Just In
সুস্থ শরীর পেতে খাওয়া শুরু করুন মশলা ধোসা!
এক মাঝারি মাপের ধোসা খেলে শরীরের অন্দরে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামন-সি-এর ঘাটতি দূর হয়। আর ধোসা যখন সাম্বারের সঙ্গে খাওয়া হয়, তখন আরও বেশি মাত্রায় পুষ্টিকর উপাদান আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।
এই দক্ষিণী খাবারটির জনপ্রিয়তা যে কেবল সাউথ ইন্ডিয়ায় আটকে রয়েছে এমন নয় কিন্তু! দিল্লি থেকে কন্যাকুমারী, কলকাতা থেকে আমেদাবাদ, সর্বত্র এই ডিশটির গ্রহণযোগ্যতা চোখে পরার মতো। আসলে ধোসা খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি চটজলদি বনিয়েও ফেলা যায়। তাই খিদের চোটে যখন জেরবার অবস্থা, তখন ধোসার কোনও বিকল্প পাওয়া যায় না। কিন্তু যদি বলি ধোসা শুধু আপনার পেটের জ্বালা মেটায় না, সেই সঙ্গে একাধিক রোগকেও দূরে রাখ, তাহলে কী বলবেন! ধোসার সঙ্গে রোগমুক্তির কী সম্পর্ক?
ধোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট যা এনার্জির ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি ভিটামিন, প্রোটিন এবং একাধিক খনিজের চাহিদাও মেটায়। এক কথায় সস্তায় পুষ্টিকর খাবারের যদি কোনও তালিকা বানান হয় তাহলে একেবারে উপরের দিকে থাকবে ধোসা। এখানেই শেষ নয়, এই সাউথ ইন্ডিয়ান ডিশটির আরও অনের উপকারিতা রয়েছে। যেমন...
এনার্জির ঘাটতি মেটায়:
ব্রেকফাস্টে প্রায়ই মশলা ধোসা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন ক্লান্তি ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না। কারণ এই খাবারটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় কার্বহাইড্রেট, যা শরীরে এনার্জির ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
একাদিক খনিজ এবং পুষ্টিকর উপাদানের উৎকৃষ্ট সোর্স:
এক মাঝারি মাপের ধোসা খেলে শরীরের অন্দরে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামন-সি-এর ঘাটতি দূর হয়। আর ধোসা যখন সাম্বারের সঙ্গে খাওয়া হয়, তখন আরও বেশি মাত্রায় পুষ্টিকর উপাদান আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। কারণ কী জানেন? কারণ হল সাম্বারে থাকে প্রোটিন, ভিটামিন এবং একাধিক কার্যকরি খনিজ। এবার বুঝুন, আপনি ধোসার সঙ্গে যে শুধু স্বাদের রাজ্যে পৌঁছে যান না, তা নয়, সেই সঙ্গে শরীরও চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:
ধোসায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে একবারে নাম মাত্র। তাই তো এই খাবারটি খেলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। উল্টে শরীরের অনেক দিক থেকে ভাল হয়। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন। যত কম তেল দিয়ে ধোসা বানাবেন, তত তা শরীরের উপকারে লাগবে।
শরীরের সার্বিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:
সবজির পুর দিয়ে বানানো মশলা ধোসা খাওয়ার অভ্যাস করেল শরীরীরে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, পরিবেশ দূষণ সহ প্রকৃতিক নানাবিধ মারের হাত থেকে শরীরকে বাঁচাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়:
পেশির কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরকে সচল রাখতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমান প্রোটিনের প্রয়োজন পরে। এই চাহিদা মেটাতে ধোসার কোন বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ শুধু ধোসায় নয়, সাম্বারেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। তাই বলতে দ্বিধা নেই যে, দেখতে আমন কাগজের মতো হলেও আদতে কিন্তু একাধিক উপকারে লাগে এই দক্ষিণী পদটি।
ওজন হ্রাসে সাহায্য করে:
ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায়, ধোসা খেলে পেট তো ভরেই, কিন্তু ওজন বাড়ে না। তাই যদি ওজন কমানোর পরিকল্পনা করকে থাকেন তাহলে ধোসার থেকে ভাল খাবার আর কিছু হতে পারে না। তবে মনে রাখবেন ধোসাটা যেন কম তেল দিয়ে বানানো হয়, না হলে কিন্তু তেমন উপকার পাবেন না।
ডায়াবেটিকদের জন্যও বেশ পুষ্টিকর খাবার:
সাদা ধোসায় শর্করা একেবারে থাকে না বললেই চলে। তাই তো এই পদটি চোখ বুজে খেতে পারেন ডায়াবেটিকরা।