Just In
Don't Miss
দ্রুত ওজন কমাতে চান? এই ৭ আয়ুর্বেদিক টিপস অবশ্যই মেনে চলুন!
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বাড়িতে বসে কম-বেশি প্রায় সকলেরই ওজন বৃদ্ধি হয়েছে। তাই অনেকেই হয়তো এখন ভাবছেন যে, কীভাবে সহজেই ওজন হ্রাস করা যায়। আর ওজন কমানোর কথা ভাবলেই সর্বপ্রথম ডায়েট কিংবা কঠোর শরীরচর্চার কথাই মাথায় আসে। কিন্তু ঠিকমতো না জেনে ডায়েট করার ফলে, অনেক সময় স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
তবে, কিছু সাধারণ পুরানো আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি ওজন কমাতে বা মেনটেন করতে অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। এই আর্টিকেলে সাতটি আয়ুর্বেদিক টিপস দেওয়া হল, যেগুলি আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
১) ঈষদুষ্ণ জল পান করুন
আয়ুর্বেদে ঠান্ডা জল পান করার পরিবর্তে, ঈষদুষ্ণ জল পান করার পরামর্শ দেওয়া আছে। ঈষদুষ্ণ জল আয়ুর্বেদে অমৃত হিসেবে বিবেচিত। এটি শরীর থেকে টক্সিন (ama) বের করে দিতে পারে। Ama এক ধরনের আঠালো খাদ্য পদার্থ, যা দূষণ এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরে জমা হয়। তাই প্রতিদিন সকালে ঈষদুষ্ণ জল পান করুন। আপনি চাইলে এতে আদার মতো কিছু তাজা ভেষজও যোগ করতে পারেন।
২) পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম
আয়ুর্বেদ মতে, রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সময়কে ঘুমের আদর্শ সময় বলা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি অপর্যাপ্ত ঘুম ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হতে পারে।
৩) হালকা ডিনার করার চেষ্টা করুন
প্রতিদিন রাত্রে হালকা ডিনার করলে, এটি পাচনতন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে না। ঘুমানোর সময় এটি শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, সন্ধ্যে সাতটার আগে ডিনার করা উপযুক্ত সময়। এটি খাবার হজম করার জন্য শরীরকে পর্যাপ্ত সময় দেয়।
৪) দিনে তিনবেলা খাবার খান
নিয়মিত হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে শরীরের কিছুটা বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। তাই স্বাস্থ্যকর এবং অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে, শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দিনে কোনও স্ন্যাক্স না খেয়ে, তিনবেলা মূল খাবার খাওয়া, শরীরকে হজমের সময় দেয়।
৫) খাবার খাওয়ার পর হাঁটুন
সার্বিক সুস্থতার জন্য শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি যদি, প্রতিদিন জিমে যাওয়ার সুযোগ না পান, তাহলে খাওয়ার পরে প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ২০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন। এটি আপনার মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
৬) ছয় রকমের স্বাদ খাদ্যতালিকায় রাখার চেষ্টা করুন
আয়ুর্বেদ স্বাদ অনুযায়ী খাবারকে ৬টি ভাগে ভাগ করেছে - মিষ্টি, টক, তেতো, ঝাল, কষাটে, নোনতা। খাদ্যতালিকায় এই সমস্ত স্বাদ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে অতিরিক্ত মিষ্টি এবং অতিরিক্ত লবণ জাতীয় খাদ্যের সেবন এড়িয়ে চলুন। এতে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
৭) খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের ভেষজ অন্তর্ভুক্ত করুন
বাড়িতে ব্যবহৃত কিছু সাধারণ মশলা এবং ভেষজ যেমন হলুদ, আদা, অশ্বগন্ধা, আমলকি, ত্রিফলা এবং দারুচিনি, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকর। দৈনন্দিন খাবারে এই সকল ভেষজ এবং মশলার প্রয়োগ, ওজন হ্রাস করার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে।