাইন হওয়ায় ক্যান্সারের কষ্ট কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। যদিও এই যুক্তির সপক্ষে কোনও প্রমাণ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

বৃষ্টির বাস্তবতা ৮:

বৃষ্টির বাস্তবতা ৮:

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩ চামচ বৃষ্টির জল খেলে অ্যাসিডিটি এবং গ্যাস-অম্বল হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে।

বৃষ্টির বাস্তবতা ৯:

বৃষ্টির বাস্তবতা ৯:

অনেককে বলতে শুনেছি বৃষ্টিতে ভেজার পর শ্য়াম্পু না করলে নাকি চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এই ধরণা কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। কারণ বাস্তবে একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটে। বিশেষজ্ঞদের মতো বৃষ্টির জল বিশুদ্ধ হয়। ফলে এই জল দিয়ে চুল ধুলে স্কাল্পে উপস্থিত একাধিক ব্যাকটেরিয়া এবং ময়লা ধুয়ে যায়। ফলে চুলের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি খুশকি সহ নানাবিধ রোগের প্রকোপও কমে।

বৃষ্টির বাস্তবতা ১০:

বৃষ্টির বাস্তবতা ১০:

কখনও লক্ষ করেছেন কিনা জানা নেই। তবে বৃষ্টিতে ভেজার পর আমাদের ত্বক আরও উজ্জ্বল এবং সুন্দর হয়ে যায়। কারণ সেই একই! বৃষ্টির জল ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। ফলে অল্প সময়ের মধ্য়েই স্কিন তার হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য় ফিরে পায়।

বৃষ্টির বাস্তবতা ১১:

বৃষ্টির বাস্তবতা ১১:

বেশ কিছু কেস স্টাডি করে দেখা গেছে তুমুল বৃষ্টিতে ৫ মিনিট ভিজলে স্ট্রেস লেভেল একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরের ক্লান্তিও দূর হয়।

সাবধানতা:

সাবধানতা:

গর্ভবতী মহিলারা ভুলেও বৃষ্টিতে ভিজবেন না যেন! এমনটা করা এই সময় শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল হবে না।

খেয়াল রাখবেন:

খেয়াল রাখবেন:

বৃষ্টির জল খাওয়ার আগে দেখে নেবেন যেখানে সেটি স্টোর করেছেন সেটি পরিষ্কার কিনা। না হলে কিন্তু কোনও উপকারই পাবেন না। উল্টে শরীরের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

English summary

বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে রোগ সরান!

Though all of us want to dance or walk in the rain, we don't because our elders never let us get wet in the rain. Of course, we fear catching cold, or falling sick due to getting wet in the rain.
Story first published: Tuesday, June 6, 2017, 15:48 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion